Saturday, August 29, 2015

যমুনা চরের লাখো মানুষের ‘ভাসমান জীবন তরীর’ সুখ-দুঃখের কড়চা

যমুনা চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আবর্তিত হয় এই রাক্ষুসী নদীকে ঘিরেই। তাই যমুনা চরের লাখে মানুষের ভাসমান জীবনতরীর সুখ-দুঃখের শেষ নেই। কেননা চরের জীবন মূল ভূ-খ- থেকে অনেকটাই আলাদা। স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা, জীবন-জীবিকা, অন্যান্য সেবা ও সুযোগ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন চরের লাখো মানুষ। মূল ভূ-খ- থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরাঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা খুবই করুণ। চরে কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস সীমাবদ্ধ। এমনো অনেক চর আছে সেখানে বংশানুক্রমে অনেক পরিবার শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। শুষ্ক মৌসুমে সুখের মুখ দেখলেও বর্ষা মৌসুমে ভাসমান জীবন যাপনে কষ্টের শেষ নেই তাদের। খরা শুষ্ক মৌসুমে বিশাল বিশাল চর জেগে উঠলে সেখানে আবাদ হয় মরিচ, ধান, শাক-সবজি ও মৌসুমী ফসল। গড়ে ওঠে গরু-ছাগল প্রতিপালনের খামার। আবার বর্ষা এলেই ভাঙ্গে নদী, ভাঙ্গে জনপদ, ভাঙ্গে হাজার মানুষের কপাল। মানুষ হয় রিক্ত নিঃস্ব সর্বশান্ত। বসতভিটা মাটি, ফসল জমি যমুনা গ্রাস করে। চোখের সামনে বিলীন হয়ে যায় পিতামাতা আত্মীয়-স্বজনের শেষ স্মৃতিচিহ্ন কবরÑ গোরস্থান। রাক্ষুসী যমুনার করাল গ্রাসে ভেঙ্গে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষা কার্যক্রম। বছরের ২টি আনন্দ উৎসব ঈদ থেকে তারা হয় বঞ্চিত। রমজানে রোজা রাখা তো দূরে থাক জান বাঁচানো দায় হয়ে পড়ে। বর্ষায় থাকে না সেনিটেশন ব্যবস্থা, নিরাপদ পানি, ঘরের টুইয়ে মাচাল পেতে চলে সংসার। ডাকাতি, চুরির ভয়ে ঘর ছাড়ে না কেউ। সাপের ভয়ে ঘুম পারে না অনেকে সুখের চেয়ে তাই দুঃখের পাল্লা হয় তাদের ভারী। সুবিধা বঞ্চিত এই চরবাসীর তাই দুঃখের শেষ নেই। এমন হাজারো সুখ-দুঃখ, নিয়ে জীবন সংগ্রামে জড়িয়ে আছে চরাঞ্চলের মানুষ।বর্তমান বর্ষাকালে যতদূর চোখ যায় পানি আর পানি। বর্ষাকালে বুকজুড়ে উঠে উত্তাল স্রোতের তরঙ্গ। দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি আর উন্মাতাল স্রোতের ঘূর্ণাবর্তা ঢেউ-চরগ্রামে বসবাসকারী মানুষের বুকে জাগায় ভয়, শঙ্কা। কেড়ে নেয় রাতের ঘুম। কখন পাতালেও গুটাতে হয় সে চিন্তায় থাকে অস্থির। শুষ্ক মৌসুমে যমুনায় পানি না থাকলেও বর্ষাকালে তা হয় পানিতে টইটুম্বর। সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের ৫ লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের সুব্যবস্থা না থাকায় পুরো শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তখন প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে প্রায় ৮ মাস এই দুর্ভোগ থাকে। মাইলের পর মাইল বালুর চরের মধ্যদিয়ে এবং কোথাও কোথাও হাঁটুপানি পার হয়ে গ্রামে গ্রামে যাতায়াত করতে হয়। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে বিশেষ করে কৃষি পণ্য চর থেকে শহরে আনতে গিয়ে কৃষকগণ চোখের পানি ফেলেন। কৃষি পণ্য বিক্রির পর লভাংশের বেশিরভাগই পরিবহন ব্যয় হয়। চরাঞ্চলের প্রাচীন আমলের ঘোড়ার গাড়িই মালামাল ও যাত্রী পরিবহনের একমাত্র বাহন। চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও চরের বাসিন্দাদের কাছে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার এক শতক পূর্ব থেকে যমুনা নদীর দক্ষিণ তীর ভাঙনের মুখে পড়ে। রংপুরের কাউলিয়া থেকে পাবনার ভেড়াকোলা পর্যন্ত যমুনা নদী বিস্তৃত। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর হতে শাহজাদপুর পর্যন্ত প্রায় ৭০ কি. মি. এলাকাই যমুনার ব্যাপক ভাঙনের মুখে পড়ে। নদী ভাঙনে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালীর শেষ সীমানা চলে গেছে, টাঙ্গাইল জেলার নিকটবর্তীতে আবার কাজিপুর উপজেলা ভেঙ্গে মিলিত হয়েছে জামালপুর জেলার সঙ্গে। শুষ্ক মৌসুমে চৌহালী যেতে হলে টাঙ্গাইল জেলা সদর হয়ে ৪৫ কি.মি. পথ পাড়ি দিয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলায় আসতে হয়। একইভাবে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে যেতে হলে জামালপুর জেলা হয়ে ঘুরে আসতে হয়। স্বাধীনতার পরবর্তীতে চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে জনমানুষে বসতী স্থাপন করে নদীর তীরবর্তী ৫টি উপজেলা হয়। এর মধ্যে কাজিপুর উপজেলার ৭টি, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪টি, বেলকুচি উপজেলায় ৪টি, শাহজাদপুর উপজেলার ৪টি এবং চৌহালী উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন চরাঞ্চলকে ঘিরে প্রতিষ্ঠিত হয়। চরাঞ্চলের বালি মিশ্রিত মাটিতে আখ, ভুট্টা, বাদাম, কালাই, মরিচসহ বিভিন্ন মসলা ও সবজি ব্যাপকভাবে আবাদ হয়ে থাকে। নগর জীবনের আধুনিক সভ্যতার অনেক কিছুই চরাঞ্চলবাসীর ধরাছোঁয়ার বাইরে। অধিক ফসল চাষ করে শহরে এনে তারা বিক্রি করে জীবনযাপনের অধিক প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা মেটায়। কিন্তু বিদ্যুৎ পাওয়া তাদের স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। সোলার সিস্টেমে অনেকে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে নিলেও যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত না হওয়ায় চরাঞ্চলবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় বছরের পর বছর। চরাঞ্চলের দু’জন সচেতন মানুষ জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার চরাঞ্চলে এখন স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসাসহ নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নানা ফসল উৎপাদন হচ্ছে বিশেষ করে মসলা ও সবজির আবাদ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে পণ্য আনা নেয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলেমেয়েদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপজেলা পরিষদে রাস্তাঘাটের প্রকল্প দেয়া হলেও তা আংশিক বাস্তবায়ন হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগে দিনের পর দিন ধরনা দিয়েও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। অথচ শুষ্ক মৌসুমজুড়েই জনগণের দাবি থাকে রাস্তা ও বাঁধ নির্মাণের। রাক্ষুসী ভাঙনে প্রতিবছর বিস্তীর্ণ এলাকা যমুনা নদীগর্ভে চলে যায়। ফলে চরএলাকার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু নির্মম সত্য হলো স্বাধীনতার ৪৪ বছরে। যমুনার চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেনি। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও শিক্ষার সুযোগ না পেয়ে দরিদ্র মানুষেরা দিনদিন পিছিয়ে পড়ছে। চরের আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হলেও কর্মসংস্থান না থাকায় সেখানে ভূমিহীন দরিদ্র মানুষ বসবাস করতে চায় না। দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত এবং ভূমিহীন মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, নদীভাঙন এগুলোর সাথে চরবাসীকে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়। বর্ষার অখ- অবসরে চরের মানুষের হাতে তেমন কাজ থাকে না। বিভিন্ন দুর্যোগ যমুনা পাড়ের মানুষকে করেছে সংগ্রামী, সাহসী ও ধৈর্যশীল। বিপুল কৃষি ফসল ফলার অপার সম্ভাবনা থাকলেও বাস্তবে অঞ্চলটি খুবই পশ্চাৎপদ, অনগ্রসর এবং অবহেলিত। যে কারণে চরাঞ্চলে বসবাসরত কৃষির উপর নির্ভরশীল লক্ষাধিক মানুষের জীবনজীবিকা ক্রমেই সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চরাঞ্চলের প্রকৃতি, পরিবেশ, বৈচিত্র আর জীবিকাকে নতুন করে সংকটের মুখে ফেলেছে। এখানে দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত এবং ভূমিহীন মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করে এবং বন্যা, নদী ভাঙন ইত্যাদির সাথে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়। চরাঞ্চলে আউশ ধানের আবাদ কমে গেছে, বোরোর আবাদ বেড়েছে। বিভিন্ন জাতের ধান হারিয়ে গেছে। নদী ভরাট হয়ে গভীরতা কমে গেছে। বিদেশী গাছ লাগানোর প্রবণতা বেড়েছে। যা পরিবেশের জন্য ক্ষতির কারণ। সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইউক্লিপটাস গাছ রোপণ করা হচ্ছে। কর্মসংস্থানের অভাব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। বাজারজাতকরণ কষ্টসাধ্য হওয়ায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় চরম বঞ্চনার মুখে পড়েছে কৃষক। এক সময় যাদের গোলাভরা ধান, পুকুর ভরা মাছ ও গোয়াল ভরা গরু ছিল আজ তারা রিক্তনিঃস্ব স্বর্বশান্ত। বহু মানুষ অর্থ সম্পদ হারিয়ে গরিব হচ্ছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ তিন ঋতুতেই বন্যা দেখা দেয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফসলের ফলন কমে যায়। নদীভাঙনের কারণে প্রতিনিয়ত মানুষ একচর গ্রাম হতে অন্য চরে চলে যাচ্ছে। বন্যার সময় চরাগ্রামের জনগোষ্ঠী ছোট দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে অনেকটা অবরুদ্ধ জীবনযাপন করে। এ এলাকার মানুষ নিরাপদ পানির জন্য নলকূপের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু বন্যার কারণে প্রায় প্রতি বছরই নলকূপ ডুবে যায়, নিরাপদ পানিপ্রাপ্তি বিঘিœত হয়। বন্যা, নদীভাঙন আর দারিদ্রতা স্যানিটেশন অবস্থার উন্নয়নে প্রধান বাধা। চরাঞ্চলে পানির উৎস নলকূপ, খাল, পুকুর এবং নদী। চরগ্রামের মানুষের নিরাপদ পানি পেতে হলে টিউবওয়েলের উপর নির্ভর করতে হয়। বন্যার সময় পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রতিবছরই পানির উৎস ডুবে যায়। ফলে নিরাপদ পানির তীব্র সংকট দেখা দেয়। এঅঞ্চলে বেশিরভাগ ল্যাট্রিন অস্বাস্থ্যকর। বেশিরভাগ মানুষের স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন কিংবা স্যানিটেশন সম্পর্কে ধারণা নেই। চরের মানুষের পরিবার-পরিকল্পনা জন্ম নিয়ন্ত্রণ ব্যাপারে সচেতন না হওয়ায় অধিক সন্তান জন্মদান এবং বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেশি। অসুখ-বিসুখে চরের মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রাম্য ডাক্তার, কবিরাজ, ঝাড়ফুঁক ও পানি পরার উপর নিভর্রশীল। তবে বেশিরভাগ চরে কমিউনিটি ক্লিনিক না থাকায় তারা চিকিৎসাসেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষার হার আশাব্যঞ্জক নয়। চরাঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই খারাপ। নদী ভাঙনে প্রতিবছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যমুনা গর্ভেবিলীন হয়ে যায়। গত ৩ বছরে সিরাজগঞ্জ জেলার শুধু চৌহালী উপজেলাতে নদী ভাঙনে ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাক্ষুসী যমুনা গ্রাস করেছে। আরো অন্তত ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে। নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠাঁই হয়েছে কারো বাড়ির উঠান, খোলা মাঠে অথবা ওয়াবদা বাঁধে। এ কারনে ঝড়ে গেছে অন্তত দুই হাজার শিক্ষার্থী। আবার কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠাননের ভেঙ্গে যাওয়া ঘরের চালের টিন দিয়ে কোন রকম ছাপড়া তুলে চলছে পাঠদান। এতে রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও শিক্ষার হার না বাড়ার অন্যতম কারণ অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, গ্রামে স্কুল না থাকা, অভিভাবকদের অসেচতনতা ও শিশুদের জমিতে কাজ করানো। চরের মানুষের উন্নয়নে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে চরের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই যমুনা নদী ভয়ঙ্কর আকার ধারন করে ক্রমাগতভাবে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, দোকান পাট, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারী-বেসরকারী স্থাপনাসহ ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গ্রাস করে। রাক্ষুসী যমুনার দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা তা-বে গত ৩ বছরে বসতিসহ ১৫ হাজার একর আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। তবে অভিজ্ঞজনের মতে সুচিন্তিত কৌশল গ্রহণ করলে চরে শান্তি সুখের সুযোগ আছে। তাদের মতে, এসব অঞ্চলে টেকসই দারিদ্র্য নিরসনে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ ও অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করার সময় সকল বিষয়ে সুদৃষ্টি রাখা জরুরী। এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান চরাঞ্চলের মানুষের জন্য আশার বাণী শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেসব প্রতিষ্ঠান চরাঞ্চল নিয়ে কাজ করবে তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃ অর্থায়ন তহবিলে অগ্রাধিকার পাবে। তার মতে, দারিদ্র্য বিমোচনে টাকার অভাব নয়, আস্থার অভাবই বড়। একই সঙ্গে সম্মিলিত প্রয়াসে, অংশিদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করলে ‘দারিদ্র্যের ভূত’ অবশ্যই বিতারিত হবে। এটা বাস্তবরূপ লাভ করলে চরাঞ্চলের দুঃখ ঘুচবে অনেকাংশে।

0 comments:

Post a Comment