হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। এর মাধ্যমে মুসলমানগণ আল্লাহর বিশেষ নৈকট্য লাভ করেন। এই দিনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বান্দার গুনাহ সর্বোচ্চ পরিমাণে মাফ করে থাকেন। হাদীস অনুযায়ী হজের মাধ্যমে বান্দা যেন সদ্যজাত শিশুর ন্যায় বেগুনাহ মাসুম হয়ে যায়। হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর সময় থেকে শুরু এই হজের মাধ্যমে বান্দার জন্য আল্লাহর রহমত ও নেয়ামত বর্ষিত হতে থাকবে যুগ যুগ ধরে, পৃথিবীর শেষ দিন পর্যন্ত। হজের মুল আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসাবে হাজিরা ইতিমধ্যে মিনায় পৌঁছেছেন। মিনাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় এবং রাত্রিযাপন শেষে সোমবার আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন হাজিরা। সেখানে এক আযানে যোহর এবং আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করবেন তারা। প্রতি বছরের মতো এবারও স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে আরাফায় অবস্থিত মসজিদে নামিরাহ থেকে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনা মূলক খুৎবা (বক্তব্য) পাঠ করবেন সৌদি গ্রান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ আল শেখ। খুৎবা চলবে ঘন্টাব্যাপী। হজের তিন ফরজের মধ্যে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। হিজরী ১০ সালে অর্থাৎ ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে হজ চলাকালীন সময়ে আরাফায় অবস্থিত জাবালে রহমত পাহাড়ে দাঁড়িয়ে মুসলমানদের উদ্দেশ্যে হযরত মোহাম্মদ (সা.) বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। মুহাম্মাদ (সা.)এর জীবৎকালে এটা ছিলো শেষ ভাষণ। তাই সচরাচর এটিকেই বিদায় খুৎবা বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। ইসলামের প্রকৃত মূল্যবোধ অনুযায়ী মুসলমানদের করণীয় সম্পর্কে এই ভাষণেই চূড়ান্ত দিকনির্দেশনা দেওয়া ছিলো। সারাদিন আরাফায় অবস্থান শেষে সন্ধ্যায় হাজিরা মুজদাফিলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। রাতে মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে রাতযাপন করবেন। সেখান থেকে তারা মিনার জামারায় (প্রতীকী) শয়তানকে নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। সকালে ফজরের নামাজ শেষে আবার ফিরে আসবেন মিনায়। পরদিন সকালে অর্থাৎ মঙ্গলবার জামারায় শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের পর হাজিদের পশু কোরবানির প্রস্তুতি নিতে হবে। অধিকাংশ হাজি নিজে বা বিশ্বস্ত লোক দিয়ে মুস্তাহালাকায় (পশুর হাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দেন। ইচ্ছে করলে ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) রিয়াল(টাকা) জমা দিয়ে কোরবানি দিতে পারবেন। কোরবানির পর পুরুষরা মাথা মণ্ডনের মধ্য দিয়ে ইহরাম ত্যাগের মাধ্যমে হজের মূল কার্যক্রম শেষ করবেন।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment