মাত্র ৪ দিনের ব্যবধানে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস
ট্রেন তৃতীয় বারের মত ফের লাইনচ্যুত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা শহরের বাজার ষ্টেশন থেকে ঢাকা অভিমুখে ছেড়ে যাবার পথে ষ্টেশনের অদূরে ২টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
এদিকে, সিরাজগঞ্জ-ঈশ্বরদী রেলপথে গত ৪
দিনে ট্রেনটি পর পর ৩ বার লাইনচ্যুত হওয়ায়
বিপাকে পড়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে
কর্র্তৃপক্ষ। পাশপাশি ৭ শতাধিক যাত্রীও
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা যেতে বিড়ম্বনায়
পড়েন। এদিকে, দায়িত্ব অবহেলার
অভিযোগে সিরাজগঞ্জ রেল বিভাগের
দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধবতন উপ-সহকারী
প্রকৌশলী (ওয়ে) আশরাফ উদ্দিনকে সাময়িক
বরখাস্ত সহ ঘঁনার তদন্তে আরেকটি কমিটি
গঠন করা হয়েছে। এর আগে একই রেলপথে
বুধবার রাত ১০টা ৫ মিনিটে ঢাকা থেকে
সিরাজগঞ্জ আসার পথে বাজার ষ্টেশন
থেকে ২ কিঃমিঃ দুরে ইঞ্জিন এবং
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা যাবার পথে বাজার
ষ্টেশন ও রায়পুর ষ্টেশনের মধ্যবর্তী মাহমুদপুর
মহল্লায় পেছনের গার্ডবগি লাইনচ্যুত হয়। বার
বার দুর্ঘটনার কারনে পশ্চিমাঞ্চল রেল
বিভাগ, রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান
প্রকৌশলীসহ পাকশী বিভাগীয় অফিসের
উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত ৩দিন মাঠে
রয়েছেন। তারাও সিরাজগঞ্জ-ঈশ্বরদী
রেলপথের শহীদ মনসুর ষ্টেশন থেকে জেলা
শহরের বাজার ষ্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১০
কিঃমি লুপ লাইন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
আগের দুর্ঘটনায় পাকশী রেল বিভাগ থেকে
রিলিফ ক্রেন আনা হলেও এবার হাইড্রোলিক
জগ দিয়ে ম্যানুয়ালি বগি দু’টি উদ্ধারের
প্রক্রিয়া চলছে।
অন্যদিকে মাত্র ৪দিনের ব্যবধানে পর পর
৩টি দুর্ঘটনায় রেল বিভাগ থেকে আরেকটি
পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের ডিভিশনাল
ট্রান্সপোর্ট অফিসার (ডিটিও) মোঃ শওকত
জামিল মহসিনকে আহবায়ক করে কমিটিতে
ডিভিশনাল প্রকৌশলী-২ মনিরুল ইসলাম ও
ডিভিশনাল কারিগরি প্রকৌশলী আবুল
ফারেজ রয়েছেন। আগামী ২৫ জুলাই তদন্ত
রির্পোট দাখিলের নির্দেশ রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগের প্রধান
প্রকৌশলী মাহবুবুল আলম বকশী সামিয়িক
বরখাস্ত ও তদন্ত টিম গঠনের বিষয়ে নিশ্চিত
করে বলেন, লাইনের নিচে মাঠি সরে
যাওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। তারপরও এতে
কারও গাফিলতি আছে কিনা তা খতিয়ে
দেখতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
এছাড়াও সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশন থেকে
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড়ের কড্ডায় অবস্থিত
শহীদ এম, মনসুর আলী ষ্টেশনের লাইনের
সাথে সংযুক্ত মূল ৬ কিঃমিঃ ও লুপ ৪
কিঃমিঃ মোট ১০ কিঃমিঃ রেল লাইন
সংস্কারের জন্য বুধবার থেকেই সংস্কার
কাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন কাঠের
স্লিপারের সংকট থাকায় বিভিন্ন স্থানে
ব্যবহৃত স্লিপারের ভিতর থেকে পাওয়া
ভালো ২ হাজার স্লিপার এখানে আনতে বলা
হয়েছে। সেগুলো দিয়েই সংস্কার কাজ করা
হবে।
0 comments:
Post a Comment