সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Sunday, January 29, 2017

আমি প্রধান অতিথি হতে আসিনি- আমি সফলদের কথা বলতে এসেছি। -------যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী

আজ ২৯ জানুয়ারী ২০১৭ইং রবিবার ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ তায়কোয়াডো ফেডারেশন এর দক্ষিন কোরিয়া হতে আগত ০৪ সদস্য বিশিষ্ট কোরিয়ান তায়কোয়ানডো প্রশিক্ষক দ্বারা ১০ দিন দিনব্যাপী“তায়কোয়ানডো প্রশিক্ষন কর্মশালার সমাপনী ও সনদপত্র বিতরন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন- মনে রাখতে হবে পড়ে শেখার চেয়ে-করে শেখা জরুরি। ব্যর্থতা কোনো বাধা নয়। আমরা লক্ষ্যটা এত বড় রাখি যেন দু-এক বার ব্যর্থ হওয়াটা স্বাভাবিক মনে হয়। যদি তুমি খুব কঠিন কিছু নিয়ে কাজ করো, যা আর কেউ করছে না, চালিয়ে যাও। কারণ তোমার কোনো প্রতিযোগিতা নেই। তুমি যদি ব্যর্থও হও, নিশ্চয়ই একটা ভালো কিছু পাবে। অন্যের দিকে মন না দিয়ে নিজের কাজটার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। কারণ তোমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে বাছাইকৃত প্রতিভাবান খেলোয়াড়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু যেমন বদলে যাচ্ছে, তেমনি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বা পড়ালেখার ধরনটা, খেলাধূলার বিষয়টা, সামাজিক, পারিবারিক এমনকি রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চয় বদলানো উচিত। যে সব ক্রীড়া ডিসিপ্লিন অন্তর্ভক্ত হয়েছে তায়কোয়ানডো তার মধ্যে অন্যতম। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নিদের্শে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে ৪২ লক্ষ টাকা বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন বরাদ্দ পেয়েছে। বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আমি বিশ্বাস করি ক্রীড়ার মাধ্যমে দেশে সুশৃঙ্খল যুব সমাজ গঠন সম্ভব, যারা দেশকে ভবিষ্যতে দেশকে সমৃদ্ধিশালী ও প্রগতিশীল করে গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সময়োপযোগী তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিভা অন্বেষনের মতো প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়া বহুলাংশে সমৃদ্ধশালী হয়েছে। আমার পক্ষ হতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই যুগপোযোগী পদক্ষেপের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি আরও ধন্যবাদ জানাই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ঠ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকর্তা, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সকল কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকবৃন্দকে।
অভিজ্ঞতা বলে একটা কথা আছে- পাঠ্য বইয়ের পেছনে সময় দেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের পৃথিবীতে কিন্তু ব্যাপারটা তা নয়। সেখানে কাজের অভিজ্ঞতার গুরুত্ব বেশী। তাই বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হবে। ঝুঁকি নিতে হবে। খোঁজো কোন কাজটা তুমি ভালবস, সেটাই মন লাগিয়ে করো। একাডেমিক পড়ালেখাও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ততটা নয়, যতটা গুরুত্ব আমরা দিই। জীবন একটা দীর্ঘ যাত্রা। তাই আমি যা করছি, তা উপভোগ করা জরুরি। একজন নেতা হিসেবে আমার কাজ হলো-অন্য নেতাদের সামনে থেকে বাধাগুলো সরিয়ে দেওয়া। তাদের বিশ্বাস করা, স্বাধীনতা দেওয়া, তাদের সফল করা। আমি বিশ্বাস করি নেতৃত্ব দেওয়া মানে নিজে সফল হওয়া নয়। বরং এটা নিশ্চিত করা যে, আমার সঙ্গে যারা কাজ করছেন, তারাও সফল হচ্ছেন। আশা আর স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখে সেটা অনুসরণ করতে পারাটাই বড়। যদি কোনো স্বপ্নই না থাকে, তাহলে সামনে এগোনোর গতিটা দেবে কে? শেষ পর্যন্ত কোথায় পৌঁছাতে চাও, সেটা জানা থাকুক না থাকুক, স্বপ্ন থাকতেই হবে। লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য স্থির মনোভাব থাকাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব দূরের ভবিষ্যতের দিকে না তাকিয়ে ছোট ছোট লক্ষ্য ঠিক করতে হবে। বর্তমান সময়ে বেঁচে থাকার জন্য পরিশ্রম করতে হবে। জীবনের নানা পর্যায়ের সমস্যা প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেই সফল হতে হয়। সফল হওয়ার জন্য বিনয়ীও নম্র হওয়াটাই সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ। কঠোর পরিশ্রম ছাড়া এগিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। সবকিছুকে সরল ভাবতে পারাটাই এগোনোর সাহস জোগায়। তবে কোন ক্ষেত্রে ভাল, তা জানতে হবে। অন্যদের চেয়ে বেশী পরিশ্রম করতে না পারিলে লক্ষ্য স্পর্শ করা যাবে না। জীবনে সব কিছুর ভারসাম্য রক্ষা করে এগিয়ে যেতে হবে। বাস্তববাদী হতে হবে। বাস্তববাদী হতে হলে দুঃখ-কষ্ট-বাধা বিপত্তিকে বরণ করে নিতে হবে। দুঃখ-কষ্ট যে পাপের ফল, তোমাকে কে বলিল? নবী-রসূল এত দুঃখ কষ্ট পেলেন কেন? ইচ্ছা আর একাগ্রতা থাকলে অনেক কিছু অর্জন সম্ভব। পরিবর্তনের এটাই সুযোগ। দায়িত্বের ভার যেন তোমাকে থমকে না দেয়, বরং সাহস জোগায়। জীবনের কঠিনতম সিদ্ধান্তগুলো নিতে যারা সাহায্য করেছে বা করছে সেই মা, ভাই-বোন, কোন শিক্ষক, বন্ধু, আমরা তাদের পাশে থাকবো। আমি সব সময় বর্তমান নিয়ে বাঁচতে ভালোবাসি। সব কিছুকে একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভাবতে পছন্দ করি। আমার কাছে কাজে-কথায় হেরে যাওয়াটা ভাবার বিষয় নয়, বরং ভুলটা কোথায় হলো, সেটা জানাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আবার কথায় কথায় ফাস্ট হওয়া বা কাজে জিতে যাওয়া বা আনন্দিত হওয়াও কিন্তু সব না। বরং কোন জায়গায় উন্নতি করা দরকার, সাকসেস হওয়া প্রয়োজন সেটা বলতে পারাটাই জরুরি। আমি মনে করি, তুমি যখন শারীরিকভাবে ক্লান্তিবোধ কর তখনো কিন্তু চাইলে সামনে এগিয়ে যেতে পার। যতক্ষণ না তুমি মানসিকভাবে ক্লান্ত হচ্ছো, ততক্ষণ তুমি আসলে ক্লান্ত না। আমরা ফিজিক্যাল হেল্থ নিয়ে চিন্তিত কিন্তু মেনটাল হেল্থ নিয়ে চিন্তিত নয়। কেন? ফিজিক্যাল ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন। এই মানসিক ট্রিটমেন্ট হচ্ছে তাইকুন্ডু।
উল্লেখ্য যে, গত ০৯ই জানুয়ারী, ২০১৭ইং তারিখে বাংলাদেশ তায়কোয়নডো ফেডারেশনের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়া হতে ০৪ সদস্য বিশিষ্ট তায়কোয়ানডোর উপর বিশেজ্ঞ প্রশিক্ষক দল ৪২ দিনের জন্য বাংলাদেশ সফরে এসেছে। সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের তায়কোয়ানডো খেলোয়াড়দের আরো উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশন উক্ত প্রশিক্ষক দলের তত্ত্বাবধানে গত ২০শে জানুয়ারী হতে ১০ দিনের জন্য সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে একটি বিশেষ তায়কোয়ানডো প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের প্রায় ২০০ জন তায়কোয়ানডো খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে। আজ ২৯শে জানুয়ারী, ২০১৭ ইং তারিখ (রবিবার) বিকাল ৩.৩০ টায় উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী তায়কোয়ানডো খেলোয়াড়দের মাঝে সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জনাব মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী তায়কোয়ানডো খেলোয়াড়দের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন ও প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপ্তি ঘোষণা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রানা সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষকবৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন- যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুল ইসলাম মিজু, কার্যনির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানা, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক তাসভীরুল হক অনু প্রমুখ।

Saturday, January 28, 2017

২০১৯ সালে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সোহাগ লুৎফুল কবির: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে। ওই নির্বাচনে বিএনপি আসতেও বাধ্য হবে এবং হারতেও বাধ্য হবে। কারণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে মানুষ আবারও আওয়ামীলীগ লীগকেই ভোট দেবে।
তিনি শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চর গিরিশ ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ঠ ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া কথা বলে দাম বাড়াচ্ছেন। নির্বাচন না করলে ধানের শীষ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোন অজুহাত দেখিয়ে মিথ্যা আন্দোলনের ধুয়া তুলে লাভ নাই। আপনাদের আন্দোলন কি তা জনগন দেখেছে।
আমরা খালি মাঠে গোল দিতে চাই না। ২০১৯ সালেরর নির্বাচনী মাঠে বিএনপির সাথে মোকাবেলা করে আমরা জয়ী হবো। শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশংসা করেছে। ছিটমহল উদ্ধার, পদ্মাসেতু নির্মাণ, বিদ্যুৎ উদপাদনসহ সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়নের মডেল এখন বাংলাদেশ।
রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মহা পরিচালক শেখ মো: শামীম ইকবাল, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এ মাহী, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকা, কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল, সাবেক সংসদ সদস্য ডা: মুরাদ হাসান, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, তেজগাঁও থানা আ.লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ও কাজিপুর থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী ও চর গিরিশ ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম মিন্টু।

সরকারি হাসপাতালে উপস্থিতি নিশ্চিতে বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহারের নির্দেশ-স্বাস্থ্য মন্ত্রী

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। হাসপাতালে অনুপস্থিতির কোনো অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ হাসপাতাল পরিচালক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকেও দায়ী করা হবে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে এই নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী বলেন, জনগণের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করে চিকিৎসক ও নার্সদের সেবার উপর। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা মেনে নেয়া যায় না। পাশাপাশি হাসপাতাল এলাকায় দালাল উৎখাতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সকল পরিচালককে নির্দেশ দেন তিনি। এ সময় মন্ত্রী সরকারি হাসপাতালের আশপাশে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন নিরুৎসাহিত করে নীতিমালা প্রণয়নেরও তাগিদ দেন। সভায় অন্যান্যের মাঝে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।

Friday, January 27, 2017

রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করবেন না: ওবায়দুল কাদের

সিরাজগঞ্জ: রাস্তা বন্ধ করে সভা-সমাবেশ না করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে মানুষ কষ্ট পাবে। আমি এ ধরনের সভার বিরুদ্ধে। রাস্তা বন্ধ করে র্যালি, সভা ও সমাবেশ করবেন না, এটা শেখ হাসিনার নির্দেশ।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাস্তার পাশে আয়োজিত এ পথসভায় মন্ত্রী বলেন, জনসভার মঞ্চ দেখে মনে হয় বাংলাদেশ বুঝি নেতা উৎপাদনের কারখানা। দেশে নেতা বেড়ে গেছে, কর্মীর সংখ্যা কমে গেছে।
এ সময় দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরদিন থাকবে না। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। ভালোবাসা অর্জন করুন। মানুষের ভালোবাসা ও দেশের উন্নয়নের কারণে শেখ হাসিনা জনপ্রিয় নেত্রীতে পরিণত হয়েছেন। তিনি আমাদের দলের চেয়েও জনপ্রিয়।
তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, কোনো ইউনিয়ন কমিটি উপজেলায় যাবে না, উপজেলা কমিটিও জেলায় করতে পারবেন না। যেখানকার কমিটি সেখানেই ঘোষণা দিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন, ২৬ বছরেও কেউ সে উন্নয়ন করতে পারেনি। ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ১২ কোটি মানুষ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ৬ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এখন রফতানি করছে। অনেক সূচকে ভারত-পাকিস্তানকে পেছেনে ফেলে বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এখন নালিশ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। ৮ বছর ধরে আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনো আন্দোলনই করতে পারছে না। রোজার ঈদ এলে বলে কোরবানির পর আন্দোলন, কোরবানির পর বলে পরীক্ষার পর আন্দোলন। এ বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোনো বছর।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবে মিল্লাত মুন্নান, সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য ও কেএম হোসেন আলী হাসান।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সেলিনা বেগম স্বপ্না, কেন্দ্রীয় সদস্য এস এম কামাল ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

নাতি-নাতনিদের নিয়ে ভ্যানে ঘুরলেন প্রধানমন্ত্রী

টুঙ্গিপাড়া: হাস্যোজ্জ্বল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোলে তার এক নাতি। পাশে আরেক নাতনি। রয়েছেন ভাগ্নে (ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে) রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও তার স্ত্রী পেপি।
পরিবারের এ সদস্যদের নিয়ে ভ্যানে টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরলেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান।
গোপালগঞ্জ সফররত প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ভ্যানে চড়ে এ ভ্রমণে বের হন।

Tuesday, January 24, 2017

সিরাজগঞ্জে কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার হোসেনপুর বাগানবাড়ী মহল্লায় নীলিমা খাতুন জিমি (২২) নামে এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নীলিমা পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার থলে গ্রামের জাহেদ আলীর মেয়ে ও তাড়াশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অনার্স হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।
বাড়ির মালিক মনিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ১৫ দিন আগে কামরখন্দ উপজেলার কুটিরচর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ফরিদুল ইসলাম ফুপাতো বোন পরিচয় দিয়ে বাসাটি ভাড়া নিয়ে নীলিমাকে রেখে চলে যান। প্রতিদিনের মত সোমবার রাতেও নিজ ঘরে ঘুমাতে যান নীলিমা। পরে সকাল ১১টার দিকে ঘরের দরজা না খোলায় আমরা জানালার ফাঁক দিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে থানায় খবর দেই।
সদর থানার দুই নম্বর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, সকালে মনিরুলের ভাড়া বাসায় নীলিমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

জঙ্গী দমন এবং দেশের সার্বিক উনয়ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফলতা : নাসিম

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : জঙ্গী দমন এবং দেশের সার্বিক উনয়ন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফলতার উল্লেখ করে আওয়ামীলীর প্রসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্য মন্ত্রী মােহাম্মদ নাসিম বলেছন- আগামী দুই বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে। উন্নয়নে ধারা অব্যাহত রাখতে এ নির্বাচনে জনগণ আবারাে আওয়ামীলীগকেই ভােট দেবে বল তিনি মন্তব্য করেছন।
তিনি সােমবার দুপুর সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ছােনগাছা ইউনিয়নের শীতার্তদের মধ্যে কম্বল বিতরণকালে একথা বলেছন। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন- রাজনীতি জনগণের কল্যাণের জন্য। বিএনপি ধংসাত্বক রাজনীতি ছাড়া ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে এসে জনগণের কল্যাণকর রাজনীতি করুক তা সবারই কাম্য। দেশের মানুষ আর ধংসের রাজনীতি চায় না।
সমাবেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মােহাম্মদ নাসিম দৃঢ়তার সাথে বলেছেন- দেশের মানুষ আর ধংসের রাজনীতি চায় না। মানুষ চায় উন্নয়ন। যারা ধংসের রাজনীতি করেছে, জনগণ তাদের পরিহার করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গী দমনের সফলতার মুখ দেখছে। সারা দুনিয়ার মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন ও জঙ্গী দমন সফলতায় প্রশংসা করেছে।
ছােনগাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়াজিত জনসমাবেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজং চাম্বুগং, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান দুদু, জেলা পরিষদর কাউন্সিলর গােলাম রব্বানি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলন।
এরপরে তিনি সিরাজগঞ্জ শহরের অদূরে শিয়ালকােল এলাকায় নির্মাণাধীন শহীদ এম মনসুর আলী সরকারি মেডিক্যাল কলেজের নির্মান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করন।
শিয়ালকােল এলাকায় জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলী সরকারি মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণ কাজর অগ্রগতি পরিদর্শন কালে দ্রুত নির্ধারিত সময়ের মধ্য কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেছেন কাজে কােন দূর্নীতি সয্য করা হবে না। এমনকি কেউ অযথা কাজে বাধা সৃষ্টি করলে তাকেও আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছন। এ সময় নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান পিডাব্লিডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা, সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মােঃ মনজুর রহমান, প্রকল্পের পিডি ডাঃ সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা উপস্থিত ছিলেন।
পরে তিনি সার্কিট হাউসে মুক্তি যােদ্ধা সংসদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। প্রতিনিধি দল জেলা মুক্তিযাদ্ধা কমান্ডার গাজী সফিকুল ইসলাম সফি, আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী জগলু সহ রাজনৈতিক দলর নেতৃবিন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Sunday, January 22, 2017

বেলকুচিতে ৫শতাদিক নেতাকর্মী নিয়ে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় ৫শতাদিক নেতাকর্মী নিয়ে বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় বেলকুচির আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংভর্থনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্নার হাতে ফুলের নৌকা দিয়ে তিনি আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।
যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন বেলকুচি উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম, শ্রমিক দলের আহবায়ক নুরুল ইসলাম নুরু, উপজেলা বিএনপির সদস্য আল মাহমুদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন সম্পাদক থানা মাসুদ রানা, হাসানুল হক রিপন, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুকুল হোসেন মাসুদ রানা বাচ্চুসহ উপজেলা বিএনপি, রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ সংগঠনের প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মী।


সিরাজগঞ্জে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয় নেতার ছবি সম্বলিত ব্যানার,পোস্টার লুটালো মাটিতে

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
ছবি দেখে কি ভাবছেন ? জামায়ত শিবিবের কাজ ? না সিরাজগঞ্জে এই ঘৃন্য কাজের তীর উঠেছে কতিপয় নামধারী আওয়ামীমনা নেতা-কর্মীর উপর । যমুনা সেতু পার হবার পর উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের মুলিবাড়ি রেলক্রসিং এলাকায় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এম মনসুর আলী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহ্বাজ মোহাম্মাদ নাসিম, নাসিমপুত্র এবং সাবেক এমপি তানভীর শাকিল জয় এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমনের ছবি সংবলিত পোস্টার , ব্যানার কে বা কারা রাতের আধারে ছিড়ে/কেটে মাটিতে ফেলে রাখে । যার ফলে চরম অবমাননা হয় জাতীয় এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা এবং কতিপয় মানুষের ফেসবুক ওয়াল থেকে পাওয়া একটি ফোনালাপের রেকর্ডিং এর বরাদ দিয়ে জানা যায় আওয়ামীলীগের অন্য একটি গ্রুপ হিংসার বসবর্তী হয়ে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনাদি ঘটিয়ে থাকতে পারে । স্থানীয় জনগণ এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন ।

Wednesday, January 18, 2017

আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তি, ৮ নারীর সাজা

নিজস্ব প্রতিনিধি:
আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তি, ৮ নারীর সাজা
সিরাজগঞ্জ শহরের একটি আবাসিক হোটেলে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ৮ নারীকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

বুধবার আড়াইটার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজন চাম্বুগং এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। এর আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় নাফিস আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে পতিতাবৃত্তির অভিযোগে ৮ নারীকে আটক করে পুলিশ।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো, শহরের রেলওয়ে কলোনীর রোজিনা খাতুন (৩০), দত্তবাড়ীর পারভীন খাতুন (২৪), কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামের আলো খাতুন (৩০), সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল গ্রামের কাজল রেখা (২৬), রায়গঞ্জ উপজেলার হাটপাঙ্গাসী গ্রামের ফরিদা খাতুন (৩৫), একই উপজেলার নিমগাছী এলাকার রত্না খাতুন (২০), সদর উপজেলার পিপুলবাড়ীয়া গ্রামের রাশিদা খাতুন (৩৪) ও টাঙ্গাইল সদর উপজেলার আকলিমা খাতুন (৩০)।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লহ আল মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাফিস হোটেলে অভিযান চালিয়ে ওই ৮জন পতিতাকে আটক করা হয়।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজন চাম্বুগং জানান, শহরের নাফিস হোটেলে দীর্ঘদিন ধরে অসামাজিক কাজ চলে আসছে। হোটেলটি বন্ধ ও মালিকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লাপাড়া-উধুনিয়া সড়কের বেহাল দশা, গত ১০ বছরে সংস্কারের ছোয়া লাগেনি


কার্পেটিং উঠে গেছে বহু আগে। সড়কের মাটির অংশও দেবে গেছে। বেশির ভাগ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচল তো পরের ব্যাপার, হাঁটাই রীতিমতো দুরূহ। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার মোহনপুর বাজার থেকে উধুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়কের এই করুণ দশা গত ১০ বছর ধরে।

স্থানীয় লোকজন জানান, ২০০৪-০৫ অর্থবছরে চলনবিলের মাঝখান দিয়ে উল্লাপাড়া-উধুনিয়া পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের এক বছরের মাথায় ওই সড়কের মোহনপুর বাজারের পশ্চিম অংশ থেকে উধুনিয়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার অংশ বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যায়। এরপর আর সংস্কার না হওয়ায় কার্পেটিং উঠে যায়। বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়। সেগুলো বিস্তৃত হতে থাকে। বর্তমানে সড়কের ওই অংশে মোটরসাইকেল ছাড়া অন্য কোনো যান চলাচল করে না। বর্ষায় হেঁটে চলাচলেরও অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি।

গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা যায়, বেশির ভাগ স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও পানি জমে ডোবার মতো হয়ে আছে। দুই পাশ থেকে মাটি সরে যাওয়ায় সেতুগুলো কোনোমতে দাঁড়িয়ে আছে।

উধুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওলি দাস তাঁর বাবার বাগি উল্লাপাড়ার সোনতলা গ্রাম থেকে বস্তায় মালামাল নিয়ে হেঁটেযাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এবা করাই গত ১০ বছর বাবার বাড়িতে যাওয়া-আসা করি। রাস্তা খারাপ হের লাইগ্যা কোনো আত্মীয়স্বজনও আসে না।’ একই গ্রামের নাসিমা বেগম বলেন, ‘এই রাস্তার লাইগ্যা আমাগো গ্রামের কোনো মেয়ের ভালো বিয়া হইতেছে না। ভালো পরিবারের লোকজন আসে না। এভাবে আর কত দিন চইলব, আল্লাহই জানে।’

মোহনপুর বাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন বলেন, ২০১২ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়কটি পরিদর্শন করেন। ওই সময় তিনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ছয় মাসের মধ্যে মেরামতকাজ শুরু করতে। কিন্তু চার বছর অতিবাহিত হলেও কিছুই হয়নি।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আশরাফ আলী বলেন, প্রায় দেড় শ কোটি টাকা ব্যয়েউল্লাপাড়ার শ্যামলীপাড়া থেকে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ময়দানদীঘি বাজার পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার নতুন রাস্তা নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। সেটি ফেরত পাঠানো হয়েছে। সড়ক বিভাগের বিশেষজ্ঞরা রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে মতামত দেওয়ার পর আবার নতুন করে প্রকল্প দেওয়া হবে। তবে ভেঙে ভেঙে অল্প টাকার মধ্যে সড়কটির উধুনিয়া পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার অংশ মেরামত করার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে।

স্থানীয় সাংসদ তানভীর ইমাম বলেন, ‘সড়কটির বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এটি বড় ধরনের কাজ বিধায় সময় লাগছে। আশা করি, প্রকল্প অনুমোদনের পর কিছুদিনের মধ্যেই মেরামতকাজ শুরু করা যাবে।’