সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে দুইজনকে ‘কুপিয়ে হত্যার চেষ্টার সময়’ এক ব্যক্তিকে ধরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে স্থানীয়রা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কাজিপুর থানার ওসি (তদন্ত) তছলিম জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার চরগিরিশ ইউনিয়নের চরনাটিপাড়ার এলাকা থেকে ওই ব্যক্তির লাশ তারা উদ্ধার করেন।
নিহত উজ্জ্বল মিয়া (৪২) ওই এলাকার আজগর আলীর ছেলে।
চরগিরিশ ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল হক মিন্টু বলেন, “উজ্জ্বলের আচরণে এলাকার লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। কয়েকদিন আগে সে নাটিপাড়ার চিকিৎসক জাহিদকে হত্যার জন্য গভীর রাতে তার ঘরের বেড়ায় টেঁটা নিয়ে আঘাত করে। এ সময় জাহিদের গর্ভবতী স্ত্রী গুরুতর আহত হন।”
“এর কয়েকদিন পর গভীর রাতে স্থানীয় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে জানালা দিয়ে তার বোনের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এছাড়া ১৪/১৫ দিন আগে সে একই এলাকার জুড়ান নামের একজনের বাড়ির গোয়াল ঘরে ঢুকে চারটি ছাগল জবাই করে রেখে পালিয়ে যায়।”
মিন্টু বলেন, এ ঘটনায় জাহিদ থানায় মামলা করেন ও জুরান অভিযোগ করেন। এর জেরে বৃহস্পতিবার ২টার দিকে উজ্জ্বল প্রথমে জুড়ানের বাড়িতে গিয়ে তার ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। এরপর জাহিদের বাড়িতে গিয়ে তাকেও কুপিয়ে জখম করে।
“খবর পেয়ের গ্রামবাসী তাকে আটক করে করে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে। পরে গুরুতর অবস্থায় তারা উজ্জ্বলকে উদ্ধার করে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
“কিন্তু পুলিশ তাকে হেফাজতে না নেওয়ায় স্থানীয়রা তাকে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি উজ্জ্বলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে স্থানীয়রা নাটুয়ারপাড়া বাজার এলাকায় একটি ভ্যানের উপর লাশ রেখে চলে যায়। ”
এ বিষয়ে নাটুয়ারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বিমল কুমার চাকী বলেন, উজ্জ্বলের অবন্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তারা তাকে হেফাজতে রাখেননি।
“উজ্জ্বলের উপর স্থানীয় লোকজন ক্ষুদ্ধ ছিল। সম্প্রতি একটি মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খাটে সে। কিন্তু জামিনে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে সে আবার আগের মত আচরণ করেছিল।”
তিনি বলেন, উজ্জ্বল কাউকে মারধর করেছে কিনা,এ বিষয়ে তারা নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে কাউকে পিটিয়ে হত্যা করার অধিকারও কার নেই।
ওসি তছলিম বলেন,“উজ্জ্বলের সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকজনের বিরোধ চলছিল। তারাই উজ্জ্বলকে হত্যা করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
তবে এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
0 comments:
Post a Comment