। পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তীথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান, অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এ প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে দেশের প্রতি বিহারে বিহারে শুরু হবে পবিত্র কঠিন চীবর দানোৎসব। এছাড়া প্রভাত ফেরি, ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষুসংঘের পি-দান, শীল গ্রহণ ও প্রদীপপূজার মধ্য দিয়ে পালিত হবে দিনটি। দিনের শেষে সন্ধ্যায় তীথির মূল আকর্ষণ পবিত্র ফানুস উড়ানো উৎসব। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করে আশ্বিনী পূর্ণিমায় পরিসমাপ্তি ঘটে। এই পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজ কৃত অপরাধ বা পাপ স্বীকার করে পরিশুদ্ধ হয়। ফলে এটি প্রবারনা পূর্ণিমা নামে খ্যাত। এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ আকাশে ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজা করে। প্রচলিত আছে গৌতম বুদ্ধের চুল আকাশে ভেসে যাওয়ার ঘটনাকে উপলক্ষ করে ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজো করা হয়। ফানুস উড়ানো দেখতে চাইলে আজ সন্ধার মধ্যে আপনারা যেতে পারেন ঢাকা অবস্থিত বাড্ডা এবং বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে অথবা চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি অঞ্চলের যে কোন বৌদ্ধ মন্দিরে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।
Friday, October 18, 2013
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment