সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়
অপহরণকারীদের সঙ্গে গোলাগুলির পর
এক কলেজছাত্রকে উদ্ধার করেছে
গোয়েন্দা পুলিশ। অস্ত্রসহ আটক করা
হয়েছে চার অপহরণকারীকে।
উদ্ধার আসাদুল আলম (২২) পাবনা এডওয়ার্ড
কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রথম বর্ষের
ছাত্র।তিনি পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুরিয়া
ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের রুহুল আমিনের
ছেলে।
শনিবার রাত ৮টার দিকে গোলাগুলির ওই
ঘটনা বলে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার
মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ জানিয়েছেন।
আটকরা হলেন- উল্লাপাড়া উপজেলার
রামকান্তপুর স্কুলপাড়ার বিশু সরকারের
ছেলে অটোরিক্সা চালক নজরুল ইসলাম (২৯),
একই উপজেলার সিমলা গ্রামের ইসমাইল
ফকিরের ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩৫), রহিমপুর
গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে রেজাউল
(৩২) ও রামকান্তপুর নদীরপাড়ের আহম্মেদ
আলীর মণ্ডলের ছেলে শফিকুল মণ্ডল (৩৫)।
ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল,
গুলি, চাকু, ছয়টি হাতবোমা ও একটি
হাতকড়া উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ
সুপার মিরাজ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি
বলেন, চাকরি দেয়ার কথা বলে দুপুরে
আসাদুলকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে
উল্লাপাড়ায় ডেকে নেয় অপহরণকারীরা।
“পরে তাকে ওই এলাকার একটি বাড়িতে
আটকে রাখা হয়। সন্ধ্যার পর অটোরিক্সায়
করে তাকে সিরাজগঞ্জের দিকে নিয়ে
রওনা হয় তারা। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে
গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রাস্তায়
অবস্থান নেয়।
“কামারখন্দ উপজেলার কটিরচর এলাকা
অতিক্রম করার সময় অপহরণকারীরা
পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে গুলি করলে
পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।”
এক পর্যায়ে এক অপহরণকারী পালিয়ে
গেলেও চারজনকে আটক ও আসাদুলকে
উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশের এই
কর্মকর্তা।
আটকদের মধ্যে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
রেজাউলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে।
অন্যদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান
তিনি।
গোয়েন্দা কার্যালয়ে কলেজছাত্র আসাদুল
জানান, বিদেশে পাঠানোর জন্য
প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলে
অপহরণকারীরা তাকে উল্লাপাড়ায় যেতে
বলেছিল।
“তাদের কথামতো দুপুরে বাসে করে
উল্লাপাড়ায় এসে অপহরণের শিকার হই।”
0 comments:
Post a Comment