Monday, September 14, 2015

সিরাজগঞ্জের খেলাধুলায় এখন সরব উপস্থিতিঃ এলিস বচ্চন

আজ এখানে ক্লাব তরফে ঘরোয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট। আবার কাল ওখানে ছোটদের ফুটবল প্রতিযোগিতা। আর যথেষ্ট না হলেই পরশুদিন ফুটবল একাডেমীর ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ। যার যার প্লাটফর্মে তার মতো অবস্থান নিয়েছে সিরাজগঞ্জের ফুটবলের চাকা। এমনিতেই সিরাজগঞ্জের পার্শ্ববর্তী ভূভাগে বন্যার পানি আক্রান্ত। যাকে বলে পানিবন্দি। তবুও চলছে সিরাজগঞ্জের গেরস্থের জীবন। অখন্ড অবসর। শেষ বিকেলের এক চিলতে জমির উপরেই ফুটবলসহ অন্যান্য খেলার ছাপ ফেলতে দেখা যায় খেলোয়াড়দের মেতে উঠার লক্ষণ। একদা ইয়ং স্টার ক্লাব নামে দীর্ঘ ৫ বছর পর ঘুমিয়ে থাকার পর আবারো জেগে উঠলো। নড়েচড়ে উঠলেন ক্লাব ক্রীড়া সংগঠকরা। সিদ্ধান্ত নিলেন যেকোনো মূল্যে ঘূণে ধরা ইয়ং স্টারকে আবারো মাঠে ফেরাতে হবে। করাতে হবে ফুটবল ট্রেনিং আর নতুন খেলোয়াড় তৈরির উদ্যোগ। আহ্বায়ক কমিটি হবে। নির্বাহী পরিষদ কমিটি হবে। আর উপকমিটি হবে-ইত্যাকার নিয়ে মেতে উঠার আগ্রহ দেখা যায় ইয়ং স্টার ক্লাবের নতুন ও পুরাতন কর্মকর্তা ও সমর্থকদের। পাশাপাশি মাঠের খেলায় নতুন করে ঘরোয়া ফুটবল প্রতিযোগিতা দিতে হবে-এই যখন অবস্থা তখন সিরাজগঞ্জের আকাশে বাতাসে পুরাতন খেলোয়াড়দের বয়স বাড়ছে, খেলায় আগের মতো উচ্ছ্বাস নেই এদের পায়ে। বয়স বাড়লে অবসর নিতে হয়-এই বাস্তবতার কাছে অভিজ্ঞ ফুটবল খেলোয়াড়রা যেমন মানেন, তেমন মানেন নতুন খেলোয়াড় তৈরির কারখানা বানিয়ে দেয়ার তাগিদ। হোক সেই ইয়ং স্টার ক্লাব, ২০০৯ সালে জেলা ফুটবল লীগে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর দেখা যায়নি তাদের ক্রীড়া কর্মকান্ডে। তার কারণ হলো, নির্বাহী পরিষদের সভাপতি যিনি ছিলেন, তিনি অবস্থান করেন আমেরিকায়। তার অনুমতি ছাড়া এক চাকাও ঘুরবে না। একে তো সাধারণ সম্পাদক যিনি ছিলেন, তিনি এখন এই নির্বাহীতে নেই, ভেঙে দেয়া হয়েছে কিছুদিন পূর্বে।

0 comments:

Post a Comment