Sunday, March 29, 2015

সিরাজগঞ্জে যমুনায় ভাঙন, হুমকিতে স্থাপনা ও বাঁধ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শুষ্ক মৌসুমেই সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। অসময়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
এক সপ্তাহ আগে এ অবস্থা শুরু হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেনি বলে
অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর ডান তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে। তিন দিন আগে কাজীপুর উপজেলার ঢেকুরিয়া নামক স্থানে স্থায়ী তীর সংরক্ষণ বাঁধের নিচ অংশের চার মিটার জুড়ে সিসি ব্লক ধসে গেছে। সদর উপজেলার শিমলা-২ নং স্পারের উত্তর থেকে বালুঘুঘরি হয়ে বাহুকা পর্যন্তও ভাঙন শুরু
হয়েছে। এই এলাকার ডান তীরের প্রায় দীর্ঘ দুই
কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙছে। স্পার সংলগ্ন শহীদ আহসান হাবীব উচ্চবিদ্যালয় নদী থেকে ১০ ফুট দূরে অবস্থিত। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বাঁধটি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
বালুঘুঘরি গ্রামের ইয়াকুব আলী জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে জোয়ারের কারণে কিছুটা পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর পানি সরাসরি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আঘাত করায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির গতিপথ পরিবর্তন করতে নদী খনন করে ভরাট করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড খননযন্ত্র আনলেও তা অজানা কারণে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অসময়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় আমরা এখন
আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। শহীদ আহসান হাবীব উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক
মো. মাসুদ রানা বলেন, 'সামান্য পানি বৃদ্ধিতেই যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে বন্যার পানি আসলে কি হবে একমাত্র আল্লাহই জানেন। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কাছে কতবার বলেছি, তাঁরা শুধু দেখে দেখে চলে যাচ্ছে। কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না। যদি দ্রুত সময়ে খনন যন্ত্র দিয়ে ডান পাড়ের কিছু অংশ ভরাট করতো, তা হলে ভাঙন রোধ
সম্ভব হতো।' ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, শিমলা স্পার
থেকে বালুঘুঘরি পর্যন্ত পানি সরাসরি আঘাত হানায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই এলাকাটি ভরাট করে পানি নদীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই খনন যন্ত্র এসেছে। পাইপ না আসায় কাজ শুরু
করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়াও যমুনা নদীর গতি প্রকৃতি নির্ণয় করা কঠিন। স্থায়ী তীর সংলগ্ন বাঁধের ধসে যাওয়া স্থানে সিসি ব্লক ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পর্যায়ক্রমে বাকি স্থানগুলোতেও ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

0 comments:

Post a Comment