যমুনার পানি কিছুটা কমে আসায় সিরাজগঞ্জ জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পানি কমতে থাকলেও বানভাসি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। কয়েক দিনের পানি বৃদ্ধিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ে নিমজ্জিত গ্রামগুলোর অবস্থা আরো ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে যমুনা নদী তীরবর্তী ৫টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অনেক অঞ্চলে বহু পরিবার ঘরবাড়ী ছেড়ে বাঁধের উপরসহ বিভিন্ন স্থানে ঝুপড়ি তুলে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকেই বলছেন তাদের ভাগ্যে এখনও মিলছে না শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি। বন্যা দুর্গত অঞ্চলে ইতোমধ্যে জ্বর সর্দিসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়াও আভ্যন্তরীণ করতোয়া ও ফুলজোড়, গাড়াদহ নদীগুলোও ফুলে ফেপে উঠছে। বন্যায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোনা ফসল আমন, শাক, মৌসুমী শাক-সবজি, মাসকলাই ও কলাসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে। সরকারীভাবে সহায়তা করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন জানান, পাঁচটি উপজেলার পানিবন্দী মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে ৭৫ মে.টন চাল ও ২ লাখ ৭০হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও কাজিপুরে ১৩টি টয়লেট, ৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৬টি টিউবওয়েল স্থাপন করা হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment