সলঙ্গায় গর্ভবতী মাকে বেত্রাঘাত করে গ্রামছাড়া
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার জগজীবনপুর গ্রামে প্রেম করে গোপনে বিয়ে করার
অপরাধে ৭ মাসেরগর্ভবতী মাকে ১শ’ ঘা বেত্রাঘাত এবং ১৫ হাজার টাকা জরিমানা
আদায়করে সপরিবারে গ্রামছাড়া করেছে সমাজপতিরা। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভের
সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামের আহমেদ আলীর ছেলে আনিসের সঙ্গে
মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা গোপনে বিয়ে করে। পরে
মেয়েটি গর্ভবতী হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত ২০ জুন এ বিষয়ে
জগজীবনপুর গ্রামের আবু বক্কার মোয়াজ্জেমের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। এতে
সভাপতিত্ব করেন উল্লাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ কালিকাপুর দাখিল মাদরাসার সহকারী
শিক্ষক আবদুল আজিজ মাস্টার। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সলঙ্গা ইউনিয়ন
পরিষদের সদস্য সেকেন্দার আলী, আবু বক্কার, নূর মোহাম্মাদ, আশরাফ আলী,
সোলায়মান হোসেন, আবদুস সাত্তার ও আবদুল হামিদ। বৈঠকে উল্লিখিত রায়
বাস্তবায়ন করা হয়।
মেয়েটির এক
আত্মীয় বলেন, মাতব্বররা বিচারের পর গর্ভবতী মেয়েকে মারধর করে। এখন বাড়ি
ছেড়ে তারা কোথায় গেছে জানি না।এদিকে প্রেমিক আনিসও বাড়িতে নেই।
তবে
আনিসের প্রথম স্ত্রী বাদুলী খাতুন জানান, তার স্বামী গোপনে ওই মেয়েকে
বিয়ে করেছে। এ নিয়েগ্রামে বিচার বসে। বিচারে তার স্বামী আনিসকে ১০ হাজার
এবং মেয়েটিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া উভয়কে ১শ’ ঘা
বেত্রাঘাত করা হয়েছে বলে সে জানায়।
সালিশ বৈঠকের সভাপতি আবদুল আজিজ
মাস্টার জানান, শরিয়তবিরোধী কাজ করায় তারা ছেলে-মেয়ে উভয়কেই ১শ’ ঘা
বেত্রাঘাতসহ জরিমানা করেছেন। সালিশ বৈঠকের বিচারক সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের
সদস্য সেকেন্দার আলী জানান, মুসলমান হিসেবে শরিয়ত অনুযায়ীতারা এ কাজ
করেছেন।
সলঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন সাগরজানান,
বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ ব্যাপারে সলঙ্গা থানার ওসি তাজুল হুদার সঙ্গে
যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।
© সিরাজগঞ্জের খবর
0 comments:
Post a Comment