Friday, June 10, 2016

সিরাপ ও ঘুমের ঔষুধ খেয়ে নেশা করছে শিশুকিশোররা

বিভিন্ন ঘুমের ঔষুধ খেয়ে নেশা করছে শিশুকিশোররা। সিরাজগঞ্জ পৌরএলাকার কিছু মহলা সয়াধানগড়া ভাসানী রোড, ব্যাপারীপাড়া, শহীদগঞ্জ, রহমতগঞ্জ, নতুন ভাঙাবাড়ী ও সয়াগোবিন্দের শিশুকিশোররা। এ সমস্ত এলাকার কোমলমতি শিশুকিশোরদের কাছে ডাক্তারে ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে ঘুমের ট্যাবলেট ও কাশি সিরাপ। স্থায়ীভাবে এটি মিকচার বা ফিটনি নামে পরিচিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ফিটনি সেবনকারীর কাছ থেকে জানা যায়, এলাকায় শিশুকিশোররা ফ্যানারড্রিল, অফকফ, তুসকা, ডেক্সপোটেন, এক্সপোটেনসহ আরো অনেক কাশির সিরাপের মধ্যে ইজিয়াম, ডিজিপন-২, ওরাডেক্সন, ইজিতেন গুঁড়ো করে সিরাপের মধ্যে ঝাকিয়ে সেবন করে। এটি সেবনের কিছুক্ষণ পরে নেশায় চোখ লাল হয়ে যায়। তাদের কথাবার্তায় এলোমেলো হয়ে যায়। অসঙ্গতি ভাষায় বিড়বিড় করে। এ রকম সমাজকল্যাণ মোড়, খাঁপাড়া মাঠ, কাটাখালীর ধারে, বাহিরগোলা, রহমতগঞ্জ মিল মাঠ স্কুলের পিছনে, শহীদগঞ্জ মধ্যপাড়া, সয়াগোবিন্দ স্কুলের পেছনে এবং আরো আশপাশের এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, এ সব চিত্র গাঁজা, ফেনসিডিলসহ অন্যান্য নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য বিক্রি হয়। পুলিশের তৎপরতায় মাদকব্যবসায় ২/১ জন গ্রেফতার হলে জেলহাজ বাসের কয়েকমাস পর আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারো ঐ ব্যবসা শুরু করে। জানা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় কিছু যুবক ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই এসব ঔষুধ কিনে এনে শিশুকিশোরদের কাছে সরবরাহ করে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা বৃদ্ধি পেলে এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে ফার্মেসী মালিকদের সাথে আলাপ আলোচনায় ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঔষুধ বিক্রি বন্ধ করা উচিত বলে অধিকাংশ চিকিৎসকদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এ বিষয়ে সংশি¬ষ্ট চিকিৎসকগণ আরো বলেন, এসব ঔষুধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলে লিভার ও কিডনী নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকার সচেতন মহল।

0 comments:

Post a Comment