Sunday, May 29, 2016

সিরাজগঞ্জে ৩ ভবন মালিককে ৭২ ঘন্টার সময় দিয়ে তলব

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জে প্রাণখ্যাত ইলিয়ট ব্রিজের জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ,ঝুঁকিপূর্ণ ও নির্মাণাধীন একটি ভবনের দেয়াল ধসের ঘটনায় জরিনা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধা আহত হওয়ার ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পৌরসভার জায়গা দখল করে সরকারি ১১হাজার কেভি বৈদ্যুতিক লাইনের সাথে ভবন নির্মাণ এবং ওই তারে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা। বৃহস্পতিবার বিকালে ৩টি স্থান পরিদর্শনের সময় সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র -১ হেলাল উদ্দিন,জেলা আ.লীগনেতা আব্দুল বারী,৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় অবৈধ ভাবে নির্মাণ করা ভবন মালিকদের তিরস্কারসহ আগামি রোববারের মধ্যে ভবন নির্মানের প্রয়োজনীয় নথি পত্র নিয়ে পৌরসভায় উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানাগেছে,১৮৯২ সালে সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্যেবর্তি স্থানে স্যার চার্লস ইলিয়টের নামানুসারে নির্মিত ইলিয়ট ব্রিজ (বড়পুল) এর জায়গা দখল করে জনৈক হাজী আব্দুর রাজ্জাক নামে এক তাঁত ব্যবসায়ী বহুতল ভবন নির্মান ও ব্রিজের সৌন্দর্য্য হানি করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ সচেতন নাগরিক ফোরাম এক মানববন্ধন ও সমাবেশ করে ৭দিনের আল্টিমেটাম দেন। মানববন্ধনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে মেয়র ওই ব্যাক্তিকে শাসিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে অফিসে তলব করেন।
অপরদিকে গত ২১ মে শহরের প্রেসক্লাব মোড় বাহিরগোলা সড়কের বাসিন্দা মুদি দোকানী শাহজামাল এর নির্মানাধীর ৬তলা ভবনের ৪তলাতে প্রাইভেট পরতে এসে সানজিদ (১২) নামে ৫ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ১১হাজার কেভি ভোল্টের তার জড়িয়ে মারা যায়। অবৈধ ভাবে পৌরসভার জায়গা দখল করে ভবন বৃদ্ধি এবং অরক্ষিত ভাবে কাজ করার কারণে ওই শিমু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকেও তিরস্কার করেন এবং আগামি রোববারের মধ্যে নকশা ও প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে পৌরসভায় হাজির হতে বলেন। একই সাথে গত বুধবার বিকালে শহরের এসএস রোডে ঝড়ো বাতাসে সিমেন্ট ও রড ব্যবসায়ী আবু সাইদের মালিকানাধীন তৈরি ভবনের ৫ তলায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে নির্মাণাধীন একটি ভবনের দেয়াল ধসে পাশের বাড়ির জরিনা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধা আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে শহরের আভিসিনা বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওই ঘটনায় ধসে যাওয়া বাড়ির মালিক আবু সাইদকে স্থানীয়রা পুলিশে সোপর্দ করলেও তাৎক্ষনিক ক্ষতিপূরণ ও বৃদ্ধার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের আশ্বাস দিলে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে পৌর মেয়র আকস্মিক ভাবে ওই বাড়িও পরিদর্শন করেন এবং অপরিকল্পিত ভাবে ৪তলার অনুমোদন নিয়ে ৫তলা ভবন তৈরীর কারণে এঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে তাকেও একই নির্দেশনা দেন।
গত এক সপ্তাহের ৩ঘটনা সম্পর্কে পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান,অপরিকল্পিত এবং পৌরসভার জায়গা দখল করে যে ব্যাক্তিই ভবন নির্মাণ করুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে ছাড়ের কোন সুযোগ নেই।

0 comments:

Post a Comment