প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগণের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রেলওয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রকল্প দু’টির ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার পর বলেন, দেশ ও জনগণের দীর্ঘমেয়াদী কল্যাণের কথা বিবেচনা করে এই দুই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও জনপথ সচিব এম এ এন সিদ্দিক পিপিপি ভিত্তিক ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে এবং রেলওয়ে সচিব মো. ফিরোজ সালাহ উদ্দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস রেলওয়ের উপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন।
প্রকল্পের অর্থ সংস্থান প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্পের ব্যয় বা অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে চিন্তা করার প্রয়োজন নেই, বরং জনগণের জন্য কোনটি কল্যাণকর হবে সেটির ভিত্তিতে প্রকল্প বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষের আয় বাড়ছে। আগামী ২০ থেকে ২৫ বছরের পরিবর্তিত অবস্থার কথা মনে রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোর ও বিবিআইএন আঞ্চলিক যোগাযোগের উপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিসিআইএম উদ্যোগ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
তিনি বলেন, ব্যবসার মতোই যোগাযোগ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ অবস্থায় শক্তিশালী আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকলে, দেশের অর্থনীতি গতি পাবে না, এ কথা আমাদের মনে রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক অনুষ্ঠান এবং পদ্মা সেতুর সঙ্গে এক্সপ্রেস রেলওয়ে প্রকল্পের রেল নেটওয়ার্কের ব্যবস্থা রাখতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যয় যাই হোক না কেন, দেশের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সেরা প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ২৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে, যা প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।
ডেমু ট্রেন সার্ভিসের সাফল্য সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এখন ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ যেতে মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগে। আগে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা চলে যেতো।
এ সাফল্যের প্রেক্ষাপটে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ তিন রুটে ডেমু ট্রেন চালুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রী পানগাঁও কন্টেইনার টার্মিনালের কথা বিবেচনায় নিয়ে সাশ্রয়ী পরিবহন হিসেবে নৌপথ ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলওয়ে মন্ত্রী মুজিবুল হক, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. মশিউর রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
0 comments:
Post a Comment