সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Tuesday, March 31, 2015

খালেদা জ্বালাও-পোড়াও থেকে বের হতে পারছেন না

সিরাজগঞ্জ: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি
নেত্রী খালেদা জিয়া জ্বালাও-পোড়াও ও মানুষ হত্যার রাজনীতি থেকে বের হতে পারছেন না।
একদিকে সিটি নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন, অন্যদিকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি বহাল রাখারও ঘোষণা দিয়ে তিনি রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ও চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নে পৃথক দুই স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন। দেশের সাধারণ মানুষকে হত্যা করে নির্বাচিত কোনো সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যায় না।
সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নঢন হয়। গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতের বাতি জ্বলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। জমিতে ফসল দ্বিগুণ হয়। সারের জন্য কাউকে গুলি খেয়ে মরতে হয় না। বরং সার কৃষকের ঘরে পৌঁছে যায়। আর বিএনপি ক্ষমতায় থেকে লুটপাট করে। ক্ষমতায় বাইরে গিয়ে জ্বালাও-পোড়াও ও পেট্রলবোমা মেরে
মানুষ হত্যা করে। তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নকাজে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন,
সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সরকার বকুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী তুষার কান্তি
দেবনাথ বক্তব্য রাখেন।

সিরাজগঞ্জে যৌথবাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়েছে।


সিরাজগঞ্জে যৌথবাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে
উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা
হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে সিরাজগঞ্জের
কালেক্টরেট ভবন চত্বরে মাদক ধ্বংস কর্মসূচির
উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার এস এম এমরান হোসেন।
এসময় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার
উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আদালত পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ জানান, বিভিন্ন
সময় জেলার বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ, র্যাপিড
অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের গোয়েন্দা
শাখার (ডিবি) সদস্যদের অভিযানে উদ্ধারকৃত চার
হাজার ১২৯ বোতল ফেনসিডিল, ৪৩ কেজি গাঁজা, ৪৮৫
পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুই লিটার ৭৫০ মিলি চোলাই
মদ ধ্বংস করা হয়। এছাড়া এসময় পাঁচটি পেট্রোল
বোমা ও একটি ককটেলসহ বিভিন্ন অবৈধ পণ্য ধ্বংস
করা হয়।

Sunday, March 29, 2015

সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভাঙন, হুমকিতে স্থাপনা ও বাঁধ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শুষ্ক মৌসুমেই সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। অসময়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
এক সপ্তাহ আগে এ অবস্থা শুরু হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি বলে
অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর ডান তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিন দিন আগে কাজীপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া নামক স্থানে স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধের নিচ অংশের চার মিটার জুড়ে সিসি ব্লক ধসে গেছে। সদর উপজেলার শিমলা-২ নং স্পারের উত্তর থেকে বালুঘুঘরি হয়ে বাহুকা পর্যন্তও ভাঙন শুরু
হয়েছে। এই এলাকার ডান তীরের প্রায় দীর্ঘ দুই
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙছে। স্পার সংলগ্ন শহীদ আহসান হাবীব উচ্চবিদ্যালয় নদী থেকে ১০ ফুট দূরে অবস্থিত। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাঁধটি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
বালুঘুঘরি গ্রামের ইয়াকুব আলী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে জোয়ারের কারণে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি সরাসরি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আঘাত করায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির গতিপথ পরিবর্তন করতে নদী খনন করে ভরাট করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড খননযন্ত্র আনলেও তা অজানা কারণে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অসময়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় আমরা এখন
আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। শহীদ আহসান হাবীব উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
মো. মাসুদ রানা বলেন, 'সামান্য পানি বৃদ্ধিতেই যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বন্যার পানি আসলে কি হবে একমাত্র আল্লাহই জানেন। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে কতবার বলেছি, তাঁরা শুধু দেখে দেখে চলে যাচ্ছে। কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। যদি দ্রুত সময়ে খনন যন্ত্র দিয়ে ডান পাড়ের কিছু অংশ ভরাট করতো, তা হলে ভাঙন রোধ
সম্ভব হতো।' ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, শিমলা স্পার
থেকে বালুঘুঘরি পর্যন্ত পানি সরাসরি আঘাত হানায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকাটি ভরাট করে পানি নদীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই খনন যন্ত্র এসেছে। পাইপ না আসায় কাজ শুরু
করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়াও যমুনা নদীর গতি প্রকৃতি নির্ণয় করা কঠিন। স্থায়ী তীর সংলগ্ন বাঁধের ধসে যাওয়া স্থানে সিসি ব্লক ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে বাকি স্থানগুলোতেও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুশরী ডাল দিয়ে রান্না করুন সাজনে ডাটা

উপকরনঃ
সাজনে ডাটা (কেজি খানেক, কেটে কুটে যা
টিকে)
মুশরী ডাল (হাফ কাপ)
টমেটো ১ টা
কাঁচা মরিচ – কয়েকটা
পেঁয়াজ কুঁচি হাফ কাপ
রসুন বাটা ২ চা চামচ
রসুন কুঁচি দুই টেবিল চামচ (বাগার দেয়ার জন্য)
গুড়া মরিচ – ১ চামচ (ঝাল কেমন চান তা বুঝে)
গুড়া হলুদ – হাফ চামচ
ধনিয়া পাতা – এক চামচ
লবন (পরিমান মত)
তেল (পরিমান মত)
এই রান্নার দাপ তিনটে। রান্না তেমন জটিল নয়।
তবে রান্নাঘরেই আপনাকে অবস্থান করতে
হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, ডাল পাতিল
উতরে উঠে! ডাল এবং দুধ চুল্লায় দিয়ে রান্নাঘর
ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়! হা হা হা…।
প্রথমে আমরা যে ভাবে ডাল রান্না করি ঠিক
সেই মত পাতলা ডাল রান্না করতে হবে
সাজনে ডাটা দিয়ে ভাল করে পাকিয়ে নিতে
হবে।
রসুন দিয়ে বাগার মারতে হবে, এতে স্বাদ
দুইশত গুন বেড়ে যাবে।
মুশরী ডাল ও সাজনে ডাটা
রান্নার প্রনালীঃ
১। সাজনে ডাটা কিনতে হবে দেখে শুনে।
বেশী ব্বাতি হলে তিতা লাগতে পারে।
২। মুশরী ডাল ভাল করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন,
এতে রান্নায় সময় বাঁচবে।
৩। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন বাটা
ভেজে তাতে মরিচ হলুদ গুড়া এবং লবন দিয়ে
ভাল করে কষাতে থাকুন। তেল আলাদা হলে
এক কাপ পানি দিয়ে দিন।
৪। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন।
৫। এবার ডাল দিন এবং ভাল করে নেড়ে কষিয়ে
নিন। আরো এক কাপ পানি দিয়ে ভাল করে সিদ্ব
করুন।
৬। প্রয়োজনে আরো কিছু পানি দিতে
পারেন এবং রঙ আপনার মনের মত হলে তাতে
টমেটো ফালি করে দিয়ে দিন।
৭। ডাল না গললে ঘুটা দিতে পারেন। ব্যস হয়ে
গেল মুশরী ডাল রান্না! আহ…
৮। সাজনে ডাটা দিয়ে দিন।
৯। সাজনে ডাটা সিদ্ব হতে মিনিট বিশেক সময়
নিতে পারে। প্রয়োজনে ডাকনা দিয়ে হালকা
আঁচে রাখুন।
১০। ঘরে ধনিয়া পাতা থাকলে দিন। ঘ্রান ও স্বাদ
আরো বেড়ে যাবে।
১১। অন্য একটা কড়াইয়ে সামান্য তেল নিয়ে
ভাল করে গরম করুন এবং রসুন ভাঁজুন। হালকা হলুদ
হলে তাতে সাজনের ডাল দিয়ে দিন। এটা
হচ্ছে বাগার। স্বাদ কয়েকগুন বেড়ে যাবে।
১২। প্রয়োজনে আরো কিছু সময় হালকা
আঁচে রাখুন এবং ফাইনাল লবন চেক করুন।
১৩। ব্যস হয়ে গেল ডাল দিয়ে সাজনে ডাটা।

Saturday, March 28, 2015

বঞ্চিত হলেন মোস্তফা কামাল!

বিশ্বকাপের নিয়ম অনুযায়ী, ফাইনাল শেষে
চ্যাম্পিয়ন দলকে কাপ তুলে দেন সংস্থাটির
প্রেসিডেন্ট। সেটা ফুটবল ও ক্রিকেট উভয় ক্ষেত্রেই।
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই সেটা হয়ে আসছে। কিন্তু
এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপে পরিবর্তন হতে চলেছে
সেই নিয়ম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
(আইসিসি) এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট আ হ ম মোস্তফা
কামাল থাকতেও, বিজয়ী দলকে শিরোপা তুলে
দিচ্ছেন আইসিসির চেয়ারম্যান ভারতীয় এন
শ্রীনিবাসন। ফলে মোস্তফা কামালসহ
বাংলাদেশকেও খানিকটা হেয় করলো আইসিসি।
এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে আইসিসি পুনরায় প্রমাণ করলো,
তারা বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা হলেও
অরাজনৈতিক সংস্থা হয়ে উঠতে পারেনি তারা।
তাছাড়া এবারের বিশ্বকাপে শুরু থেকে শেষপর্যন্ত
আইসিসির ভারত প্রীতি দেখার মতো। কোয়ার্টার
ফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচে
বেশকিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে
নেয় আম্পায়াররা। এমনকি দাবী ওঠে আইসিসি
(ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) এর। তাদের এই
বাহুল্যতা চোখ এড়ায়নি অন্যান্য দেশেরও। সাবেক
গ্রেটদের পক্ষ থেকে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তারই
মাঝে নতুন ঘটনা ঘটাতে চলেছে ভারত।
উল্লেখ্য মেলবোর্নের কোয়ার্টার ফাইনালে ভারত ও
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে
আপত্তি প্রকাশ করেন আ হ ম মোস্তফা কামাল।
এদিকে গতকাল শুক্রবার মেলবোর্ন পৌঁছান আইসিসি
চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন। তবে আগে থেকেই
উপস্থিত ছিলেন আ হ ম মোস্তফা কামাল।


বেঁচে গেলেন ২০৬ বিমানযাত্রী, ঢাকায় জরুরি অবতরণ

ঢাকা: অল্পের জন্য বেঁচে গেলো ২০৬ জন
বিমানযাত্রী। কারিগরি ত্রুটির কারণে সিঙ্গাপুর
থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৮৫
ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক
বিমানবন্দরে শেষ পর্যন্ত জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য
হয়।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী
পুলিশ সুপার তানজিনা আক্তার ঢাকাটাইমসকে
জানান, বিমানটি সিঙ্গাপুর থেকে প্রথমে হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে
চা্ন।
কিন্তু ক্লিয়ারেন্স না পেয়ে বিমানটি চট্টগ্রামে
হযরত শাহ আমানত বিমানবন্দরে ছুটে যায। সেখানে
ক্লিয়ারেন্স না পেয়ে বিমানটি ফের হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ফিরে
আসে। এবং জরুরি অবতরণ করেন।
শনিবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে বিমানটি অবতরণ করে
বলে জানান।

'হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের শুভবুদ্ধি হওয়ায় অভিনন্দন'

বিএনপির উদ্দেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী
মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, হরতাল-অবরোধ
প্রত্যাহার করেছেন ভালো খবর। মানুষকে
ভালোবাসুন। মানুষের মন জয় করতে পারবেন।
পুড়িয়ে, মানুষ হত্যা করে কিছুই করতে পারবেন না।
জনগণ ভয়কে জয় করেছে।
রাজধানীর টিকাটুলীর রামকৃষ্ণ মিশন উচ্চ বিদ্যালয়
প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়টির শতবর্ষ পূর্তির সমাপনী
অধিবেশনে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে
তিনি এ সব কথা বলেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হরতাল-অবরোধের মতো
জ্বালাও-পোড়া কর্মসূচি মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।
এগুলো প্রত্যাহার করা ছাড়া বিএনপির আর কি করার ছিল?
হরতাল-অবরোধ প্রত্যাহারের শুভবুদ্ধি হওয়ায়
তাদেরকে অভিনন্দন। গণতান্ত্রিক রাজনীতি করতে
হলে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি বন্ধ করা উচিৎ।
তিনি বলেন, অনেক ঐতিহ্যবাহী স্কুল হারিয়ে যাচ্ছে
অর্থের কাছে। সম্পদশালী ব্যক্তিদের সন্তানরা ওই
সব বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে না। সেখানে তাদের
মেধার বিকাশ হয় কিনা আমরা জানি না। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী
স্কুলগুলোতে যারা পড়ে তাদের মেধার বিকাশ হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকেই আমাকে
মেডিক্যাল ভর্তির নাম্বার কমাতে চাপ দিয়েছে। আমি
আপস করিনি। এই শিক্ষার মান আমি কমাতে পারব না।
শিক্ষার ব্যাপারে আপোস হতে পারে না। আপস
হলে সেই জাতি উন্নতি করতে পারে না। মানুষকে
বাঁচানো চিকিৎসকের কাজ।
রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন সভাপতি শ্রীমৎ স্বামী
অমেয়ানন্দজী মহারাজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জয়কালী মন্দির কমিটির
সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ কুমার রায় ও ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক
অধ্যাপক রমজুল হক, শ্রীবিজয় কৃষ্ণ সরকার প্রমুখ।