Wednesday, June 8, 2016

বড় বাজারে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের পরিদর্শন হঠাৎ দাম কমতে শুরু করলো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের

রমজানের প্রথম দিনে জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ দু’কর্মকর্তা সরেজমিনে বাজারে আসায় দোকানীরা সতর্ক হওয়ায় ক্রেতারা বেশ সুবিধা পেতে লাগলো। দোকানে ঝুলানো বাজার দরের তালিকায় তারতম্য দেখে দোকানীদের সতর্ক করলেন জেলা প্রশাসক। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাজার বনিক সমিতির লোকজনকে নিয়ে দোকানীদের সচেতন করতে বিভিন্ন দোকানে ঢুকলেন। এসময় সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল গ্রামের মৃত হাজী কবির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল। মঙ্গলবার সকালে শহরের বড় বাজারে এসেছেন ছোলা কিনতে। বড় বাজারের মেসার্স রহমান স্টোরে ভাল এক কেজি ছোলার দাম ৯০ টাকার নিচে নয় বলে দোকানী ক্রেতা জলিলকে জানিয়ে দিলেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার শুরুতেই এলেন মেসার্স রহমান স্টোরে। জিজ্ঞাস করলেন ছোলার দাম। এসময় দোকানী ছোলা কেজি প্রতি ৮৫ টাকা বলায় ক্রেতা আব্দুল জলিল সাথে সাথে ৫ কেজি কিনে ফেললেন। ৫ কেজিতে তিনি জিতলেন কমপক্ষে ২৫ টাকা। শুধু রহমান স্টোর নয়, পুরো বাজারের প্রায় সকল কাঁচা ও মুদী দোকানীরা প্রশাসনের বড় দু’কর্মকর্তাকে দেখে সতর্ক হতে শুরু করেলেন। এক কেজি বেগুনোর দাম সকালে ৬০/৭০ টাকা চাওয়া হলে, তারা ৩০ থেকে ৫০ টাকায় নেমে এলো। ক্রেতাদের অনেকেই প্রশাসনের এ ধরনের পরিদর্শন ঘন ঘন চালু রাখার জন্য দাবি জানান। বাজার বনিক সমিতির সভাপতি সেলিম আহম্মেদ ও সাধারন সম্পাদক জিন্নাহ সহ বেশ ক’জন নেতৃবৃন্দ এসময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আশ্বস্থ্য করেন জিনিষপত্রের তারতম্য নিয়ন্ত্রনে তারাও নিয়মিত বাজার মনিটরিং করবেন। এসময় এনডিসি, জেলা মার্কেটিং অফিসার আইয়ুব আলী, সিভিল সার্জন অফিসের সেনিটারী ইন্সপেক্টার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভ্রাম্যমান দলে উপস্থিত ছিলেন। ফুটপথ বন্ধ করে দোকানপাট তৈরী করে পথচারীদের বিড়ম্বনায় ফেলায় বড়বাজারে দু’পাশের সড়কের দোকানীদের এসময়ে সতর্ক করলেন পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক। তারা বলেন, প্রাথমিকভাবে দোকানীদের সতর্ক করে গেলাম। নিজেরা সংশোধন না হলে আগামীতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে। মৌশুমী ফলে ফরমালিন মেশানো হচ্ছে কিনা, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সেটিও দেখা হবে।

0 comments:

Post a Comment