সিরাজগঞ্জে শহর যুবদলের সাংগঠনিক
সম্পাদক সেলিম রেজা সুজন (৩৭) নিজ
বাড়িতে ধারালো চাপাতি দিয়ে
গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যার পর জেলা শহরের
মালশাপাড়ার নিজ বাড়িতে কে বা কারা গলা
কেটে ও কুপিয়ে গুরতর জখম
করে। হাসপাতালে নেবার পথে সে
মারা যায়। সুজনের চাচিসহ স্বজনরা এটি
পারিবারিক কলহের জের ধরে দাবি
করলেও স্ত্রীর দাবি সন্ত্রাসীরা
তাকে খুন করেছে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিবুল ইসলাম
জানান, সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যার পর সুজনের
বাড়িতে ঢুকে তার শোবার ঘরে
তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে গুরতর
জখম করে। বাড়ির পেছনের দরজা
দিয়ে তারা পালিয়ে যায়। তার স্ত্রী ও
ছেলে-মেয়ে ওই সময় বাড়িতে
ছিল না। বাড়ির লোকজন তাকে
উদ্ধারের পর শহরের আভিসিনা
হাসপাতালে নেবার পথে সে মারা যায়।
পরে স্বজনরা তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে।
স্থানীয় লোকজন কর্তৃক খবর পেয়ে পুলিশ
লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত লাশ উদ্ধার হয়নি। নিহত সেলিম রেজা সুজন শহর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক। স্থানীয়ভাবে সে ডিস এন্টেনার ব্যবসার সাথে জরিত ছিল। তার বাবা আব্দুস সামাদ।
এদিকে, সুজনের মেঝচাচি নার্গিস বেগমসহ
স্বজনদের অভিযোগ, সুজন কিছুটা নেশাগ্রস্থ্য
ছিল। রাজনৈতিক মামলার কারনে সে দীর্ঘদিন
পুলিশের গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে থাকতো।
রাতে মাঝেমধ্যে বাড়িতে লুকিয়ে লুকিয়ে
আসতো। এসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে তার
স্ত্রী তিথির সাথে ঝগড়া হতো। ১০ বছরের বিবাহিত জীবনে এসব নিয়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী তিথী লোকজন ভাড়া করে এ
হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ঘটনার পর পরই পুলিশের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে,
তিথি পুলিশের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যা ৭টার পর আমার মোবাইলে কে বা কারা সুজনকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। হুমকী দেয়ার পর আমি বাড়ি থেকে বাইরে গিয়ে খোঁজ-খবর
করি। ঘরে ফিরে দেখি আমার স্বামীকে কে বা
কারা গুরুতর জখম করে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। সদর থানার ওসি আরো জানান, বিষয়টি পারিবারিক না-কি, অণ্যকিছু তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তিথিকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া, বাড়ির পাশের একটি পুকুর
থেকে রক্তমাখা একটি ধারালো চা-পাতি উদ্ধার
করেছে পুলিশ।
0 comments:
Post a Comment