সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Friday, December 6, 2013

হেনরী বললেন, আমি সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি

গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ প্রতিদিনে 'কপাল পুড়েছে হেনরীর' শিরোনামে খবরের প্রতিবাদ করেছেন মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী। গতকাল এক বিবৃতিতে হেনরী বলেন, আমি সোনালী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। দুদকের কাছে দেওয়া কথিত অভিযোগের তদন্ত করে আয়বহিভর্ূত কোনো সম্পদ পায়নি। শত কোটি কেন কোনো টাকাও অনিয়ম বা দুর্নীতি করে উপার্জন করিনি। তিনি বলেন, আমি শুধু সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য রাজনীতি করি না। দুর্নীতির কারণে দশম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাইনি বলে যে কথা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মেনেই আমি নির্বাচন ও ভবিষ্যৎ রাজনীতি করব। - See more at: http://www.bd-pratidin.com/2013/12/05/30292#sthash.J96wyoxC.nYtMnCP9.dpuf

Wednesday, November 6, 2013

নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন তা অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে।

নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন তা অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে। নির্বাচনকালীন এ অন্তর্বর্তী সরকারে একজন অনির্বাচিত ব্যক্তি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করবেন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এই সর্বদলীয় সরকারে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আসছে না ধরে নিয়েই তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহাজোট সূত্র। সূত্রমতে, বিএনপি যদি সর্বদলীয় সরকারে আসে তবে এতে ২০ জন মন্ত্রী থাকবেন। আর বিএনপি না এলে এ মন্ত্রিসভার সদস্য হবে ১০/১২ জন কিংবা এর কাছাকাছি কোন সংখ্যা। তবে সর্বদলীয় এ সরকারের মন্ত্রিসভায় সদস্য সংখ্যা বেজোড় রাখার চিন্তা চলছে। সে ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ১৩ কিংবা ১৫ হতে হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে। সম্ভাব্য এ মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু প্রমুখ সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী হিসেবে থাকছেন বলে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানিয়েছে, সংবিধানে প্রতি ১০ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১ জন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে মন্ত্রী হিসেবে (টেকনোক্র্যাট) নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ বিধান আমলে নিয়ে সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে মহাজোটে আওয়ামী লীগের প্রধান শরিক সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টি এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, এমন ইস্যুতে নেই তারা। আর যদি জাতীয় পার্টি সর্বদলীয় সরকারে অংশ নেয় তাহলে দলটির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ও বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী জিএম কাদের নির্বাচনকালীন সরকারকে মন্ত্রী হওয়ার মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। অবশ্য এর আগেই বর্তমান সরকারের মন্ত্রীরা পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেবেন। মহাজোট সরকারের যেসব মন্ত্রী সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেবেন তাদের নতুন করে শপথ নিতে হবে।

Saturday, November 2, 2013

জেলহত্যা দিবসের স্মৃতিকথা.. তোফায়েল আহমেদ

১৯৭৫-এর ৩ নভেম্বর মানব সভ্যতার ইতিহাসকে ম্লান করে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা– সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, ক্যপ্টেন এম. মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সেদিন আমি ময়মনসিংহ কারাগারে বন্দী। কি দুঃসহ জীবন তখন আমাদের। ময়মনসিংহ কারাগারের কনডেম সেলে (ফাঁসির আসামীকে যেখানে রাখা হয়) আমাকে রাখা হয়েছিল। সহকারাবন্দী ছিলেন “দি পিপল” পত্রিকার এডিটর জনাব আবিদুর রহমান। কিছুদিন আগে যিনি পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন। আমরা দু’জন দু’টি কক্ষে ফাঁসির আসামীর মতো জীবন কাটিয়েছি। হঠাৎ খবর এলো, কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। কারাগারের সকলে এবং কারারক্ষীরা সতর্ক। ময়মনসিংহ কারাগারের জেল সুপার ছিলেন শ্রী নির্মলেন্দু রায়। চমৎকার মানুষ তিনি। কারাগারে আমরা যারা বন্দী, তাদের প্রতি তিনি ছিলেন সহানুভূতিশীল। বঙ্গবন্ধুও তাকে খুব স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু যখন বারবার কারাগারে বন্দী ছিলেন, নির্মলেন্দু রায় তখন কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হয়ে নির্মলেন্দু রায়কে কাছে টেনে সবসময় আদর করতেন। সেদিন গভীর রাতে হঠাৎ নির্মলেন্দু রায় আমার সেলে এসে বলেন, “ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আপনার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন।” আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এতো রাতে কেন? তিনি বললেন, “ঢাকা কারাগারে আপনাদের প্রিয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা কারাগারের চতুর্দিক পুলিশ দ্বারা বেষ্টন করে রেখেছি, জেল পুলিশ ঘিরে রেখেছে। এসপি সাহেব এসেছেন আপনাকে নিয়ে যেতে।” আমি বললাম, না, এভাবে তো যাওয়ার নিয়ম নেই। আমাকে যদি হত্যাও করা হয়, আমি এখান থেকে এভাবে যাব না। পরবর্তীকালে শুনেছি সেনাবাহিনীর একজন মেজর সেদিন কারাগারে প্রবেশের চেষ্টা করে। নির্মলেন্দু রায় তাকে বলেছিল, “আমি অস্ত্র নিয়ে কাউকে কারাগারে প্রবেশ করতে দেবো না।” কারাগারের চতুর্পার্শ্বে আমাকে রক্ষা করার জন্য সেদিন যারা ডিউটি করছিলেন তাদের মধ্যে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সহপাঠী ওদুদ সেখানে নেতৃত্ব দিয়েছিল কারাগারকে রক্ষা করার জন্য। নির্মলেন্দু রায়ের কাছে আমি ঋণী। জেলখানার এই নিষ্ঠুর হত্যার খবরে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে অতীতের অনেক কথাই ভাবতে শুরু করি। ছাত্র জীবন থেকে আমি জাতীয় চার নেতাকে নিবিড়ভাবে দেখেছি। তাঁদের আদর-স্নেহে আর রাজনৈতিক শিক্ষায় সমৃদ্ধ হয়ে জীবন আমার ধন্য হয়েছে। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট যেদিন জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়, আমরা সেদিন নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জাতীয় চার নেতাসহ আমরা ছিলাম গৃহবন্দী। ১৫ আগস্টের পরদিন আমার বাসভবনে খুনীরা এসে আমাকে তুলে রেডিও স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে আমার উপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়। পরবর্তীতে জেনারেল শফিউল্লাহ এবং আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সদ্যপ্রয়াত কর্নেল শাফায়াত জামিল– তিনি তখন ঢাকার ব্রিগেড কমান্ডার– তাদের প্রচেষ্টায় রেডিও স্টেশন থেকে আমাকে বাড়ীতে আমার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মায়ের কথা আজ ভীষণভাবে মনে পড়ে। আমাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মা বেহুঁশ হয়ে পড়েছিলেন। মায়ের শরীরের উপর দিয়েই আমাকে টেনে নেয় ঘাতকের দল। আগস্টের ২২ তারিখ জাতীয় চার নেতাসহ আমাদের অনেক বরেণ্য নেতাকে গ্রেফতার করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লাইন দিয়ে দাঁড় করিয়েছিল গুলী করে হত্যা করার জন্য। যেকোন কারণেই হোক শেষ পর্যন্ত হত্যা করে নি। পরে নেতৃবৃন্দকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাদের উপর যে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল তা উপেক্ষা করে আমরা খুনী মোশতাকের সকল প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। গৃহবন্দী অবস্থা থেকে জিল্লুর রহমান, আমাকে ও জনাব আবদুর রাজ্জাককে একই দিনে গ্রেফতার করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কোণে অবস্থিত পুলিশ কন্ট্রোলরুমে ৬ দিন বন্দী রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। এরপর আমাকে ও আবিদুর রহমানকে ময়মনসিংহ কারাগারে এবং জিল্লুর রহমান ও প্রিয় নেতা রাজ্জাক ভাইকে কুমিল্লা কারাগারে নিয়ে যায়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতীয় চার নেতার কতো স্মৃতি। ’৬৬তে বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা দেন, তখন তাজউদ্দীন ভাই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক। ছয় দফা দেওয়ার পর মার্চের ১৮, ১৯ ও ২০ তারিখ হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু মুজিব সভাপতি এবং তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বঙ্গবন্ধু মানুষ চিনতে ভুল করতেন না। তিনি যোগ্য লোককে যোগ্যস্থানে বসাতেন। সৈয়দ নজরুল ইসলামকে প্রথম সহসভাপতি, মনসুর আলী সাহেবকে অন্যতম সহসভাপতি, কামারুজ্জামান সাহেবকে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করেছিলেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাজউদ্দীন ভাই পরমনিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেন। বঙ্গবন্ধু সারা বাংলাদেশে ছয় দফার সমর্থনে জনসভা করেন এবং যেখানেই যান সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুকে থামাতে পারেনি। মে’র ৮ তারিখ নারায়ণগঞ্জের জনসভা শেষে ধানমণ্ডির বাসভবনে ফেরামাত্রই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরপরই তাজউদ্দীন ভাইসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতিবাদে ৭ জুন আমরা সফল হরতাল পালন করি। হরতাল শেষে এক বিশাল জনসভায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছয় দফা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করে অপূর্ব সুন্দর বক্তৃতা করেছিলেন। তিনি অনলবর্ষী বক্তা ছিলেন। তাজউদ্দীন ভাই দক্ষ সংগঠক ছিলেন এবং এএইচএম কামারুজ্জামান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ হিসেবে পার্লামেন্টে বাঙালির পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবীতে সোচ্চার ছিলেন। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের এই জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বারংবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন অপূর্ব দক্ষতার সাথে। ’৬৯-এর গণআন্দোলনে তাজউদ্দীন ভাইসহ অধিকাংশ নেতাই কারাগারে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাইরে ছিলেন। জানুয়ারির ১ম সপ্তাহে মরহুম আহমেদুল কবীরের বাসভবনে ডাকের সভা চলছিল। সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে ১১ দফা দাবী নিয়ে জাতীয় নেতৃবৃন্দের কাছে গিয়েছিলাম। নেতৃবৃন্দের কাছে যখন ১১ দফা ব্যাখ্যা করি, তখন ন্যাপ নেতা মাহমুদুল হক কাসুরি বলেছিলেন, ”You have included Sheikh Mujib’s six points in to, so questions of acceptance does not come.” তাঁর এই বক্তব্যের পর বলেছিলাম, আমরা বাঙালি, কিভাবে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয় আমরা জানি। আপনারা সমর্থন না করলেও এই ১১ দফা আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আমরা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে প্রিয়নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে কারাগার থেকে মুক্ত করবো। এই দৃপ্ত উচ্চারণের পর সৈয়দ নজরুল ইসলাম আমাকে বুকে টেনে আদর করে বলেছিলেন, “তোমার বক্তব্যে আমি আনন্দিত ও গর্বিত।” মহৎ হৃদয়ের অধিকারী নেতৃবৃন্দদের যার যা প্রাপ্য, বঙ্গবন্ধু তাদের তা দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ইতিহাস বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিনি তৃণমূলের কর্মীকে নেতা বানিয়েছেন; ইউনিয়নের নেতাকে থানার নেতা; থানার নেতাকে জেলার নেতা; জেলার নেতাকে কেন্দ্রের নেতা এবং কেন্দ্রীয় নেতাকে জাতীয় নেতা বানিয়ে নিজে হয়েছিলেন জাতির পিতা। তাঁর কাছে কর্মীদের কাজের, দক্ষতার এবং যোগ্যতার মূল্য ছিল। ’৭০-এর ঐতিহাসিক নির্বাচনে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ, এবং এএইচএম কামারুজ্জামান পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে কে কোন পদে পদায়িত হবেন বঙ্গবন্ধু তা নির্ধারণ করে রেখেছিলেন। ’৭০-এর নির্বাচনে মাত্র ২৭ বছর বয়সে আমি এমএনএ হয়েছিলাম। ’৭১-এর ২৩ ফেব্রুয়ারি পার্লামেন্টারী পার্টির মিটিংয়ে বঙ্গবন্ধু সংসদীয় দলের নেতা, সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপনেতা এবং এএইচএম কামারুজ্জামান সচিব, ইউসুফ আলী চীফ হুইপ, আবদুল মান্নান এবং আমিরুল ইসলাম হুইপ নির্বাচিত হন। প্রাদেশিক পরিষদ নেতা নির্বাচিত হন মনসুর আলী। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলে মনসুর আলী হবেন পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী। এজন্য মনসুর আলীকে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এভাবেই বঙ্গবন্ধুর সেটআপ করা ছিল। ’৭১-এর ১ মার্চ পূর্বঘোষিত জাতীয় পরিষদ অধিবেশন একতরফাভাবে স্থগিত হলে বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম পর্ব। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে সর্বাত্মক স্বাধীনতা ঘোষণার পর শুরু হয় অসহযোগের দ্বিতীয় পর্ব। বিশ্বে এমন অসহযোগ কখনো দেখে নি কেউ। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সুচারুরূপে পরিচালনা করেছে অসহযোগের প্রতিটি দিন। এ সময় লালমাটিয়ায় আমাদের প্রয়াত নেতা খুলনার মোহসীন সাহেবের বাসভবনে বসে আমরা সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতেন জাতীয় চার নেতার সাথে পরামর্শক্রমে। বঙ্গবন্ধু এমন এক নেতা ছিলেন যে, তাঁর অবর্তমানে কে কোথায় কী কাজ করবেন এটি আগেই নির্ধারণ করতেন। ২৫ মার্চ রাতে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণার পর যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়, তখন জাতীয় চার নেতাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দক্ষতার সাথে মুজিবনগর সরকার পরিচালনা করেন। মুজিবনগর সরকারে বঙ্গবন্ধু নেই, কিন্তু অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং স্বরাষ্ট্র ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী কামারুজ্জামান সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করে ’৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর দেশকে হানাদার মুক্ত করেন। আজকে স্বাধীনতার ইতিহাস অনেকেই বিকৃত করে। অথচ কি সুন্দর পরিকল্পনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন। ’৭১-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি আমাদের চারজন– শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক এবং আমাকে বঙ্গবন্ধু ডাকেন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে। বঙ্গবন্ধু আমাদের বলেন, “পড়ো, মুখস্থ করো।” আমরা মুখস্থ করলাম একটি ঠিকানা– “২১, রাজেন্দ্র রোড, নর্দার্ন পার্ক, ভবানীপুর, কলকাতা।” বলেছিলেন, “এইখানে হবে তোমাদের জায়গা। ভুট্টো-ইয়াহিয়া ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। পাকিস্তানীরা বাঙালিদের ক্ষমতা দেবে না। আমি নিশ্চিত ওরা আক্রমণ করবে। আক্রান্ত হলে এখান থেকেই মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করবে।” বঙ্গবন্ধু সব ব্যবস্থা করে রেখেছিলেন। সদ্য নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য চিত্তরঞ্জন সুতারকে আগেই কলকাতায় প্রেরণ করেছিলেন। ডাক্তার আবু হেনা প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য। তাকেও বঙ্গবন্ধু আগেই পাঠিয়েছিলেন অসহযোগ আন্দোলন চলাকালে। যে পথে আবু হেনা গিয়েছিলেন, সেই একই পথে তিনি মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, মণি ভাই এবং আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন। রাজেন্দ্র রোডে আমরা অবস্থান করতাম। ৮ নং থিয়েটার রোডে অবস্থান করতেন জাতীয় চার নেতা। নেতৃবৃন্দের সাথে আমার নিয়মিত যোগাযোগ হতো। কতোবার তাজউদ্দীন ভাইয়ের সাথে বর্ডারে রণাঙ্গনে, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের এক পর্যায়ে মুজিববাহিনীর সাথে মুজিবনগর সরকারের ভুল বোঝাবুঝির চেষ্টা হয়েছিল। জাতীয় নেতৃবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সকল ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রিয় মাতৃভূমিকে আমরা স্বাধীন করেছি। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর আমি এবং রাজ্জাক ভাই দেশে আসি ১৮ ডিসেম্বর। ২২ ডিসেম্বর চার নেতা ফিরেন; বঙ্গবন্ধু এলেন ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি। ডিসেম্বরের ২২ তারিখ আমরা বিমানবন্দরে মুজিবনগর সরকারের জাতীয় চার নেতাকে অভ্যর্থনা জানাই। ’৭২-এর ১১ জানুয়ারি তাজউদ্দীন ভাইয়ের বাসভবনে বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। তিনি সংসদীয় গণতন্ত্রে ফিরে যাবেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন বঙ্গবন্ধু মুজিব স্বয়ং; সৈয়দ নজরুল ইসলাম শিল্পমন্ত্রী; তাজউদ্দীন আহমেদ অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী; ক্যাপ্টেন মনসুর আলী যোগাযোগমন্ত্রী এবং কামারুজ্জামান ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৪ জানুয়ারি মাত্র ২৯ বছর বয়সে প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হবার। সেই থেকে বঙ্গবন্ধুর কাছে থেকেছি শেষদিন পর্যন্ত। ’৬৯-এর পর থেকে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার অফুরন্ত স্নেহ-আদর-ভালোবাসা এবং সাহচর্য পেয়েছি। যা কোনদিন ভুলবার নয়। ’৭৪-এর ২৬ অক্টোবর, তাজউদ্দীন ভাইকে মন্ত্রীসভা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রতিদিন তাজউদ্দীন ভাইয়ের বাসায় যেতাম। তাজউদ্দীন ভাই আমায় বলতেন, “দেখো তোফায়েল, সারা জীবন যা কিছু করেছি, তার সবই মুজিব ভাইয়ের খাতায় জমা রেখেছি। আমার নিজের খাতায় কিছুই রাখি নি। যে কোন মূল্যে মুজিব ভাইকে বাঁচাতে হবে। মুজিব ভাইকে বাঁচাতে না পারলে আমরা কেউ-ই বাঁচতে পারবো না। এই স্বাধীনতা সবকিছু অর্থহীন হয়ে যাবে।” ভাবতে অবাক লাগে, তাজউদ্দীন ভাই মন্ত্রীসভায় ছিলেন না- সরকারে ছিলেন না, অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর রক্ত দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করে গেছেন! তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগ নেতা, সংসদ সদস্য, সভাপতি, শিল্প মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি

Saturday, October 26, 2013

হরতাল পান্তাভাত-মায়া: খালেদা সংঘাতের পথ বেছে নিলেন-নাসিম

বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় জোট ঘোষিত টানা তিন দিনের হরতাল প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় আজ বিকেলে বিরোধী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ১৮ দলীয় জোটেরে টানা তিন দিনের ডাকা হরতাল রাজপথে মোকাবেলা করতে হবে। তাদেরকে ঘর থেকে বের হতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার এই অবৈধ আবদারের হরতাল জনগণ মানবে না। এটি এখন পানতা ভাত। শেখ হাসিনার গণতান্ত্রিক প্রস্তাবনার অধীনেই তাকে নির্বাচনে আসতে হবে। এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, শেখ হাসিনার সংলাপের আহ্বানে সাড়া না দিয়ে খালেদা জিয়া সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম বিএনপিকে হরতাল প্রত্যাহার করে সংলাপের জন্য আহ্বান জানান। নাসিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানে খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধী জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অযৌক্তিক। যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ গণতন্ত্রের দিকে এগুচ্ছে এবং একটি সমঝোতায় পৌঁছার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে ঠিক তখনই বেগম জিয়া সংঘাতের পথ বেছে নিলেন। তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি সরকারকে অবৈধ বলার কে? সাংবিধানভাবে সরকার দেশ পরিচালনা করছে। আপনারা অসাংবিধানিক কথা বলছেন। নাসিম বলেন, একটি নির্বাচিত সরকার কখনো অবৈধ হতে পারে না। বরং আপনাদের সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অবৈধ। ///http://bangladeshpress.com/news/view/4320

সন্ধ্যায় খালেদার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আলোচনা ঃ সুরঞ্জিত.

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, মন্ত্রী : সেনগুপ্ত। সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের বৈঠক রয়েছে, ওই বৈঠকের পর খালেদা জিয়াকে ফোন করবেন প্রধানমন্ত্রী। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সভা রয়েছে। সে সভা শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আপনাকে [বিরোধীদলীয় নেতা] ফোন দেবেন। আমরা প্রত্যাশা কররো দেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে আপনি সহযোগিতা করবেন।’

Thursday, October 24, 2013

একডালায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২৫

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার একডালা মহল্লায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ১০টি বাড়ী ও দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। আহতদের মধ্যে শওকত (২৫), মঞ্জু (২৬), ইনসান (২৮), আফজাল (২৫), ইনতেহার (২২), সাদ্দাম (২২), ফরিদূল (২৬), মানিক (২৮), রিপন (২৩), আকন্দ (৩০), জুয়েল (২৭), সুমন (২৪), শামীম (২৫)কে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাফি ভুইয়ার সাথে একডালা ধোপাবাড়ী মহল্লার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাদ্দাম, সুমন, মানিক, নাসির, রুবেল ও রাসেলের সাথে রাজনৈতিক কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গত শুক্রবার রাতে শাফি ভুইয়ার উপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত একডালা মহল্লার আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে দফায় দফায় সংর্ঘষ হয়। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে একডালা মহল্লার শওকতের চায়ের দোকান, মঞ্জু, ইনসান, আফজাল ও ইনতেহার ও হক মাষ্টারের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ৩০ রাউন্ড টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নি্েক্ষপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন ধরে একডালা ও ধোপাবাড়ী মহল্লায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলেও পুলিশ চলে আসার আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাগলা বাবা ইসমাইল শাহ্ মাজার শরীফে নূরনবী গং ও জামাত শিবিরের হামলা

পাগলা বাবা ইসমাইল শাহ্ মাজার শরীফে গতরাত্রি ১১ ঘটিকার সময় চরহরিপুরের নূরনবী গং ও জামাতপন্থী মাদ্রাসার কতিপয় ছাত্র, পাগলা বাবা ইসমাইল শাহ্ মাজার শরীফ এর গেট ভাংচুর করে এবং ওজুখানার দুইটি টিউবওয়েল নিয়ে য়ায়। পরে মাজার শরীফের ভক্তবৃন্দ গন সেখানে অবস্থান নেয় এবং এই ঘটনার জন্য প্রসাশনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। পাগলা বাবা ইসমাইল শাহ্ মাজার শরীফে গতরাত্রি ১১ঘটিকার সময় চরহরিপুরের নূরনবী গং ও জামাতপন্থী মাদ্রাসার কতিপয় ছাত্র, পাগলা বাবা ইসমাইল শাহ্ মাজার শরীফ এর গেট ভাংচুর করে এবং ওজুখানার দুইটি টিউবওয়েল নিয়ে য়ায়। পরে মাজার শরীফের ভক্তবৃন্দ গন সেখানে অবস্থান নেয় এবং এই ঘটনার জন্য প্রসাশনিক ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। ঘটনার স্থানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Wednesday, October 23, 2013

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল বোঝাই ট্রাক উল্টে সড়কে যানজট

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় উল্টে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়কে যান চলাচল। এ ঘটনার পর দু’পাশে মহাসড়কে অন্তত ১৮ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ায় চালক ও যাত্রীরা দূর্ভোগের কবলে পড়েন। সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের রায়গঞ্জ উপজেলার ১৬ মাইল এলাকার ক্ষুদ্রদৌলতপুর নামক স্থানে আজ সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকটি সরিয়ে নেয়ায় ২ ঘন্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। এসময় ওই ট্রাক থেকে ১৮০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী ফরিদ আহম্মেদ জানান, বগুড়া থেকে ঢাকাগামী মেমি মেহরাজ পরিবহন নামের ধানের গুড়ার বস্তা ভর্তি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক সরিয়ে নিলে সকাল ১০টা থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। তিনি জানান, এসময় ধানের গুড়ার বস্তা থেকে ১৮টি কার্টুনে থাকা ফেন্সিডিলি উদ্ধার করা হয়। দূর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পরই ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে। উদ্ধারকৃত ফেন্সিডিল ও ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকটি রায়গঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ নিয়ে মামলা প্রস্তুতি চলছে।

Saturday, October 19, 2013

আগামী ২৪ অক্টোবর মহাজোট ছাড়ছে জাতীয় পার্টি !

আগামী ২৪ অক্টোবর মহাজোট ছাড়ছে জাতীয় পার্টি। শনিবার দুপুরে বনানীতে মহাজোটের প্রধান শরিক এই দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসিডিয়াম বৈঠকে মহাজোট ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলানিউজকে জানান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৈঠকে বলেছেন, `আমি (এরশাদ) ২৪ অথবা ২৫ অক্টোবর মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দিতে চাই।` তবে দলের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক ফাস্ট লেডি বেগম রওশরন এরশাদ এমপি বৈঠকে আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, এভাবে তড়িঘড়ি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক হবে না। প্রয়োজনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে অন্যান্য প্রেসিডিয়াম সদস্যরা মহাজোট ছাড়ার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতীয় পার্টির এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলানিউজকে বলেন, রোববার আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসবে। সে বৈঠকে মহাজোট ছাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সে বৈঠকে সীমিত সংখ্যক সিনিয়র নেতা অংশ নেবেন। বৈঠক সূত্র আরো জানায়, ২৪ ও ২৫ অক্টোবর মহাজোট ছাড়ার কথা ‍বলা হলেও ২৬ অক্টোবর রাজধানীর বাসাবোতে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ রয়েছে। ওই সমাবেশ থেকেও মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা আসতে পারে।

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে বড় ধরনের সুখবর বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষিয়ান আইনজীবি ব্যারিস্টার রফিক উল হক।

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবকে বড় ধরনের সুখবর বলে মন্তব্য করেছেন বর্ষিয়ান আইনজীবি ব্যারিস্টার রফিক উল হক। দুই দল আলোচনার মাধ্যমে এখন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে খুঁজে নেবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি। see more at :www.somoyerkonthosor.com

লাহিড়ী মোহনপুরে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে মানববন্ধন ও রেলপথ অবরোধ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পি ও পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর জন্মভূমি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশনে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরোতি ও আসন বরাদ্দের দাবিতে স্থানীয় কয়েক হাজার জনগণ শনিবার সকালে ঘন্টাব্যাপী রেলপথ অবরোধ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। এসময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্ক সিটি ট্রেনটি আন্দোলনকারীরা অবরোধ করে রাখেন। এসময় বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের সহজ যোগাযোগ মাধ্যম ট্রেন হওয়া সত্বেও ব্রিটিশ শাসনামলে গড়ে উঠা লাহিড়ী মোহনপুর ষ্টেশনে কোন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি বা আসন বরাদ্দ নেই। এটা নাগরিক অধিকার পরিপন্থি। তারা দ্রুত দাবীপূরণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ পেয়ে র‌্যাব ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে দাবিপূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন।

Friday, October 18, 2013

আজ বিশ্ব বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা

। পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তীথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান, অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এ প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে দেশের প্রতি বিহারে বিহারে শুরু হবে পবিত্র কঠিন চীবর দানোৎসব। এছাড়া প্রভাত ফেরি, ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষুসংঘের পি-দান, শীল গ্রহণ ও প্রদীপপূজার মধ্য দিয়ে পালিত হবে দিনটি। দিনের শেষে সন্ধ্যায় তীথির মূল আকর্ষণ পবিত্র ফানুস উড়ানো উৎসব। আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করে আশ্বিনী পূর্ণিমায় পরিসমাপ্তি ঘটে। এই পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজ কৃত অপরাধ বা পাপ স্বীকার করে পরিশুদ্ধ হয়। ফলে এটি প্রবারনা পূর্ণিমা নামে খ্যাত। এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ আকাশে ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজা করে। প্রচলিত আছে গৌতম বুদ্ধের চুল আকাশে ভেসে যাওয়ার ঘটনাকে উপলক্ষ করে ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজো করা হয়। ফানুস উড়ানো দেখতে চাইলে আজ সন্ধার মধ্যে আপনারা যেতে পারেন ঢাকা অবস্থিত বাড্ডা এবং বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে অথবা চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি অঞ্চলের যে কোন বৌদ্ধ মন্দিরে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক।

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আশঙ্কার মধ্যেই শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ এ কথা জানান।আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ড করা ওই বক্তব্য শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সম্প্রচার করা হবে। এছাড়া বেসরকারি সব টেলিভিশন চ্যানেলও প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ একযোগে সম্প্রচার করবে। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট, বিরোধীদলের আন্দোলনের হুমকি, নির্বাচনকালীন সরকারের রুপরেখা, সাংবিধানিক ব্যাখ্যা, সরকারের অবস্থান এ জাতীয় ইস্যু প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে ঠাঁই পাবে বলে আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ফলে বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষের আগের ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে আগামী দশম সংসদ নির্বাচন হবে। সংসদের চলতি অধিবেশন ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চালানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে কার্যউপদেষ্টা কমিটির। এর মধ্যে ‘নির্দলীয় সরকার পদ্ধতির’ বিল সংসদে পাস না করলে ২৫ অক্টোবর থেকে সরকার পতনের কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের বলেছেন, ২৪ অক্টোবরের পর সংসদ চলতে পারবে না, এটা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই। এরই মধ্যে আগামী ২৫ অক্টোবর ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। একই দিন আওয়ামী লীগও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে। দুই দলের পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও প্রস্তুতিতে ২৫ অক্টোবর নিয়ে জনগণের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

Monday, October 14, 2013

হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সময় থেকে শুরু এই হজের মাধ্যমে বান্দার জন্য আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হতে থাকবে যুগ যুগ ধরে, পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত

হজ ইসলামের পাঁচটি ‍স্তম্ভের একটি। এর মাধ্যমে মুসলমানগণ আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভ করেন। এই দিনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দার গুনাহ সর্বোচ্চ পরিমাণে মাফ করে থাকেন। হাদীস অনুযায়ী হজের মাধ্যমে বান্দা যেন সদ্যজাত শিশুর ন্যায় বেগুনাহ মাসুম হয়ে যায়। হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সময় থেকে শুরু এই হজের মাধ্যমে বান্দার জন্য আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হতে থাকবে যুগ যুগ ধরে, পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত। হজের মুল আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসাবে হাজিরা ইতিমধ্যে মিনায় পৌঁছেছেন। মিনাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় এবং রাত্রিযাপন শেষে সোমবার আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন হাজিরা। সেখানে এক আযানে যোহর এবং আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন তারা। প্রতি বছরের মতো এবারও স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে আরাফায় অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক খুৎবা (বক্তব্য) পাঠ করবেন সৌদি গ্রান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ আল শেখ। খুৎবা চলবে ঘন্টাব্যাপী। হজের তিন ফরজের মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হিজরী ১০ সালে অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ চলাকালীন সময়ে আরাফায় অবস্থিত জাবালে রহমত পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ (সা.)এর জীবৎকালে এটা ছিলো শেষ ভাষণ। তাই সচরাচর এটিকেই বিদায় খুৎবা বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণেই চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া ছিলো। সারাদিন আরাফায় অবস্থান শেষে সন্ধ্যায় হাজিরা মুজদাফিলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন। সেখান থেকে তারা মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। সকালে ফজরের নামাজ শেষে আবার ফিরে আসবেন মিনায়। পরদিন সকালে অর্থাৎ মঙ্গলবার জামারায় শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের পর হাজিদের পশু কোরবানির প্রস্তুতি নিতে হবে। অধিকাংশ হাজি নিজে বা বিশ্বস্ত লোক দিয়ে মুস্তাহালাকায় (পশুর হাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দেন। ইচ্ছে করলে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) রিয়াল(টাকা) জমা দিয়ে কোরবানি দিতে পারবেন। কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মণ্ডনের মধ্য দিয়ে ইহরাম ত্যাগের মাধ্যমে হজের মূল কার্যক্রম শেষ করবেন।

Friday, October 11, 2013

শনিবার আঘাত হানবে পাইলিন :সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

ঘূর্ণিঝড় পাইলিন শনিবার সন্ধ্যার দিকে ভারতের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ধীরে ধীরে শক্তি জোগাচ্ছে পাইলিন। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ভারতের পূর্ব উপকূলীয় উড়িষ্যা ও দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশে ২০৫ থেকে ২১৫ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানবে কিনা-এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। তবে সতর্কতা হিসেবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে পাইলিনের অবস্থান ছিল দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় পারাদিপ থেকে ৬৫০ কিলোমিটার, গোপালপুর থেকে ৭০০ কিলোমিটার এবং পূর্ব-দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় কলিঙ্গপাটনাম থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে। শুক্রবার সকালে ঝড়টি অন্ধ্রপ্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ভিসাক্ষাপাটনাম থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থান করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের একটি সংবাদ মাধ্যম। পাইলিন মোকাবেলায় আগাম সতর্ক ব্যবস্থা নিচ্ছে অন্ধ্র ও উড়িষ্যা প্রদেশ সরকার। উড়িষ্যা সরকার প্রতিরোধমূলক কাজ শুরু করেছে। ডিজাস্টার র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সকে মাঠে নামিয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেছেন উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী। কর্তৃপক্ষকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জেলা প্রশাসকদের স্যাটেলাইট ফোন দেওয়া হয়েছে যেন সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ব্যাহত না হয়। উড়িষ্যার ১৪টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের পূজার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এসব জেলা হচ্ছে-পুরি, খুরদা, নয়াগঢ়, গঞ্জম, বালাসোর, ভাদরাক, ময়ূরভঞ্জ,কেওনঝাড়, ধেনকানাল, জাজপুর, কুটাক, কেন্দ্রাপাড়া, জগৎসিংপুর ও গাজাপাতি। ঘূর্ণিঝড় প্রবণ পুরি, কেন্দ্রাপাড়া, জগৎসিংপুর, ভাদরাক, বালাসর, গঞ্জমসহ জেলা সদরগুলো ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করেছে রাজ্য সরকার। এসবের সমন্বয় করা হচ্ছে ভুবনেশ্বরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে।

Thursday, October 10, 2013

সিরাজগঞ্জে প্রমীলা ইনডোর গেমস প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী: এলিস বচ্চন

সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজনে প্রমীলা ইনডোর গেমস প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীপর্ব শেষ হয়েছে। ১০ অক্টোবর’১৩ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামের দোতলায় সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসকের পতœী লিমা হোসেন দাবা, ক্যারম বোর্ড ও টেবিল টেবিল প্রমীলা খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। রাজশাহী বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি জান্নাত আরা তালুকদার হেনরীর উপস্থাপনায় সিরাজগঞ্জ জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় দাবা স্কুল বিভাগে সালেহা স্কুলের মিলা চ্যাম্পিয়ন, সালেহা স্কুলের হুমায়রা রানার আপ ও দাবা কলেজ বিভাগে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের শ্যামা চ্যাম্পিয়ন ও সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের রেশমা রানার আপ হয়েছেন। টেবিল টেনিস একক বিভাগে হৈমবালা স্কুলের লিমা চ্যাম্পিয়ন ও সালেহা স্কুলের প্রত্যাশা রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। ক্যারম বোর্ড ক্লাব একক বিভাগে শিলা চ্যাম্পিয়ন ও রিয়া রানার আপ হন। ক্যারম বোর্ড দ্বৈত্য স্কুল বিভাগে জাহানারা স্কুলের রিমা ও সালেহা স্কুলের শীতশ্রী জুটি চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ক্যারম বোর্ড দ্বৈত্য কলেজ বিভাগে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের মুন্নী-আল্পনা জুটি চ্যাম্পিয়ন ও সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের রেশমা-হ্যাপি জুটি রানার্স আপ হওয়ার কৃতিত্ব দেখান। ক্যারম বোর্ড একক স্কুল বিভাগে সালেহা স্কুলের শীলা চ্যাম্পিয়ন ও এসবি রেলওয়ে স্কুলের প্রিয়া রানার আপ হন। ছোটদের ক্যারম বোর্ড একক বিভাগে এসবি রেলওয়ে স্কুলের নীলা চ্যাম্পিয়ন ও সালেহা স্কুলের নীপা রানার আপ হয়েছেন। বড়দের ক্যারম দ্বৈত্য বিভাগে জাহানারা স্কুলের অন্তরা-রিমা জুটি চ্যাম্পিয়ন ও সালেহা স্কুলের শীতশ্রী-শিলা জুটি রানার্স আপ হয়েছেন। ক্যারম বোর্ড কলেজ দ্বৈত্য বিভাগে সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের মুন্নী-আল্পনা জুটি চ্যাম্পিয়ন ও সিরাজগঞ্জ সরকারী কলেজের রেশমা-হ্যাপি জুটি রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন। প্রমীলা ইনডোর গেমসের পুরস্কার বিতরণীতে উপস্থিত ছিলেন ডিডিএসি’র পতœী মিসেস উৎপলা দাস, এডিএম’র পতœী মিসেস মুক্তি ইসলাম, ইউএনও’র পতœী মিসেস সুমি শারমিন, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান মোছাঃ নুরুন্নাহার খানম, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা ফারজানা সিদ্দিকা বারী অপু, হাসনা কিবরিয়া, মেরিনা সুলতানা, আইরিন পারভীন, ইফাত আরা বিউটি, আয়েশা নাসরিন এমেলী, নন্দিতা দাস, রুমানা রেশমা, মনোয়ারা সুলতানা, ফাহিমা সুলতানা, বেগম নুরমহলসহ আরো অনেকে। পুরস্কার বিতরণীতে আরো উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা তায়কোয়ান্ডো টিমের মারিয়া, মুন্নী, জেলা ব্যাডমিন্টন টিমের সুমাইয়া, জেলা প্রমীরা সাঁতারু দলের ক্ষুদে খেলোয়াড়বৃন্দসহ প্রায় ৩১ জন প্রমীলা খেলোয়াড়বৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন লিমা হোসেন। এর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মিসেস উৎপলা দাস, মিসেস মুক্তি ইসলাম মিসেস সুমি শারমিন, মোছাঃ নুরুন্নাহার খানম, জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী ও ফারজানা সিদ্দিকা বারী অপু।

Wednesday, October 9, 2013

জামায়াত নেতারা নিজের সন্তান নয়,অন্যদের ব্যবহার করেন

জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর ছেলে সৈয়দ হায়দার ফারুক মওদুদী মাদরাসা নয়, আধুনিক শিক্ষায় আগ্রহী জামায়াত নেতারা : অনুসন্ধানে জানা যায়, ইসলামিক নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন খান, মরহুম শায়খুল হাদিস, মরহুম ফজলুল হক আমিনী, মাওলানা ফজলুল করিম ও অন্য অনেকের সন্তানরা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিত। তাদের বেশিরভাগই মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। অন্যরা কোনো না কোনোভাবে মাদরাসার সঙ্গে সম্পৃক্ত। জামায়াতে ইসলামীতে দেখা গেছে ব্যতিক্রম। এ দলের শীর্ষ ৬ নেতার কোনো সন্তান মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত নন। তারা সবাই আধুনিক ধারার শিক্ষায় শিক্ষিত। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত গোলাম আযমের বড় ছেলে মামুন আল আজমি জেদ্দায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে চাকরি করছেন। তার চতুর্থ ছেলে ব্রিগেডিয়ার (বরখাস্তকৃত) আমান আল আজমি ঢাকায় বসবাস করেন। তার অন্য চার ছেলে বাস করেন লন্ডনে। মতিউর রহমান নিজামীর আছে চার ছেলে ও দুই মেয়ে। তারা পড়াশোনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে। তাদের মধ্যে আছেন ডাক্তার, ব্যারিস্টার ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের আছে তিন ছেলে ও এক মেয়ে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। কাদের মোল্লার আছে দুই ছেলে ও চার মেয়ে। তার ছোট ছেলে হাসান মওদুদ মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ করছেন। বাকিরা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের আছে ৫ ছেলে ও ১ মেয়ে। এর মধ্যে এক ছেলে ও এক মেয়ে দেশেই পড়ছেন। দুই ছেলে সুইডেনে ও এক ছেলে মালয়েশিয়ায় পড়ছেন। মীর কাশেম আলীর আছে দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। বড় ছেলে সালমান দাঁতের সার্জন। তার পরের ছেলে আরমান ব্যারিস্টার, বড় মেয়ে হাসিনা পুষ্টিবিদ। বসবাস করছেন সুইডেনে। দ্বিতীয় মেয়ে সুরাইয়া রাবেয়া মালয়েশিয়ার ইসলামিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে।

বিএনপি নেত্রী ৭১’এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধিদের রক্ষায় অঙ্গিকারাবদ্ধ: মোহাম্মদ নাসিম

বিএনপি নেত্রী ৭১’এর ঘাতক যুদ্ধাপরাধিদের রক্ষায় অঙ্গিকারাবদ্ধ। কিন্তু খালেদা জিয়া তাদের রক্ষা করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা আব্দুল আলিমকে আমৃত্যু সাজা দেয়ার পর ১৪ দলের প্রতিক্রিয়া জানাতে বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জে মোহাম্মদ নাসিমের নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা গুলো বলেন। যুদ্ধাপরাধিদের বিচারের রায় এ সরকারের মেয়াদেই কার্যকর করা হবে এ কথা জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নির্বাচনী অঙ্গিকার অনুযায়ি যুদ্ধাপরাধিদের বিচার করা হচ্ছে। একের পর এক ৭১ এর ঘাতকদের বিচারের রায় প্রদান করা হচ্ছে। এ সময় তিনি আরো বলেন, বিএনপি নেত্রী জামাত হেফাজতকে সাথে নিয়ে জনসভা করে সরকারকে হুমকি দিচ্ছে। তারা যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্তরা মুক্তি পাবে। তাই যুদ্ধাপরাধিদের সাজা বাস্তবায়ন করার জন্য আবারও শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে জনগনের ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কস্থ মোহাম্মদ নাসিমের বাসবনে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরয়িা, আবু ইউসুফ সূর্য্যসহ আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মিরা। সংবাদিক সন্মেলন শেষে মোহাম্মদ নাসিমের পক্ষ থেকে মিষ্টি বিতরন করা হয়।

Tuesday, October 8, 2013

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল


ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ৮ অক্টোবর শুরু
----------------------------------------------------------
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের বিএসসি (ইঞ্জিনিয়ারিং), বিবিএ এবং বিএসসি (অনার্স) কোর্সে ভর্তির আবেদন ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত টেলিটকে এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করা যাবে।

ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড ও ওয়েবসাইট www.mbstu.ac.bd থেকে জানা যাবে। এছাড়া হটলাইন ০১৫৫৪ ৩২১ ১৮৭ এবং ০১৭৮৯ ৮৭৬ ৭৮৪ তে যোগাযোগ করা যাবে।

Friday, June 28, 2013

সলঙ্গায় গর্ভবতী মাকে বেত্রাঘাত করে গ্রামছাড়া

সলঙ্গায় গর্ভবতী মাকে বেত্রাঘাত করে গ্রামছাড়া


সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার জগজীবনপুর গ্রামে প্রেম করে গোপনে বিয়ে করার অপরাধে ৭ মাসেরগর্ভবতী মাকে ১শ’ ঘা বেত্রাঘাত এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায়করে সপরিবারে গ্রামছাড়া করেছে সমাজপতিরা। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে আনিসের সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করে। পরে মেয়েটি গর্ভবতী হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত ২০ জুন এ বিষয়ে জগজীবনপুর গ্রামের আবু বক্কার মোয়াজ্জেমের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। এতে সভাপতিত্ব করেন উল্লাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কালিকাপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক আবদুল আজিজ মাস্টার। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেকেন্দার আলী, আবু বক্কার, নূর মোহাম্মাদ, আশরাফ আলী, সোলায়মান হোসেন, আবদুস সাত্তার ও আবদুল হামিদ। বৈঠকে উল্লিখিত রায় বাস্তবায়ন করা হয়।
মেয়েটির এক আত্মীয় বলেন, মাতব্বররা বিচারের পর গর্ভবতী মেয়েকে মারধর করে। এখন বাড়ি ছেড়ে তারা কোথায় গেছে জানি না।এদিকে প্রেমিক আনিসও বাড়িতে নেই।
তবে আনিসের প্রথম স্ত্রী বাদুলী খাতুন জানান, তার স্বামী গোপনে ওই মেয়েকে বিয়ে করেছে। এ নিয়েগ্রামে বিচার বসে। বিচারে তার স্বামী আনিসকে ১০ হাজার এবং মেয়েটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া উভয়কে ১শ’ ঘা বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে সে জানায়।
সালিশ বৈঠকের সভাপতি আবদুল আজিজ মাস্টার জানান, শরিয়তবিরোধী কাজ করায় তারা ছেলে-মেয়ে উভয়কেই ১শ’ ঘা বেত্রাঘাতসহ জরিমানা করেছেন। সালিশ বৈঠকের বিচারক সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেকেন্দার আলী জানান, মুসলমান হিসেবে শরিয়ত অনুযায়ীতারা এ কাজ করেছেন।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন সাগরজানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ওসি তাজুল হুদার সঙ্গে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।
© সিরাজগঞ্জের খবর

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুবুর রহমান তালুকদার সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুবুর রহমান তালুকদার সিরাজগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন







পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো: মাহবুবুর রহমান তালুকদার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কয়েকটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টায় সরকারী সফরে সিরাজগঞ্জে আসার কথা ছিল।

সে মোতাবেক সাড়ে ১১টায় তিনি বঙ্গবন্ধু সেতুর পুর্বপাড়ে অবস্থিত যমুনা রিসোর্টে নামেন। সেখান থেকে তিনি অপেক্ষমান স্পীডবোটে উঠে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ হার্ডপয়েন্টের পুরাতন জেলখানা ঘাটে পৌছেন ১টায়।

এ সময় তার সঙ্গে আরও ৪টি স্পীডবোটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পদস্থ কর্মকর্তারাও আসেন। হার্ডপয়েন্টে আগ থেকে অপেক্ষামান প্রশাসন ও সাংবাদিকরা প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

সাংবাদিকরা এ সময় প্রতিমন্ত্রীর আগমন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সিরাজগঞ্জে নামাজ পড়তে এসেছি। এ সময় সাংবাদিকরা তার সফরসুচী প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার তো কিছু জানা নেই, আপনাদের কাছ থেকেই জানতে এসেছি।

সাংবাদিকরা হার্ডপয়েন্টে বিশ্ব ব্যাংকের ৬৪ কোটি টাকার অর্থায়নে যমুনা নদী তীর সংরক্ষন প্রকল্পের চলমান কাজে ঠিকাদার কর্তৃক মজুদ রাখা হার্ড-রক পাথরের স্বল্পতার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাকী পাথরও আসবে, কাজও সঠিক সময়ে শেষ হবে। এ কথা বলেই সাংবাদিকদের এড়িয়ে প্রতিমন্ত্রী গাড়ীতে উঠে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মসজিদের দিকে রওনা দেন। সেখানে তিনি জুমা'র নামাজ আদায় করেন। এরপর তিনি পাউবোর আতিথিয়তা গ্রহণ করেন। প্রতি মন্ত্রীর এমন আচরনে উপস্থিত সাংবাদিকরা হতবাক হন।

এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আজিজুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) আফজাল হোসেন, রাজশাহী অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রউফ, বগুড়া অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মমতাজ উদ্দিন, বিশ্বব্যাংকের চলমান নদী সংরক্ষন কাজের প্রকল্প পরিচালক আমিনুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন সহ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।

সরকারী সফরসূচী অনুযায়ী ঢাকা থেকে রওনা হয়ে সকাল সাড়ে ১১ টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ হার্ডপয়েন্ট এলাকায় পৌছে পাউবো’র ক্রসবার ১, ২, ৩ ও ৪ এবং হার্ডপয়েন্ট এলাকা পরিদর্শন করার কথা ছিল।

উল্লেখ্য, প্রতিমন্ত্রী গত বছরেও সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের মেরামত কাজ দেখতে এসে সাংবাদিকদের সাথে বাক-বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন।

তাড়াশে পুকুরের মাছ ধারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। আহত ১৫

তাড়াশে পুকুরের মাছ ধারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ। আহত ১৫

বৃহস্পতিবার
তাড়াশে একটি বিবাদমান পুকুরে মাছের
পোনা ছাড়াকে কেন্দ্র
করে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের মহিলাসহ ১৫জন
আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের তাড়াশ ও
সিরাজগঞ্জ
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ২
জনকে আটক করেছে। গ্রামবাসী ও পুলিশ
সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার
নওগাঁ ইউনিয়নের
চৌপাকিয়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের
শিববিগ্রহ পুকুর নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের
সঙ্গে একই গ্রামের আব্দুল আজিজ গংদের
দীর্ঘদিন ধরে মালিকার
দাবি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার চৌপাকিয়া গ্রামের হিন্দু
সম্প্রদায়ের লোকজন আব্দুল মান্নানের
নেতৃত্বে পুকুরে মাছের
পোনা ছাড়তে গেলে প্রতিপক্ষ আলম
গংরা বাঁধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের
মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
সংঘর্ষে আহতরা হলো আব্দুল জুব্বার (৪০),
আবুল কালাম (২৫), ফরজ আলী (৩০), সুভাস
(৩৪), আব্দুল মান্নান (৫৬), শফিকুল ইসলাম
(৫০), আব্দুর রাজ্জাক রিন্টু (২৬), রওশন
আলী (৩৪), বাটুল (৪০), মুকুল (৩৩),
ফেরদৌসী খাতুন (৩০), হেনা পারভীন (৪৫)
ও ফিরোজ হিরন (২৫)। আহতদের তাড়াশ ও
সিরাজগঞ্জ সদর
হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ
ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম শফি জানান,
আমার বাপ দাদার নামে এসএ এবং আরএস
রেকর্ডকৃত পুকুর আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ
দখল করে আসছি। যার খাজনা খারিজ
বর্তমান পর্যন্ত রয়েছে। গ্রামের আব্দুল
খালেক গ্র“প জোর করে মাছ
ধরতে গেলে আমরা তাদের নিষেধ করি।
কিন্তু তারা আমাদের নিষেধ অমান্য
করে আমাদের উপর হামলা চালায়।
অপরদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক
সেজে একই গ্রামের আব্দুল মান্নান ও
খালেক জানান,
পুকুরটি চৌপাকিয়া গ্রামের হিন্দু
সম্প্রদায়ের শিববিগ্রহের নামে ডিএস
রেকর্ড ছিল। প্রতপক্ষর লোকজন ভুয়া কাগজ
তৈরি করে তারা ভোগ দখল করছে। এ
ব্যাপারে আদালতে মামলা রয়েছে। আব্দুর
রউফ বাদী হয়ে তাড়াশ থানায়
মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার
সাথে জড়িত আছিয়া ও লিমন নামে ২
জনকে আটক করেছে। বর্তমানে ঐ
গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ
করছে যেকোনো মূর্হুতে বড় ধরণের সংঘর্ষ
বেঁধে যেতে পারে।

সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামে আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন

সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামে আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন

 


বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে ‘সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস’ নামে আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

৫৩০ আসন বিশিষ্ট এ ট্রেনটি প্রতিদিন ঈশ্বরদী থেকে সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রেলপথে চলাচল করবে।

আন্তঃনগর ট্রেন উদ্বোধন উপলক্ষে সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কোয়ারে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এমপি বলেন, ‘‘নতুন এ ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে রাজধানীর সাথে গ্রামীণ জনপদের মানুষের যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে।’’

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ট্রেন চালু করায় তিনি সিরাজগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবুল কালাম আজাদ।

জনসভায় রেলমন্ত্রী বলেন, ‘‘রেলের সম্পদ জাতীয় সম্পদ এবং জনগণের সম্পদ। কিন্তু জামায়াত-শিবির ও বিএনপি হরতালেন নামে রেলের ইঞ্জিন ও বগি পুড়িয়ে দিয়েছে। স্টেশন ধ্বংস করেছে, রেললাইন উপড়ে ফেলেছে।’’

এ পর্যন্ত হরতালের নামে রেলের প্রায় ২৫ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করা হয়েছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী রেলের সম্পদ স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের হাত থেকে রক্ষা করার আহ্বান জানান।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক আবু তাহের, প্রকৌশলী তানভির শাকিল জয় এমপি, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক বিল্লাল হোসেন, বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের পরিচালক ও আওয়ামী লীগ নেতা প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান, মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাত আরা হেনরী প্রমুখ।