সিরাজগঞ্জে পাচারের সময় কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার ৭দিন পরও ঘটনার তেমন কোন কিনারা হয়নি। হাতেনাতে আটক প্রাইভেটকার চালক ও বাহকের ২দিনের রিমান্ড শেষ হলেও জিজ্ঞাসাবাদে তারা তেমন কোন তথ্য দেয়নি। সন্দেহভাজন ৫জনের মধ্যে ২জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বাকিরা অপেক্ষমাণ রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত ৩ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি ঘটনার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা করছে বলে কমিটির প্রধান সদর সার্কেল এএসপি ফারুক আহম্মেদ জানিয়েছেন। ১৮ই আগস্ট দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের চামড়াপট্টি এলাকা থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় গোলচত্বর এলাকা থেকে প্রাইভেটকার ও ১কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৫শ টাকাসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে প্রাইভেটকার চালক বাবু ওরফে যুবরাজ (২৮) ও রাজশাহীর দেবীপুরের খলিলুর রহমানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাককে (২৮) পুলিশ আটক করে। পরে ২ দিনের রিমান্ডে এনে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এ ছাড়াও আটককৃতদের তাৎক্ষণিক দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক ছানোয়ার হোসেন ও সিরাজগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি আবু সাঈদ সুইট, যুবদলকর্মী মিরপুর মহল্লার মৃত বাকি সরকারের ছেলে হুমায়ন কবীর, সিরাজগঞ্জ বাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম ওরফে জান বক্সের ছেলে সেলিম আহম্মেদ ও বিএ কলেজ রোডের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে যুবদল নেতা রাজিব আহম্মেদকে নোটিশ করে ২৩শে আগস্ট থানায় হাজির হতে বলা হলেও এসবি’র ছানোয়ার হোসেন ও হুমায়ন কবির ছাড়া কেউ এখনও হাজির হয়নি। এদিকে, টাকার সঙ্গে জব্দকৃত গাড়িটির মালিক ঢাকার তেজগাঁও থানার পশ্চিম নাখাল পাড়ার বাসিন্দা এসবি’র উপ-পরিদর্শক ছানোয়ার হোসেনের সহোদর মারস ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী এ.এস.এম আনোয়ার হোসেনকে পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রকার নেটিশ দেয়া হয়নি।
অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সদর সার্কেল এএসপি ফারুক আহম্মেদে গতকাল দুপুরে বলেন, পুলিশ সুপারের নির্দেশ অনুযায়ী টাকা পাচারের ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ২১শে আগস্ট চালক-বাহকের ২ দিনের রিমান্ড শেষে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে। ২৩শে আগস্ট এসবি’র এসআই ছানোয়ার হোসেন ও হুমায়ুন কবির কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিয়েছে। বাকিদের সাক্ষ্য গ্রহণ করার পর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দু-এক দিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়া শেষ করার কথা জানালেও জিজ্ঞাসাবাদে তারা কি তথ্য দিয়েছে তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন সার্কেল এএসপি।
টাকা উদ্ধারের পর বঙ্গবন্ধু সেতু থানার উপ-পরিদর্শক আহসান হাবিব ৫৪ ধারায় মামলা করেন। ঘটনার অনুসন্ধানে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সদর সার্কেল এএসপি ফারুক আহম্মেদেকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন, সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি ওহেদুজ্জামান ও বঙ্গবন্ধু সেতু থানার ওসি হেলাল উদ্দিন।
0 comments:
Post a Comment