সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার
চরকল্যানী গ্রাম থেকে সীমা খাতুন (২০)
নামে এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে
পুলিশ।
শুক্রবার (১৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে তার
মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত সীমা বেলকুচি উপজেলার আজুগড়া-
জামতৈল গ্রামের গুটু প্রামাণিকের মেয়ে
এবং সদর উপজেলার চরকল্যানী গ্রামের
রুহুল আমিনের স্ত্রী। এ ঘটনার পর থেকে
স্বামীসহ পরিবারের লোকেরা পলাতক
রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এক বছর আগে
চরকল্যানী গ্রামের মৃত আলী হোসেনের
ছেলে রুহুল আমিনের সঙ্গে বেলকুচি
উপজেলার আজুগড়া-জামতৈল গ্রামের গুটু
প্রামাণিকের মেয়ে সীমা খাতুনের বিয়ে
হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার
জন্য রুহুল তার স্ত্রী সীমাকে চাপ দিতে
থাকে। সীমা যৌতুকের টাকা আনতে
পারবে না জানালে রুহুল আমিন তাকে
মারধর করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই
ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) রাতে এ ব্যাপারে
তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। সকালে
বাড়ির আঙিনার আম গাছের সঙ্গে সীমার
গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখে
স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ
ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে
ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল
মর্গে পাঠায়।
নিহতের চাচা হাবিবুল্লা প্রামাণিকসহ
পরিবারের লোকজনের অভিযোগ রুহুল
আমিন প্রায়ই সীমাকে নির্যাতন করতো।
তাদের ধারণা সীমাকে মারধর করার পর
শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ গাছের
সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে রুহুল আমিন।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম
আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান,
নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে
আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায়
মামলার প্রস্তুতি চলছে।
0 comments:
Post a Comment