সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠটি প্রথম
দেখে যে কেউ ভাববেন ‘এটি একটি পুকুর বা
জলাশয়’।যেখানে মাঝে মধ্যে সাঁতার কাটে
শিশু-কিশোররা। বরশি দিয়ে মাছও ধরা হয়
সেখানে!
অথচ জেলার ফুটবল-ক্রিকেটসহ বিভিন্ন
খেলাধুলার অন্যতম ভেন্যু এটি। শহরের
হোসেনপুর মহল্লায় ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এ
কলেজ মাঠটি বছরের সিংহভাগ সময় এভাবেই
জলাবদ্ধ থাকে।
ইসলামিয়া কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানায়,
ইসলামিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও
পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য মাঠটি ব্যবহার
হয়ে থাকে। শীতের সময় ৩/৪ মাস এ মাঠটি
শুকনো থাকলেও জুন-জুলাইয়ে সামান্য
বৃষ্টিতেই পুরো মাঠ জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
বর্ষা মৌসুমে এটি একেবারে বড় জলাশয়ে
পরিণত হয়। প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে
জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এ মাঠটি শরৎ ও
হেমন্তের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত জলাবদ্ধ
থাকে।
এ
মাঠের পানি গড়ানোর একমাত্র স্থান
দক্ষিণপাশের একটি পুকুর। এতে পার্শ্ববর্তী
হোসেনপুর মহল্লাবাসীর বর্জ্য-পানি এবং ২৫০
শয্যার সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের পানি ও
বর্জ্য অপসারিত হয়। ফলে পুকুরটি সারাবছরই পানি
পূর্ণ থাকে।
পুকুর পাড়টি ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠের
সমতল। তাই বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি সরতে পারে না
বলেই মাঠটি জলাবদ্ধ থাকে।
ইসলামিয়া সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের
ছাত্র দীপক কুমার বাংলানিউজকে জানান,
ঐতিহ্যবাহী কলেজ হলেও এ কলেজের
খেলার মাঠটি সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে
পড়েছে। বছরের বেশিরভাগ সময় জলাবদ্ধ
থাকায় মাঠটিতে লীগ পর্যায়ের কোনো
খেলা হয় না।
কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাকিব
বাংলানিউজকে জানান, মাঠ সংকটের কারণে
এখানকার ছাত্ররা খেলাধুলা থেকে সম্পূর্ণরূপে
বঞ্চিত হচ্ছে।
প্রথম বর্ষের ছাত্র প্রসেনজিত বাংলানিউজকে
জানান, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা হলো
শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিক। কলেজ মাঠে পানি থাকায়
খেলাধুলার পরিবেশই নেই।
কলেজ ইসলামিয়া সরকারি কলেজের সাবেক
সিনিয়র রোভারমেট ও কলেজের সহকারী
গ্রন্থাগারিক হোসেন আলী ছোট্ট
বাংলানিউজকে জানান, কলেজ মাঠটি অধিকাংশ সময়
জলাবদ্ধ থাকায় এখানে খেলাধুলা বা স্কাউটিং কিছুই
স্বাভাবিক নিয়মে করা যাচ্ছে না।
কলেজটির অধ্যক্ষ ড. টি.আই.এম আব্দুর
রাজ্জাক বাংলানিউজকে জানান, কলেজ ও
পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীরা এ খেলার মাঠটি ব্যবহার করে।
বছরের অধিকাংশ সময় জলাবদ্ধ থাকার কারণে
ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত
হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment