দেশব্যাপী একযোগে ভূমিকম্পের ঘটনায় সিরাজগঞ্জে আতংকিত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত পাঁচজন। নিহত আবুল কাসেম (৪০) বেলকুচি উপজেলার বওড়া গ্রামের রশিদ মেম্বরের ছেলে। আহতদের মধ্যে একজন সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সোহেল (২১)। এছাড়াও শহরের দুটি আবাসিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। সোমবার ভোর রাত ৫টা ৭ মিনিটের সময় সিরাজগঞ্জে প্রচন্ড এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
রাতের শেষ প্রহরে প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে থরথর করে কাঁপতে থাকে ঘরবাড়ি, বিল্ডিংসহ রাস্তাঘাট। ঘরে সাজানো আসবাবপত্র ঝনঝন শব্দে পড়তে থাকে মেঝেতে। ঘুমন্ত মানুষ হঠাৎ জেগে ওঠে। শহরের পাঁচ-ছয় তলা ভবনের মানুষ হুমড়ি খেয়ে সিড়ে বেয়ে নিচে রাস্তায় নেমে আসেন। এসময় ছেলে-মেয়েদের চিৎকারে পরিবেশ ভারি হয়ে ওদেয় ওঠে। আতংকিত মানুষ ছুটাছুটি করতে থাকে। কেউ আজান দেয়। হিন্দুরা দেয় উলু ধ্বনি।
বেলকুচি পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র বেগম আশানুর বিশ্বাস জানান, ভোর রাতে ভূমিকম্পের সময় আতংকিত হয়ে ছোটাছুটি করতে গেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বওড়া গ্রামের আব্দুর রশিদ মেম্বরের ছেলে আবুল কাসেম।
সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা: দেবপদ রায় ও স্থানীয়রা জানান, ভূমিকম্পের সময় আতংকিত হয়ে নিজেদের দোতলা ভবনের বারান্দা থেকে লাফিয়ে পড়ার সময় আহত হয় সলঙ্গা থানার আলোকদিয়া গ্রামের সোহেল। তাকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার একটি ছাত্রবাসের ছাত্ররা হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে গেলে অন্তত চারজন আহত হয়। অপরদিকে পৌর এলাকার থানবান্ধি জেসি রোডের মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেনের এবং মুসা শেখের এক তলা দুটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
0 comments:
Post a Comment