Friday, August 26, 2016

কামারখন্দে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা মামলার আসামিসহ নিহত ২

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলোচিত আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম মিল্টন হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভোরে কামারখন্দ থানার জামতৈল কলেজপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

আধা ঘণ্টাব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ র‌্যাবের দুই সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি সর্টগান, আট রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন- কামারখন্দ উপজেলার ভারাঙ্গা গ্রামের দশের মাতব্বরের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু (৩২) ও পাবনার চাটমোহর উপজেলার আংকুটিয়া গ্রামের মাজেদ মণ্ডলের ছেলে লুৎফর আলী (৫৫)।

এর আগে বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে মিল্টন হত্যা মামলার আরও ৪ আসামিকে আটক করে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন- কামারখন্দ থানার চাঁদপুর গ্রামের মৃত মজিবর রহমান খানের ছেলে রেজাউল করিম বালা (৫০), সিরাজগঞ্জ সদর থানার বড় চাকলী গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক শেখ (৪৫), একই থানার কাদাই গ্রামের মৃত হরমুজ আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (৫৫) ও কামারখন্দ থানার চক শাহবাজপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ওরফে ঠাণ্ডুর ছেলে সানোয়ার হোসেন মেম্বর।

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চড়িয়া এলাকা র‌্যাব-১২ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১২ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম) এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আটক হওয়া ওই ৪ আসামির দেওয়া তথ্য মোতাবেক এ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ছানোয়ার হোসেন ছানুসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে জামতৈল কলেজপাড়া হোসেন মেম্বরের ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা গুলিবর্ষণ করে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। ৩০ মিনিটের বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ছানোয়ার হোসেন ছানু ও লুৎফরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাবের দু’সদস্য আহত হয়েছে। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১২ অধিনায়ক আরও বলেন, নিহত ছানোয়ার হোসেন ছানু চাঞ্চল্যকর মিল্টন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও মূল পরিকল্পনাকারী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে। অপর নিহত লুৎফর একজন ভাড়াটে খুনি বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।

গত ১৯ জুন সন্ধ্যায় কামারখন্দের আলোকদিয়া রেলব্রিজের কাছে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম মিল্টন। ১০/১২ জনের একটি কিলিং মিশন এ হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করাতেই সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করেছে বলেও উল্লেখ করেন র‌্যাব অধিনায়ক।

0 comments:

Post a Comment