সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলার কারণে এক সেবিকার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরের দিকে সিজার করার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের সেবিকা রঞ্জনা রানী বর্মণকে সন্তান প্রসব করানোর জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
দুপুর ১টার দিকে গাইনি ডাক্তার বকুলের তত্ত্বাবধানে সিজারের মাধ্যমে তিনি সন্তান প্রসব করেন। তার কিছুক্ষণ পর রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে তার ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায় ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ এ ভর্তি করা হয়। এ সময় ডা. আবদুর রাজ্জাক আলম রোগীকে দেখতে এসে রোগীর অবস্থা খারাপ মনে হলে তিনি ডা. আবদুল মান্নানকে মোবাইলে জানান। ডাক্তার আবদুল মান্নান এসে রোগীকে দেখার সময় অন্য সেবিকারা ডাক্তারকে একটি মনিটর লাগিয়ে দিতে বলেন।
কিন্তু তিনি তা না লাগিয়ে বলেন, আমার চেম্বারে অনেক রোগী বসে আছে, আমি এখন সময় দিতে পারব না। এ সময় রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে এবং বিকাল ৫টার দিকে রোগী মারা যান। ডাক্তারের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে সাধারণ সেবিকাদের ভেতর চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের সেবিকারা সিভিল সার্জন ডা. দেবপ্রদ রায়কে মৌখিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে ডা. আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উল্লিখিত অভিযোগগুলো সত্য নয়। তবে সিজারে কোনো ক্রুটির কারণে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
0 comments:
Post a Comment