Monday, September 14, 2015

উপ-আঞ্চলিক গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রমীলা হ্যান্ডবলে হৈমবালা স্কুল হেরেছে

রাজশাহী থেকে ফিরে, এলিস বচ্চন : গত শনিবার ১২ সেপ্টেম্বরে সকালে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উপ-আঞ্চলিক গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রমীলা হ্যান্ডবল ইভেন্টে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিত্বকারী হৈমবালা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় দল হেরে বিদায় নিয়েছে। ৪৪তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী দিনের প্রথম খেলায় নওগাঁ জেলা ৭-৫ গোলে সিরাজগঞ্জ জেলাকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়। সিরাজগঞ্জের হৈমবালা স্কুল প্রথমার্ধে ৩-২ গোলে এগিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রচন্ড গরমের মধ্যে হৈমবালা স্কুল প্রমীলা খেলোয়াড়রা ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শেষদিকে তাদের খেলার ছন্দ হারিয়ে ফেলে। এবং শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নেয় সিরাজগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হৈমবালা স্কুল দল। তবে দলীয় খেলার ক্ষেত্রে হৈমবালা দলের মধ্যে ঘাটতি ছিল না। সুন্দর খেলেছে। দলীয় সমঝোতা বলতে যা সেটা ছিল। একে তো এবারই তারা প্রথম রাজশাহীতে খেলতে এসে সবাই বেশ নার্ভাস হয়ে পড়ে। খেলার আগেই হেরে যাওয়ার মতো দল নয় হৈমবালা স্কুল। কিন্তু হ্যান্ডবলের দুই রেফারীর কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ও পক্ষপাতিত্বের কারণেই জোর করেই সিরাজগঞ্জকে হারিয়ে দিয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন হৈমবালা স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষিকা শামীম আরা লাজ।
এদিকে ক্রীড়া শিক্ষক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্ব দেয়া পিডিবি হাইস্কুলও পরাজিত হয়ে গতকাল শনিবার রাতে সিরাজগঞ্জে ফিরেছে। বালক ও বালিকাদের কাবাডি খেলায় দুটিতেই হেরেছে প্রতিপক্ষ নওগাঁ জেলার কাছে। পাশাপাশি ছেলেদের ফুটবলে সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিত্ব করা কাজিপুর উপজেলা দল টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে নওগাঁ জেলা দলের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে। আর প্রমীলা ফুটবল খেলায় সিরাজগঞ্জ জেলার প্রতিনিধিত্বকারী শাহজাদপুর উপজেলার ১১ বালিকার পায়ে বুট পড়া দলটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিল। সিরাজগঞ্জ বালিকা ফুটবল দল এতো চমৎকার খেলেছিল নওগাঁ জেলার বিপক্ষে। খেলার নির্ধারিত সময়ে উভয় দল ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকার কিকে ৩-২ গোলে জিতে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়। কিন্তু সেমিফাইনালে রাজশাহীর কাছে পরাজিত হয়ে বিদায় নিয়েছে। তবে খেলার বিচারে শাহজাদপুর প্রমীলা দলের খেলোয়াড়রা ছোট ছোট পাসিংয়ের জন্য রাজশাহী স্টেডিয়ামের সকল শিক্ষার্থী ও সংগঠকদের যথেষ্ট দৃষ্টি নজর কেড়েছে।

0 comments:

Post a Comment