সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক। এ ঘটনার পর আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং বিকেলে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরআগে সকালে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্র“পের মধ্যে বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় তোপের মুখে এমপি আমজাদ হোসেন মিলন সমন্বয় সভা বর্জন করে সভাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ কার্যালয়ে গেলে ঘটে হামলা ঘটনা।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, মাসিক সমন্বয় সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী ম,ম আমজাদ হোসেন মিলনের বিরুদ্ধে ২/১ ইউপি চেয়ারম্যান বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য সভা ত্যাগ করে চলে যান।
তিনি আরও বলেন, চলমান সভা শেষ হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক তার নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগণকে সাথে নিয়ে বৈঠক করছিলেন। দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞাতনামা দূর্বত্তরা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হককে উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন মিলন এমপির স্ত্রী ডেইজী মিলন জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হওয়ায় মাসিক সমন্বয় সভায় ওসিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা। এ সময় সংসদ সদস্য প্রতিবাদ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের ইন্দনে ওই চেয়ারম্যানরা এমপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় এমপি সমন্বয় সভা ত্যাগ করেন। তারপর উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে কি হয়েছে সে বিষয়ে আমরা কেউ অবগত নই। হামলার ঘটনায় এমপি দায়ী নয়।
এ বিষয়ে তাড়াশ সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।
সদর হাসপাতালে নেয়ার জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা তাকে হাসপাতালে দেখতে যান।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আকরামুজ্জামান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তার অবস্থা শংকটাপন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
0 comments:
Post a Comment