গত ৩ বছরে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নানা অভিযানে অবৈধ পথে চালানকৃত ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৮০ মণ স্বর্ণ আটক করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এ সময়ের মধ্যে আটক করা হয়েছে ১৩০ জনকে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ‘চোরাচালন ও শুল্ক ফাঁকি রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে অধিদপ্তরটির মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানান। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মইনুল খান বলেন, এই সময়ে গোয়েন্দা তৎপরতায় আরও প্রায় ৫০০ মণ সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ করা হয়েছে। আটককৃত সোনা আইনানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে।
এসময় তিনি অবৈধ পথে আসা আটকৃত কোকেন, টাকা, ভূয়া কস্টমেটিকস পণ্য ও তার কনটেইনার, হিরোইন ও ইয়াবা পরিমান এবং এগুলো দ্বারা কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
সেমিনারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ট্রাঙ্গগলের মধ্যবর্তী হওয়া বাংলাদেশ চোরাচালান রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তাই ঝুকি অনেক আছে। আমাদের গোয়েন্দার যা আটক করছে তা মূল চোরাচালানের মাত্র ১৫-২০ শতাংশ। আর বাকি ৮০ শতাংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই চোরাচালান রোধে সকল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা তাগিদ দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি এখনো চলমান রয়েছে। সেমিনারে আরো উপস্থিত আছেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা প্রমুখ।
0 comments:
Post a Comment