হয়রানি এড়াতে সিরাজগঞ্জে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া হত্যা মামলার আসামি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা তোজাম্মেল হক বকুলকে (৪৫) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামানের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত তোজাম্মেল হক সদর উপজেলার উত্তর সারটিয়া গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে।
আসামি হস্তান্তরের সময় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহজামাল আকন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক জামাল উদ্দিন তালুকদার, থানা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন শেখসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উত্তর সারটিয়া আমেনা মনসুর স্কুল মাঠে খেলা চলার সময় আসামি তোজামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই তার আত্মীয়-স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একটি হোন্ডা ভাঙচুর করে ও তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক রওশন আলী বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা দেড় শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ওইদিন রাতেই মামলা দায়ের করেন। শনিবার এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শিয়ালকোল ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামাল আকন্দ বলেন, আসামি ছিনতাই ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় দফায় দফায় পুলিশি অভিযানে এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল। এলাকার নিরীহ জনগণকে পুলিশের হয়রানী থেকে বাঁচাতে আসামি তোজামকে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহজামাল আকন্দ ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আসামি তোজাম্মেল হককে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৪ সালের ১ আগস্ট চন্ডিদাগাঁতী এলাকার চাল কলের মালিক হাজী মোতালেব হোসেনের সঙ্গে হাবিবুর রহমানের লোকজনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন হাবিবুর রহমানের ছেলে রানাকে (৩০) পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় হাজী মোতালেব ও তার ছেলে আনোয়ার এবং পলাতক তোজামসহ বেশ কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা করেন নিহত রানার বাবা। তোজাম ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি।
0 comments:
Post a Comment