বুয়েট থেকে বহিস্কৃত
ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ
সম্পাদকের ছাত্রত্ব
ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ
দিয়েছেন হাইকোর্ট।
যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের ফাঁসির বিরোধিতা
করে বুয়েটের শিক্ষক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর
আলমের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন
বুয়েট শাখা ছাত্রলীগ ছাত্রলীগ সভাপতি শুভ্রজ্যোতি
ঠিকাদার এবং সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ কনক। ওই
শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পরে
তাদেরকে বহিস্কার করেছিলো সিন্ডিকেট।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে রিট
হলে বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন
বিচারপতি কাজী রেজাউল হক এবং বিচারপতি আবু তাহের
মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং হলে থাকাসহ ছাত্র
হিসেবে তাদের সকল সুযোগ নিশ্চিত করার
আদেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলের নিষ্পত্তি
না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
হাইকোর্টের এ অাদেশের দিনে বুয়েটে
গণসংহতি সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। সমাবেশে
ওই দুই নেতাসহ বহিস্কৃত অন্য নেতাদের
বহিস্কারাদেশ তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করে সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করায়
বুয়েটে ওই শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে
তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের আওতায় সোমবার শাহবাগ
থানায় মামলা হয়েছে।
আদালতের এই নির্দেশের পর বুয়েটের
সিন্ডিকেট জরুরি বৈঠকে বসেছে।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের
ফাঁসির রায়ের পর সেই খবর বুয়েটের সর্ববৃহৎ
গ্রুপে পোস্ট করা হয়। সেখানে একজনের ‘জয়
বাংলা’ মন্তব্যের বিপরীতে বুয়েটের সিভিল
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম
মন্তব্য করেন ‘জয় মা কালী! জয় ইন্ডিয়া’।
বুয়েটের ছাত্ররা ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করলে
তিনি ওই মন্তব্যটি সম্পাদনা করে লিখেন ‘জয় ইন্ডিয়া,
জয় মাসল পাওয়ার, জয় নেস্টি পলিটিক্স, জয় ইনজাস্টিস’।
ফাঁসির আনন্দে পরের দিন বুয়েট
ছাত্রলীগের সভাপতি শুভ্র এবং সাধারণ সম্পাদক কনক
আরো কয়েকজনকে নিয়ে মিষ্টি বিলাচ্ছিলো।
জাহাঙ্গীর আলমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কনক এবং
শুভ্রদের গালি গালাজ করে।
তারা এর প্রতিবাদ করলে কয়েকদিন পর ওই
শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়
সিন্ডিকেট যন্ত্রকৌশল বিভাগের ছাত্র শুভ্র এবং
কনককে আজীবন বহিস্কার করে। একই সঙ্গে
আরো কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়।
0 comments:
Post a Comment