Tuesday, September 8, 2015

স্কুলে যাওয়ার বয়স হলেই সব শিশু যাতে ভর্তি হতে পারে : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ''ক্লাস ওয়ানে ছাপানো প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হবে কেন? যখনই একটা শিশুর ভর্তির বয়স হবে, তখনই তাকে ভর্তি নিতে হবে। শিক্ষা তার মৌলিক অধিকারগুলোর একটি।'' স্কুলে যাওয়ার বয়স হলেই সব শিশু যাতে ভর্তি হতে পারে, তা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। শেখ হাসিনা প্রশ্ন রাখেন, ''সে যদি ছাপানো প্রশ্নপত্র পড়ার মতো জ্ঞানই অর্জন করে থাকে, তাহলে আর তাকে পড়াবে কি স্কুলে?'' মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শহর এলাকায় সব শ্রেণির অভিভাবক যাতে সন্তানকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহী হন, সে জন্য এসব স্কুলের মানোন্নয়নেরও তাগিদ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ''আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন পড়তে পারে সে জন্য শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো উন্নত করা দরকার।''
এ সময় অনুষ্ঠানমঞ্চে উপস্থিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার ও সচিব মেছবাহ উল আলমের দিকে তাকিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ''আমি অনুরোধ করব, জরাজীর্ণ স্কুলগুলো মেরামত ও উন্নত করা দরকার। ছেলে-মেয়েরা তাদের প্রথম শিক্ষা পাড়ার স্কুল থেকেই নেবে, পাড়ার স্কুলেই ভর্তি হবে।'' শিশুরা যাতে স্কুলে আসতে আগ্রহী হয় সে জন্য আরও পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ''এমন ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে অভিভাবকরা মনে করেন- এটা তাদের কর্তব্য; সন্তানকে শিক্ষা দিতে হবে।''
প্রাথমিক শিক্ষাকে মূল ভিত্তি হিসাবে ধরেই শিক্ষা কাঠামোকে এগিয়ে নেওয়ার ওপরও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি বলেন, ''এমন কোনো পাঠ্যসূচি নেওয়া ঠিক হবে না, যা শিশুদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করে। একটা শিশু স্কুলে যেতেই পারল না, তার ওপর বইয়ের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হলো। পড়ার বোঝা হোম ওয়ার্কের বোঝা। এতে করে ভীতি এসে যায়।''
'বইয়ের বোঝা' চাপিয়ে দিলে পড়াশোনার প্রতি 'অনীহা সৃষ্টি হয়' মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা বলেন, ''খেলাধুলাসহ অন্য যেভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়, সে ধরনের উদ্যোগ তাদের জন্য নিতে হবে।''
মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় ইউনেস্কোর আবাসিক প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালডুন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সচিব মেজবাহ উল আলম। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক রুহুল আমীন সরকার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
১৯৯৬ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এবারের আন্তর্জাতিক এ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- 'সাক্ষরতা আর দক্ষতা, টেকসই সমাজের মূল কথা’'।

0 comments:

Post a Comment