Tuesday, October 10, 2017

আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে রাস্তার পাশের সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
কাজিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তছলিম উদ্দিন জানান, খবর পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে কাটা ১৮টি গাছের কয়েকটি খণ্ড উদ্ধার করেছে।
“খন্ডগুলো থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ইউএনও এবং এলজিইডি অফিসের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও স্থানীয় মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সাকোওয়াতের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, ছালাভরা-ঢেকুরিয়া আঞ্চলিক সড়কের এলজিইডির অধিগ্রহণ করা জায়গায় ১৯৯৭ সালে রাস্তা নির্মাণের পাশাপাশি রাস্তার পাশ দিয়ে ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়।
“সোমবার সেখান থেকে ১৮টি ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রির পর কাটা হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে সেগুলো ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা নাজমুল হামিদ রেজা ও এলজিইডি অফিসের প্রতিনিধি মিজানুর রহমানসহ থানা পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে গাছের বেশকিছু খন্ড জব্দ করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, অবৈবভাবে সরকারি গাছ কাটা কাম্য নয়। জব্দকৃত গাছের খন্ডগুলো উদ্ধারের পর থানা হেফাজতে রেখে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করার জন্য ইউএনওকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গেলে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, কাজীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সাকোওয়াত অবৈধভাবে আলম নামের একজন কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় গাছগুলো বিক্রি করায় তারা গাছগুলো কেটেছেন।
এ বিষয়ে কাজীপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও স্থানীয় মাইজবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শওকত হোসেন সাকোওয়াত বলেন, ছালাভরা বাজারে আওয়ামী লীগের একটি দলীয় অফিস নির্মাণ ও একটি মসজিদে অর্থ সাহায্যের জন্য স্থানীয় নেতাকর্মীরা ছয়টি গাছ কেটেছে।
“বিষয়টি তারা আমাকেও অবগত করেছিল। ধরা পড়ার পর নিজেরা বাচাঁর জন্য এখন তারা আমার নাম বলছে।”

0 comments:

Post a Comment