সিরাজগঞ্জে মহাসড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দেওয়া ফুল ফিরিয়ে দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঈদের ছুটিতে ওই এলাকায় দুর্ঘটনায় ৩০ জনের
মৃত্যুর পর মঙ্গলবার ওই মহাসড়ক পরিদর্শনে
যান মন্ত্রী। দুপুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ে
মূলিবাড়িতে তিনি উপস্থিত হলে
সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি ডা. হাবিবে
মিল্লাত মুন্নার পক্ষে সদর উপজেলা
চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, জেলা আওয়ামী
লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক হেলাল
উদ্দিন ও জেলা কৃষক লীগের সাধারণ
সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ফুল নিয়ে
মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে আসেন।
তখন ওবায়দুল কাদের বলেন, “এমপির সঙ্গে
মোবাইলে আমার কথা হয়েছে। এই মুহূর্তে
লাশের উপর দাঁড়িয়ে আমার পক্ষে ফুল
নেওয়া সম্ভব নয়।”
সোমবার রাতে মূলিবাড়ি এলাকায় বাসের
ধাক্কায় একটি অটোরিকশার পাঁচ আরোহী
নিহত হন। ঈদের পরদিন রোববার একই
এলাকায় দুটি বাসের সংঘর্ষে ১৭ জন এবং
তার আগে ১৬ জুলাই বাসের ধাক্কায় মোটর
সাইকেল আরোহী তিনজন মারা যান।
ঈদের আগের দিন ১৭ জুলাই এই মহাসড়কের
বানিয়াগাঁতি এলাকায় বাস নিয়ন্ত্রণ
হারিয়ে খাদে পড়ে শিশুসহ ৫ জন নিহত হন।
দুর্ঘটনারোধে আগামী দুই মাসের মধ্যে
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আদলে বঙ্গবন্ধু
সেতুর পশ্চিম সংযোগ সড়কের মূলিবাড়ি,
কোনাবাড়ি, নলকা ও কড্ডা এলাকায় সড়ক
বিভেদক বসানো হবে বলে মন্ত্রী জানান।
সেপ্টেম্বরের পর এই মহাসড়ক চার লেইনে
রূপান্তরের কাজ শুরু হবে বলেও জানান
তিনি।
দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে অটো রিকশা,
ভটভটি, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক চলাচল
বন্ধের ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে
নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
দূরপাল্লার কোচগুলোতে দুজন করে চালক
রাখার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, “একজন
চালক গাড়ি চালালে রাস্তায় তারা ঘুমিয়ে
পড়তে পারেন। যে কারণে ঘটে দুর্ঘটনা।”
মহাসড়কের পাশে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও
এমপিদের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড
অপসারণের জন্যও স্থানীয় প্রশাসনকে
নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য
বলেন, “বিলবোর্ডে লাগানো সন্ত্রাসী,
মাস্তান, চাঁদাবাজরা দলের যেমন ক্ষতি
করেছে। তেমনি মহাসড়কে চলাচল করা
যানবাহনের চালকদের দৃষ্টি আড়াল হওয়ায়
ঘটছে দুর্ঘটনা।”
0 comments:
Post a Comment