উপকরনঃ
সাজনে ডাটা (কেজি খানেক, কেটে কুটে যা
টিকে)
মুশরী ডাল (হাফ কাপ)
টমেটো ১ টা
কাঁচা মরিচ – কয়েকটা
পেঁয়াজ কুঁচি হাফ কাপ
রসুন বাটা ২ চা চামচ
রসুন কুঁচি দুই টেবিল চামচ (বাগার দেয়ার জন্য)
গুড়া মরিচ – ১ চামচ (ঝাল কেমন চান তা বুঝে)
গুড়া হলুদ – হাফ চামচ
ধনিয়া পাতা – এক চামচ
লবন (পরিমান মত)
তেল (পরিমান মত)
এই রান্নার দাপ তিনটে। রান্না তেমন জটিল নয়।
তবে রান্নাঘরেই আপনাকে অবস্থান করতে
হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে, ডাল পাতিল
উতরে উঠে! ডাল এবং দুধ চুল্লায় দিয়ে রান্নাঘর
ছেড়ে যাওয়া উচিত নয়! হা হা হা…।
প্রথমে আমরা যে ভাবে ডাল রান্না করি ঠিক
সেই মত পাতলা ডাল রান্না করতে হবে
সাজনে ডাটা দিয়ে ভাল করে পাকিয়ে নিতে
হবে।
রসুন দিয়ে বাগার মারতে হবে, এতে স্বাদ
দুইশত গুন বেড়ে যাবে।
মুশরী ডাল ও সাজনে ডাটা
রান্নার প্রনালীঃ
১। সাজনে ডাটা কিনতে হবে দেখে শুনে।
বেশী ব্বাতি হলে তিতা লাগতে পারে।
২। মুশরী ডাল ভাল করে ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন,
এতে রান্নায় সময় বাঁচবে।
৩। তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন বাটা
ভেজে তাতে মরিচ হলুদ গুড়া এবং লবন দিয়ে
ভাল করে কষাতে থাকুন। তেল আলাদা হলে
এক কাপ পানি দিয়ে দিন।
৪। কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে দিন।
৫। এবার ডাল দিন এবং ভাল করে নেড়ে কষিয়ে
নিন। আরো এক কাপ পানি দিয়ে ভাল করে সিদ্ব
করুন।
৬। প্রয়োজনে আরো কিছু পানি দিতে
পারেন এবং রঙ আপনার মনের মত হলে তাতে
টমেটো ফালি করে দিয়ে দিন।
৭। ডাল না গললে ঘুটা দিতে পারেন। ব্যস হয়ে
গেল মুশরী ডাল রান্না! আহ…
৮। সাজনে ডাটা দিয়ে দিন।
৯। সাজনে ডাটা সিদ্ব হতে মিনিট বিশেক সময়
নিতে পারে। প্রয়োজনে ডাকনা দিয়ে হালকা
আঁচে রাখুন।
১০। ঘরে ধনিয়া পাতা থাকলে দিন। ঘ্রান ও স্বাদ
আরো বেড়ে যাবে।
১১। অন্য একটা কড়াইয়ে সামান্য তেল নিয়ে
ভাল করে গরম করুন এবং রসুন ভাঁজুন। হালকা হলুদ
হলে তাতে সাজনের ডাল দিয়ে দিন। এটা
হচ্ছে বাগার। স্বাদ কয়েকগুন বেড়ে যাবে।
১২। প্রয়োজনে আরো কিছু সময় হালকা
আঁচে রাখুন এবং ফাইনাল লবন চেক করুন।
১৩। ব্যস হয়ে গেল ডাল দিয়ে সাজনে ডাটা।
0 comments:
Post a Comment