আগামী ২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে
সাক্ষাতের দিন ধার্য করা হয়েছে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে আগুন নেভানোর যন্ত্রের
উদ্ভাবক যশোরের শার্শা উপজেলার
মোটরসাইকেল মেকানিক মিজানুর রহমানের
সাথে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
এটিএম শরিফুল আলম। ইউএনও জানান,
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এটুআই প্রকল্পের
কর্মকর্তারা শার্শায় এসে যন্ত্রটি দেখার পর
খবরটি পৌঁছে যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সরকার
এ ধরনের আবিষ্কারকে উদ্বুদ্ধ করতে সহযোগিতা
করবে বলে জানান ইউএনও।
মিজানুর রহমান (৪৫) শার্শার শ্যামলাগাছি
গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে।
মিজানুর রহমান বিডি জজার্নালকে জানান, এই
যন্ত্রটি বাসা-বাড়ি, অফিস,ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
কিংবা অন্য কোনো স্থানেরাখা হলে সেই
স্থানে আগুন ধরলে যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে
ওই আগুন নেভাতে সক্ষম।
তিনি জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট বা
যেকোনো প্রকারে আগুন ধরলে এ যন্ত্রটি মাত্র
১০ সেকেন্ডের মধ্যে সংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে
পানি দিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করবে। এছাড়া এই
যন্ত্র থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস ও
মালিকপক্ষকে মোবাইল ফোনে আগুন লাগার খবর
জানিয়ে দেবে এবং হুইসেল দিয়ে আধা
কিলোমিটার এলাকার সাধারণ মানুষকে আগুনের
বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করবে।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে ওই যন্ত্রটির সঙ্গে
একটি পানির ট্যাংকের সংযোগ থাকবে। আগুন
লাগলে পাইপের মাধ্যমে ট্যাংক থেকে পানি
আসতে শুরু করবে এবং আশপাশে পানি ছিটাতে
থাকবে যন্ত্রটি।
তিনি বিডি জার্নালকে আরও বলেন,
প্রধানমন্ত্রী আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে এটা
বিশ্বাস করতে পারছি না।
এ সময় তিনি বলেন, আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি
প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার সুজুগ পাবো।
সত্যি বলতে কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বুঝিয়ে দিলেন তিনি সত্যি বাংলার নেত্রী।
মিজানুর রহমান জানান, এক বছরের গবেষণায় এই
যন্ত্র তৈরিতে তার মাত্র মাত্র ছয় হাজার টাকা
খরচ হয়েছে। যন্ত্রটি তৈরি করতে সবমিলিয়ে ১০
হাজার টাকা খরচ হবে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, আমি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।
দেশের মানুষকে এই যন্ত্রের মাধ্যমে সেবা
পৌঁছে দেবার মতো অবস্থা নেই। সেকারণে
সরকার বা বিত্তশালী কেউ এগিয়ে এলে খুব
ভালো হয়।
0 comments:
Post a Comment