আফরিন নুসরাত॥
১. ইদানিং কি এক অভ্যাস হয়েছে, ক্ষুধা
সহ্যই করতে পারি না; ক্ষুধা লাগলে আমার
রাজ্য অন্ধকার হয়ে আসে! রাত বাজে তখন
তিনটা। ক্ষুধায় হাত-পা ঠাণ্ডা, সেই সঙ্গে
মাথা ঘোরা। রুমেও খাবার কিছু নেই!
জামাই কে ডাকলাম, চলো বাইরে যাই, কিছু
কিনে আনি! সে ঘুমের মধ্যে হাত দিয়ে
ইশারা করে আমাকে একাই যেতে অনুরোধ
করল। আমি আর কথা না বাড়িয়ে দিলাম
দৌড় খাবারের সন্ধানে ! যেখানে অবস্থান
করছিলাম তার ৩০০ গজ দূরেই একটা
রেস্টুরেন্ট খোলা ছিল। সেখানে যা ছিল,
তা দিয়েই পেট পুরে খেলাম। খাওয়ার পরে
একটু হাঁটতে ইচ্ছে হলো। কিছুটা ঘুরপথ ধরে
রাতের নিস্তব্ধ রাস্তা ধরে হেঁটে রুমে
ফিরছিলাম! এমন মধ্যরাতে আমার আর
কোনওদিন এভাবে বের হওয়া হয়নি।
হাঁটিওনি কোনওদিন একা এভাবে। ভালোই
লাগছিল নতুন এক উপলব্ধিতে গা ভাসাতে।
ঢাকার রাস্তায় ঘোরা অভ্যস্ত আমার
চোখদু’টো কিছুটা দ্বিধামিশ্রিত অভ্যাসেই
দেখছিল আশপাশটা। বেশ কিছু রাতজাগা
মানুষ, কাজ থেকে ঘরমুখো মানুষের দল। অথচ
তাদের কোনও মনোযোগই নেই আমার দিকে!
মুচকি হেসে ভাবলাম, আমি অদৃশ্য হয়ে
গেলাম নাকি? কেউ আমার দিকে লোলুপ
দৃষ্টিতে তাকাচ্ছে না কেন! কেন কোনও
মানুষরূপী হায়েনা আমার দিকে তেড়ে
আসছে না! আমার পরিধেয়কে কুটিকুটি করে
ছিড়ে কেন আমাকে ধুমড়ে মুচড়ে ফেলতে
বাড়িয়ে দিচ্ছে না কোনও কালো থাবা!
পরোক্ষণেই আমি সন্বিৎ ফিরে পেলাম।
অনুভব করলাম, আমি দৃশ্যমানই রয়েছি এবং
মধ্যরাতেই রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছি!
বোধের সংমিশ্রনগুলো সারাদেহে এক
ভালো লাগার আবেশে জুড়িয়ে গেল। প্রিয়
পাঠক, অবাক হলেন নিশ্চয়ই? অবাক হওয়ারই
কথা! অভিজ্ঞতাগুলো গত ফেব্রুয়ারিতে
সিঙ্গাপুরে সফরের সময়ের। পৃথিবীর অন্যতম
নিরাপদ শহরগুলোর একটি!
২. এইতো কিছুদিন আগের কথা, সপ্তাহ
খানেক হবে হয়ত! রাস্তার পাশ ঘেঁষে ল্যাব
এইডে যাচ্ছিলাম সন্ধ্যার দিকে! আইডিয়াল
কলেজের সামনের দিকের রাস্তাটা বেশ
ফাঁকা, গায়ের ভেতরে কেমন যেন শিউরে
উঠলো যখন দেখলাম একটি ছেলে প্রায়
গায়ের ওপর এসে পড়ছে! ঘুরে বললাম, 'এই
ছেলে কী সমস্যা?' ছেলেটা অপ্রস্তুত হয়ে
বলল, 'না আপু, আমার বই পড়ে গেছে, আপনার
পায়ের কাছে, সরি!' দেখলাম সত্যি তাই!
পরে বললাম ‘ইটস ওকে’! ছেলেটি বই তুলে
পাশ কাটিয়ে মাথা নিচু করে চলে যাওয়ার
পর ভাবলাম, অল্প কিছু মানুষের জন্য আমরা
কত মানুষকেই না ভুল বুঝি এবং কত ছেলেই
তাতে বিব্রত হয়!
৩. এভাবে হঠাৎ আঁতকে ওঠার কিন্তু যথার্থ
কারণ আছে। কিছুদিন আগের ঘটনা। রাস্তা
থেকে একজন তরুণীকে মাইক্রোবাসে তুলে
নিয়ে ধর্ষণ করেছে একদল নরপিশাচ! তারও
আগে টিএসসিতে দিন দুপুরে নিপীড়িত
হয়েছেন কিছু নারী। একদল শুয়োর দলবেঁধে
ভিড়ের ভেতর হেঁটে বেড়ায় নারীর শরীর
স্পর্শ করার জন্য। বিভিন্ন মার্কেটে,
পাবলিক বাসে অথবা উৎসবে ওরা ওঁত পেতে
থাকে! এদের মনের কালো কুৎসিত
জানোয়ারটা নিজের আঙ্গুলি শাণিত করতে
থাকে নারীর শরীরকে ছিন্নভিন্ন করার
জন্য! অথচ এরা কি কখনও নিজের শরীরকে
এমন লণ্ডভণ্ড করেছে? কখনও কি ভেবেছে
এমনটায় তাদের মনের ওপর কি বাজে
ভয়ানক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়!
নারী নিপীড়ন আর ধর্ষণের মতো অভিশাপ
থেকে আমরা মুক্তি চাই। অনেকের কাছে
হয়ত আমার এই মুক্তির আরজিটি দুর্বল মনে
হতে পারে! আমি এমন ঘটনায় কেন পাল্টা
আঘাতের কথা না বলে শুধু এর থেকে মুক্তি
চাচ্ছি, যা অনেকের কাছে বোধগম্য না-ও
হতে পারে! সেক্ষেত্রে আমি বলব,
অপরাধীর শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি
আমাদের সমাজের এই অপকর্মগুলোর শেকড়
খুঁজতে হবে! কেন এই সমস্যাগুলো হচ্ছে?
নারীর প্রতি কেন তাদের এই আক্রোশ?
তাদের বেড়ে ওঠা, ধ্যান-ধারণা, চিন্তার
পরিধি, সব কিছু নিয়ে কাঁটাছেড়া করতে
হবে! এক কথায় তাদের নৃতাত্ত্বিক
বৈশিষ্ট্যগুলোকে খুঁজে বের করে এই
সমস্যাগুলোর পেছনের কারণকে সামনে
আনতে হবে। গোড়া থেকেই এগুলো নির্মূল
করে ফেলতে হবে! এই প্রক্রিয়া যদিও খুব
দ্রুত কাজে দেবে না, কিন্তু আমাদের কন্যা
অথবা তৃতীয় প্রজন্ম সেই অভিশাপ থেকে
মুক্তি পাবে!
Rome wasn't built in a day! এই প্রবাদটি
আমাদের সবার জানা! আমরা অল্পতেই
সিঙ্গাপুরের মতো নিরাপদ নগরী পাব না।
সেজন্য আমাদের দীর্ঘ পথ চলতে হবে!
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত
জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আধুনিক
একটি রাষ্ট্রের, স্বাবলম্বিতার, পশ্চাৎপদ
জনগোষ্ঠী এবং নারীদের অংশগ্রহণ
নিশ্চিত করতে গড়ে তুলেছিলেন কোটা
ব্যবস্থা ! কিন্তু ৭৫ এর ১৫ আগস্টের সেই
কলঙ্কিত রাতেই আমাদের আরও ১০০ বছর
পিছিয়ে নিল! তারপর বারবার সামরিক
শাসন আর সাম্প্রদায়িকগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ
রাজনীতিতে অংশগ্রহণ, আমাদের
নারীসমাজকে শেকলের শৃঙ্খলে যখন
জড়িয়ে ফেলেছিল, তখন আবার আমাদের
নতুন করে মুক্তির পথ দেখালেন বঙ্গবন্ধু
কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা! সম্প্রতি
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এসে নারীর
ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন যা বিশ্ব
দরবারে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অনন্য
স্থানে পৌঁছে দিয়েছে! নারীর ক্ষমতায়নে
তিনি এখন বিশ্বে রোল মডেল!
তিনি নারীর ক্ষমতায়নকে অধিকতর
শক্তিশালী করার জন্য জাতীয় সংসদে
সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৫০টি
করেছেন। জাতীয় নির্বাচনগুলোয়
নির্বাচিত নারী সংসদ সদস্যদের সংখ্যাও
মোট আসনের ২০% হারে নিশ্চিতভাবে
বেড়েছে। রাজনীতিতে নারীদের
অংশগ্রহণের সুযোগবৃদ্ধির জন্য ইউনিয়ন
কাউন্সিল, উপজেলা পরিষদ এবং
মিউনিসিপ্যালিটিগুলোয়ও সংরক্ষিত নারী
আসন সংখ্যা মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ
বাড়ানো হয়েছে এবং পাশাপাশি এসব
আসনে নারীরা সরাসরি নির্বাচন করারও
সুযোগ পাচ্ছেন।
জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ সরকারের
একটি সফল ও উল্লেখযোগ্য নীতি, যেখানে
জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে নারীর সম্পদের
সমান অধিকারসহ ব্যবসার ক্ষেত্রেও সমান
সুযোগের সৃষ্টি করা হয়েছে। নারীর বিরুদ্ধে
সহিংসতা দমনের জন্য সরকার পারিবারিক
সহিংসতা (প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা) বিধি
২০১৩ প্রণয়ন করেছে। পাশাপাশি দেশের
৭টি বিভাগে ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার’-
এর ব্যবস্থা করেছে, যেখানে নারী বিনা
পয়সায় চিকিৎসা, আইনি সহায়তা, পলিসি
সহায়তা এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন সেবা
দিয়ে যাচ্ছে। লিঙ্গ সম্পর্কিত অপরাধ,
যেমন ধর্ষণের কার্যকর তদন্তের জন্য
ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি
কিছু জাতীয় হাসপাতালে ডিএনএ
প্রোফাইলিং ল্যাবের পাশাপাশি ডিএনএ
স্ক্রিনিং ল্যাবও স্থাপন করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার নারীদের পুনর্বাসন আরও
সহজতর করতে দুস্থ সহায়তা কেন্দ্রগুলোয়
প্রশিক্ষিত এবং পেশাদার নারী
অফিসাররা পরিচালনা করছেন। নারী ও
শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, এখন একটি ‘হেল্প
লাইন’ (১০৯২১) খুলেছে, যেখান থেকে
সহিংসতায় আক্রান্তরা সহজেই বিভিন্ন
আইনি, চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং পরামর্শ
সহায়তা নিতে পারবেন।
উন্নয়নের কবি শেখ হাসিনা নারীদের
সামনে এগিয়ে আনতে এবং নারীর সমান
অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নারীদের
যোগ্যতা অনুসারে তাদের বিভিন্ন উচ্চপদে
নিয়োগ দিয়ে নারীর ক্ষমতায়নের যে
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেটা
পৃথিবীতে প্রায় নজিরবিহীন! এত কিছুর
পরও আমাদের যেসব অপ্রীতিকর ঘটনার
সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তারও নানাবিধ কারণে
রয়েছে!
বিভিন্ন ধরনের অপরাধের বিস্তার হয়
সমাজের বিভিন্ন অবক্ষয়ের কারণে। যার
পরিধি পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ হয়ে
রাষ্ট্র পর্যন্ত ছড়ায়। সুতরাং প্রতিটি
অবক্ষয়েরই একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে,
আছে স্বকীয়তাও। সেগুলোকে খুঁজে বের
করতে হবে। গবেষণা করে বের করতে হবে
এর উৎপত্তি স্থল আর কারণগুলো। রোগ
নির্ণয় না করে যেমন ওষুধ প্রয়োগ করা
বোকামি, তেমনি সামাজিক অবক্ষয়ের
কারণ এবং তার উৎপত্তিস্থল খুঁজে না
পেলে, সাময়িক এক-দুটা সমস্যার সমাধান
হয়ত করা যাবে, কিন্তু তার সম্পূর্ণ নির্মূল
করা যাবে না। মাঝে মাঝেই তা স্ববেগে
মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।আমাদের ভবিষ্যৎ
প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ এবং সুস্থ্
মানসিক-ভারসাম্যপূর্ণ দেশ গড়তে এই
চ্যালঞ্জের মুখোমুখি আমাদের হতে হবে
এবং এর প্রতিকারে অনাবিল কাজ করে
যেতে হবে।
আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর
প্রাথমিক ধাপের বইগুলোতে সাধারণত
দেখানো হয় মায়েরা গৃহস্থালি কাজ
করছেন, বাবা বাগানের আবর্জনা
পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত থাকছেন!
মায়ের কাজ হিসেবে সেখানে উল্লিখিত
থাকে রান্নাবান্না, কাপড় ও বাসনপত্র
ধোয়া, সেলাইকাজ, সন্তান লালনপালনসহ
গৃহের বিবিধ কাজ। আর বাবার কাজের
তালিকায় থাকে চাকরি বা ব্যবসা থেকে
অর্থ উপার্জন করা, বাজার করা, সন্তানদের
শাসন করা,পরিবারের সকল কাজে তার
মতামতের প্রাধান্য দেওয়া ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে শিশুদের মনোজগতে ছোট থেকেই
এই ধারণা বদ্ধমূল হয় যে, বাবা বাইরের কাজ
করবেন এবং পরিবারের একক ক্ষমতার
অধিকারী হবেন। আর মা ঘরের ভেতরের
কাজ করবেন এবং বাবার সকল সিদ্ধান্তের
আজ্ঞাবহ হবেন!
কিন্তু এই ঘটনার ঠিক উল্টো করে দেখলে
অথবা মা-বাবা এক সাথে বাগানের কাজ
করছেন বা ঘরের বাসনপত্র একসঙ্গে
পরিষ্কার করছেন, একসঙ্গে চাকরি অথবা
ব্যবসা করছেন, পরিবারে দুজন মিলে
সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তাহলে সেটার প্রভাব
অন্যরকম হতো! সেক্ষেত্রে শিশুটির
ছোটবেলা থেকেই একসাথে কাজ করার
মানসিকতা তৈরি হতে পারত এবং কাজের
ক্ষেত্রে যে কোনও জেন্ডার নেই, সেই
ধারণা বা বিশ্বাসে পরিণত হয়ে বন্ধুত্বের
সহজাত প্রবৃত্তিতে রুপান্তরিত হতো! কমে
যেত অপরাধ প্রবণতা।
এক্ষেত্রে আমাদের কারিকুলাম প্রণেতারা
এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করলে,
আমরা একটি সুস্থ্ চিন্তাধারার প্রজন্ম
পেতে পারতাম! বাচ্চাদের সঙ্গে
প্রাসঙ্গিক সব বিষয়েই খোলামেলা কথা
বলা উচিত এবং এ ব্যাপারে পরিবারের
সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে নারীর
প্রতি শ্রদ্ধা এবং সম্মানবোধও শিশুদের
স্বভাবজাত চিন্তা বা প্রবৃত্তির মধ্যে
পড়বে। বৈষম্য বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক, সেই
মানসিক বৈকল্য দূর হবে!
আশার বাণী যে, আগামী অর্থবছরের
প্রস্তাবকৃত বাজেটে নারী উন্নয়নের
বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা
হয়েছে! অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর
অংশগ্রহণ বাড়াতে পারলে দেশের উৎপাদন
সম্ভাবনা বহুলাংশে বাড়ানো সম্ভব বলে
বাজেট বক্তৃতায় মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী
আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০২১ সালের মধ্যে
শতকরা ৫০ ভাগ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত
করতে নারী উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান
সংক্রান্ত সকল প্রকল্প পুনর্বিন্যাস করা
হচ্ছে বাজেটে। নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে
গ্রহণ করা হচ্ছে নানামুখী কার্যক্রম।
তৃণমূল নারীদের বাণিজ্যিকভাবে পণ্য
উৎপাদন ও বিপণনের জন্য জয়িতা
ফাউন্ডেশন কাজ করছে। এ বছর এই
কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে বিভাগীয়, জেলা ও
উপজেলা পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা হবে।
নারীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কৃষি ও
পল্লিঋণ বিতরণের জন্য ব্যাংকগুলোকে
ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অসহায়-
অবহেলিত-প্রতিবন্ধী নারীদের সামাজিক
নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় আনা,
বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, নারীর প্রতি
সহিংসতা রোধে সরকার বৃহত্তর পরিসরে
কাজ করছে। এছাড়া নারীদের ড্রাইভিং,
ক্যাটারিং প্রশিক্ষণসহ আইসিটি সেক্টরেও
কাজের যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করা হবে বলে
ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
সর্বোপরি নারী উন্নয়ননীতি ২০১১
বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের
লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। আমাদের হয়তো আর খুব
বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না, যেদিন
আমাদের মেয়েরা সিঙ্গাপুরের মতো
বাংলাদেশেও নিরাপদে রাতের পথে
নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারবে!
লেখক: সাংগঠনিক সম্পাদক, কেন্দ্রীয়
কার্যনির্বাহী সংসদ, বাংলাদেশ
ছাত্রলীগ
0 comments:
Post a Comment