সিরাজগঞ্জ: পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষকে নানাভাবে প্রতারণার অভিযোগ সিরাজগঞ্জে সঙ্গীত শিল্পী ও আয়মান প্রোডাকশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লাল ফারদিনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে শহরের মুজিব সড়ক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ঢাকার নিউ মার্কেট থানার হাজারীবাগ ১৩/২ এলাকার মৃত মনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সমন্বয়ক।
তিনি সিরাজগঞ্জ শহরের মাছিমপুর মহল্লার মৃত খোরশেদ আলমের মেয়েকে বিয়ের পর থেকে ঢাকা ও সিরাজগঞ্জ উভয় স্থানেই বসবাস করেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মাসুম বিল্লাল ফারদিন পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও শতাধিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতারিত এসব মানুষের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর তার কাছ থেকে সংবাদপত্র ও মানবাধিকার সংগঠনের মোট চারটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এসব পরিচয়পত্রে জানা যায়, তিনি দৈনিক দেশকাল পত্রিকার স্টাফ রির্পোটার, দৈনিক গণজাগরন পত্রিকার কালচারাল রির্পোটার, বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন সংগঠন ঢাকা জিগাতলা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
ওসি আরও বলেন, রাতে তাকে থানা হেফাজতে রেখে আগামীকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে হাজির করা হবে।
এ সময় আটক মাসুম বিল্লাল ফারদিন তার বিরুদ্ধে আনা প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, প্রতারণা করার কারণে ২০১১ সালে আমি নওগাঁয় নয় মাস হাজত খেটেছি। সরকারি-বেসরকারি লোকজনের কাছ থেকে তাদের বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকাগুলো নিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ করে দিতে না পারায় তারা আমার নামে প্রতারণার অভিযোগ দিয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদপত্রের পরিচয়পত্র বিষয়ে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকতা করি না। কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে দৈনিক দেশকাল পত্রিকার কার্ড নিয়েছি। দৈনিক গণজাগরন পত্রিকা বিনা টাকায় আমাকে কার্ড দিয়েছে। আয়মান প্রোডাকশনের ব্যানারে ভিডিও এবং অডিও গানের কয়েকটি এ্যালবাম বের করেছেন বলেও জানান তিনি।
0 comments:
Post a Comment