সিরাজগঞ্জে মানবপাচারের শিকার
ক্ষতিগ্রস্ত ১০ পরিবারকে সহায়তা দেওয়া
হয়েছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের অর্থায়নে
রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় স্থানীয়
বেসরকারি সংস্থা পরিবর্তন’র বাস্তবায়নাধীন
‘মানবপাচারের শিকার পুরুষ ব্যক্তিদের জীবনমান
উন্নয়ন ও পুনর্বাসন’প্রকল্পের আওতায় এ
সহায়তা দেওয়া হয়।
রোববার (২৮ জুন) বেলকুচি বাজার, উল্লাপাড়া
বাজার ও উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার
এলাকায় শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও বেলকুচির
মানবপাচারের শিকার পরিবারের মাঝে এ সহায়তা
দেওয়া হয়।
সহায়তা প্রাপ্তরা হলেন- বেলকুচির
চরগোপালপুর গ্রামের মো. আব্দুল মমিন
(২৭), তালুকদার মেটোয়ানি গ্রামের মো. মিন্টু
মিঞা (২৬), মো. মজিবর রহমান (৩০), মো.
লেবু মিঞা (৪০), লক্ষীপুর গ্রামের মো.
বারিক (৩৬), পারসগুনা গ্রামের মো. মোতালেব
হোসেন (৩০), শাহ্জাদপুর থানার কুটি সাতবারিয়া
গ্রামের মো. নবি হোসেন (২৪), খুকনী
ঝাউপাড়া গ্রামের মো. আয়ূব আলী (২২),
উল্লাপাড়া উপজেলার মাগুড়াডাঙ্গা গ্রামের মো.
রনজু (৩০) ও মো. রফিকুল (২৮)।
তাড়াশ পরিবর্তন’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুর
রাজ্জাক রাজু এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে
জানান, ১০ জন ভিকটিমের মধ্যে ৩ জনকে গরু-
বাছুর, ২ জনকে মুদি দোকান করার অর্থ ও ৫
জনকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে মানবপাচারের
শিকার ৪০ ব্যক্তিকে পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়া
হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যদের দেওয়া
হবে।
২০১৪ ও ২০১৫ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি
উপজেলা থেকে প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে থাইল্যান্ড হয়ে
মালয়েশিয়ায় ঢোকার আগে কোনো কূল
কিনারা না পেয়ে সাগরে ভেসে বেড়ান এবং
অনেকেই থাই ও মালয়েশিয়া প্রশাসনের হাতে
আটক হন।
পরবর্তীতে দীর্ঘদিন সে দেশে জেল
খেটে সহায় সম্বল সবকিছু হারিয়ে বাংলাদেশে
নিজ বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর
জীবনযাপন করছেন।
0 comments:
Post a Comment