তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সলঙ্গা
থানা ছাত্রলীগ নেতা রাসেল
আহমেদকে (২৫) পরপর দুবার
মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে
একই থানার ছাত্রলীগের কয়েকজন
নেতা।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ম.ম আমজাদ
হোসেন মিলনের অতি কাছের
মানুষ হওয়ায় প্রথমবার মামলা
নেয়নি পুলিশ। দ্বিতীয় বার
কোর্টে মামলা করলে বিচারক
মামলাটি গ্রহনপুর্বক প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ দেন থানার
ওসিকে। মামলা রুজু হবার পর
থেকে আসামীরা থানার সামনে
দিয়ে ঘুরলেও পুলিশ তাদের ধরছে
না। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলছে,
আসামী ধরতে এমপির নিষেধ
রয়েছে। আর এমপি বলছে, আসামী
ধরতে কোন নিষেধ করা হয়নি।
জানা যায়, ২৩ ফেব্রুয়ারী তুচ্ছ
ঘটনাকে কেন্দ্র করে সলঙ্গা
কলেজ মাঠে ছাত্রলীগ নেতা
রাসেল আহমেদকে একই থানার
ছাত্রলীগ থানা ছাত্রলীগের
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক
ফরিদুল ইসলাম ও তার ভাই
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি
আলামিনসহ কয়েকজন ইট দিয়ে
মাথা থেতলে দেয়। এঘটনায় মামলা
করতে গেলে পুলিশ মামলা না
নেয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ
নেতারা বিষয়টি মিমাংসা করে
দেন। এরই জের ধরে আবারো ২২মে
সলঙ্গা ডাক বাংলোর সামনে
আবার মারপিট করে রক্তাক্ত করা
হয়। এ ঘটনায় রাসেলের বাবা
মোক্তার হোসেন কোর্টে মামলা
করলে বিচারক মামলাটি সলঙ্গা
থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে
গণ্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু
একমাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ
আসামী ধরছে না। আসামী থানার
সামনে নিয়মিত আড্ডা দিলেও
পুলিশ বিষয়টি দেখে না দেখার
ভান করে এড়িয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, আসামীরা
স্থানীয় এমপি ম.ম আমজাদ
হোসেনের কাছের হওয়ায় পুলিশ
তাদেরকে ধরছে না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা
সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক
জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়
এমপি বিষয়টি মিমাংসা করে
দেবেন। যে কারণে তিনি
আসামীদের ধরতে তিনি নিষেধ
করেছেন। তাই ধরছি না। বিষয়টি
নিয়ে আমিও বিপদের আছি। আপনি
ওসি স্যারের সাথে কথা বলেন।
থানার ওসি রেজাউল হকের সাথে
যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,
মামলার বাদীকে পাঠিয়ে দেন,
আমি বিষয়টি দেখছি।
সংসদ সদস্য ম.ম আমজাদ হোসেন
মিলন জানান, আমি কোন
আসামীকে ধরতে পুলিশকে নিষেধ
করি নাই।
0 comments:
Post a Comment