বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
১৫৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে কাছাড়িবাড়ীতে
অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী উৎসব শেষ হয়েছে।
রোববার (১০ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলোচনা
সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়
এ আয়োজন। তবে, শাহজাদপুর পাইলট উচ্চ
বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত রবীন্দ্র মেলা
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) পর্যন্ত চলবে।
এর আগে, শুক্রবার (০৮ মে) সকালে জাতীয়
পর্যায়ে তিন দিনব্যাপী রবীন্দ্র
জন্মোৎসবের উদ্বোধন করেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া, শাহজাদপুরে
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
করেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিরাজগঞ্জ
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেনের
সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- রবীন্দ্র
গবেষক নাছিম উদ্দিন মালিথা। প্রধান আলোচক
ছিলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের
অধ্যাপক ও রবীন্দ্র গবেষক ড. অমৃত লাল
বালা।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- শাহজাদপুর
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আজাদ
রহমান, রবীন্দ্র গবেষক মাহফুজা হিলালী হ্যাপি
প্রমুখ।
পরে, জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায়
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, গীতি ও
কাব্যনাট্য পরিবেশিত হয়।
তিন দিনব্যাপী উৎসবে সিরাজগঞ্জ-শাহজাদপুর
ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে
রবীন্দ্র প্রেমীদের ভিড় ছিল চোখে
পড়ার মতো। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় সবার মধ্যে
কয়েকগুণ বেশি আনন্দ লক্ষ্য করা গেছে।
রবীন্দ্র গবেষক নাছিম উদ্দিন মালিথা
বাংলানিউজকে বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
ছিল শাহজাদপুরবাসী তথা
রবীন্দ্রপ্রেমীদের প্রাণের দাবি।
দীর্ঘদিন পরে হলেও সেটির ভিত্তিফলক
উন্মোচন করায় শাহজাদপুর তথা সিরাজগঞ্জবাসী
উচ্ছ্বসিত।
রবীন্দ্র জন্মোৎসব কমিটির সদস্য সচিব ও
সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল ওয়াদুদ
বাংলানিউজকে বলেন, রবীন্দ্র উৎসবের
শেষ দিনে কাছারিবাড়ী ছিল
রবীন্দ্রভক্তদের মিলনমেলা। শাহজাদপুরের
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীদের
পরিবেশনায় প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত
চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যায় আলোচনা সভা
শেষে রাতে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জের
শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
অনুষ্ঠিত হয়।
0 comments:
Post a Comment