বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক সংস্কারে অনিয়মের
অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সওজ বিভাগের সদ্য
বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিনকে
সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সড়ক পরিবহন ও
সেতু মন্ত্রনালয়ের সংস্থাপন বিভাগ তাকে
সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন। সন্ধ্যার পর
আদেশটি ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয় বলে
সওজ সূত্র জানায়। রাস্ট্রপতির আদেশক্রমে
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সচিব এম.এ.এন.ছিদ্দিক ওই আদেশে স্বাক্ষর করেন। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তাকে সওজ প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম পিকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে ফরিদপুর
জেলা সওজ বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন।
মহাসড়কে সংস্কার ও মেরামত ক্রটি ও দুর্বল
মনিটরিং-এর অভিযোগের কারনে সম্প্রতি
সিরাজগঞ্জ থেকে ফরিদপুর জেলায় তাকে
শাস্তিমূলক বদলী করা হয়।
স্থানীয় ভাবে সওজ বিভাগ থেকে আরো
জানা যায়, গত অর্থ বছরে সিরাজগঞ্জ নলকা
সেতু হয়ে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়কের
হাটিকুমরুল মোড় থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত
প্রায় ২১ কিঃমিঃ এবং উল্লাপাড়া থেকে
বাঘাবাড়ি পর্যন্ত ২৭ কিমিঃসহ মোট ৪৮
কিমিঃ মহাসড়কে ওটিবিএল ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানের নামে ঠিকাদার আজাদ রহমান
প্রায় ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ
করেন। এরপরই যানবাহনের চাকার ঘর্ষনে
বিটুমিনের প্রলেপ ও পাথর ক্রমশ উঠে
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পটলস্ সৃষ্টি হতে
থাকে। এ অবস্থায় গত ক’দিনের বৃষ্টিতে এই
মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে প্রচুর খানাখন্দের
সৃষ্টি হলে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটে।
পাশাপাশি আসন্ন ঈদের আগে চলাচলরত
যাত্রীরাও শঙ্কায় পড়েন।
এসব বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন
মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে সড়ক
পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের একটি বিশেষ
টিম সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তাদের তদন্তে নি¤œমানের কাজ ও
তদারকির গাফলাতির বিষয়টি প্রমানিত
হওয়ায় সিরাজগঞ্জ সওজ বিভাগের সদ্য
বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান
উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্তের সুপারিশ করে
ওই বিশেষ টিম। এদিকে, বরখাস্তের বিষয়টি
নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর স্থানীয় সওজ
বিভাগে গুঞ্জন শুরু হয়।
এ বিষয়ে বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল
কালাম আজাদ বলেন, কখন কোথায় কাজের
মান খারাপ হয় এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের
কারনে কখন কাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়,
এসব নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্নতার মধ্যে
রয়েছি। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠানটির এখনও ডিফেক্ট লায়াবিলিটি
পিরিয়ড আছেই। তাই ওই ঠিকাদারী
প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই নিজ উদ্দ্যোগে ওই
খানাখন্দ মেরামত শুরু করেছে।
0 comments:
Post a Comment