কবির বিন আনোয়ার ১৯৬৪ সালের ২২ মে (রবিবার), বাংলা ১৩৬২ সালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় নানার বাড়িতে দুপুর ৩ টার দিকে জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচলক (প্রশাসন) ও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। তাঁর পিতা আনোয়ার হোসেন রতু সিরাজগঞ্জ মহকুমা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধারে ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। মা সৈয়দা ইসাবেলা একাধারে কথাসাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিক্ষক।
পিতামহ- আব্দুস সামাদ মিয়া, ত্রিশের দশকে কলকাতা থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে পাবনা ও সিরাজগঞ্জে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। মাতামহ- সৈয়দ ইসহাক নিরাজী ছিলেন সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী’র সহোদর ভাই, শিক্ষক ও সঙ্গীতজ্ঞ। পিতা- আনোয়ার হোসেন রতু সিরাজগঞ্জ জেলার প্রবীণতম রাজনীতিক, খেলোয়াড় ও সংস্কৃতিসেবী। একাত্তরে সিরাজগঞ্জ মহকুমার সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। তাছাড়া তিনি সিরাজগঞ্জ মহকুমা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধারে ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। মাতা- সৈয়দা ইসাবেলা একাধারে কথাসাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিক্ষক। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পনের।
শিক্ষা
১৯৭২ সালে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে ভর্তি, হোস্টেলে থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ। ১৯৮০ সালে শিক্ষকগণ কর্তৃক নির্বাচিত হয়ে কলেজ প্রিফেক্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি। ১৯৮২ থেকে সামরিক শাসন বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ। ১৯৮৫-১৯৮৮ পর্যন্ত ছাত্রলীগ ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন।
কর্মজীবন
১৯৮৮ তে সিভিল সার্ভিসে (প্রশাসন) (৭ম ব্যাচ) যোগদান। একযুগ মাঠ পর্যায়ে, অর্ধযুগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তন্মধ্যে ৩ বছর নেদারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে অতঃপর রাঙামাটি বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরবর্তী সময়ে অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পরিচলক (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত।
এছাড়াও আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা, সাঁকো প্রতিবন্ধী স্কুল সিরাজগঞ্জ এবং জুয়েল অক্সফোর্ড স্কুল সিরাজগঞ্জ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালনরত।
সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন পরিবারের পক্ষ থেকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আগামীর পথচলা আরো সুন্দর হোক।