সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Wednesday, March 16, 2016

বিশ্ব শান্তি পুরস্কার পেলেন ড. আরেফিন সিদ্দিক ও কবির বিন আনোয়ার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার এর এসইউএসডব্লিউএম বিশ্ব শান্তি পুরস্কার লাভ।
সমাজে শিক্ষার আলো ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা রাখায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে এসইউএসডব্লিউএম বিশ্ব শান্তি পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
আজ কোলকাতা থেকে প্রেরিত এক বার্তায় জানানো হয় যে, ১৩ মার্চ সোমবার কোলকাতার তেঘরিয়া চিনারপার্কে মেসেয়ার কনভেনশন হলে সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন (এসইউএসডব্লিউএম) এর পরিচালক ড. বৌদ্ধপ্রিয় মহাথেরো ড. আরেফিন সিদ্দিকের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় বলা হয়, খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ড. আরেফিন সিদ্দিক তার দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শান্তি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধকে জাগরিত করায় নিবেদিত হয়ে কাজ করছেন।
আরও যেসব গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তিকে এসইউএসডব্লিউএম বিশ্ব শান্তি পুরস্কারে প্রদান করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টারি রিফর্মস অ্যান্ড মাস মিডিয়া বিষয়ক মন্ত্রী করুনা তিলক জ্ঞানথা, ভুটানের সাবেক প্রধান বিচারপতি সোনম টোগাই, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার।
সিদ্ধার্থ ইউনাইটেড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার মিশন সমাজে শিক্ষার আলো ও জ্ঞান বিতরণের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র, আন্ত-ধর্মীয় বিশ্বাস, ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তথা মানবতা প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণ এশিয়ায় যারা অনন্য অবদান রাখছেন তাদের শান্তি ও সংহতি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে এসইউএসডব্লিউএম বিশ্ব শান্তি পুরস্কার চালু করে।
উল্লেখ্য, এসইউএসডব্লিউএম একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান যারা বিগত এক দশক ধরে সমাজে নিপীড়িত নির্যাতিতদেও উন্নয়ন ও কল্যাণমূলক কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

Sunday, March 13, 2016

রায়গঞ্জে আ'লীগ-বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ১০

সিরাজগঞ্জ: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ব্রম্মগাছা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম সরোয়ার লিটনের সমর্থকদের সাথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নাজিরের সমর্থকদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার দুপুরে উপজেলার ব্রম্মগাছা ইউনিয়নের ভাতহারিয়া বাজারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পুলিশের গুলি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে অনন্ত ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ গোলাম ও হেলাল নামে দুজনকে সিরাজগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বিশ্বাস জানান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার লিটনের সমর্থনে যুবলীগ কর্মীরা ভাত হাড়িয়া হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরি করছিল। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থী নাসিরের সমর্থকরা মঞ্চ তৈরি করতে বাঁধা দিলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়।

তবে বিদ্রোহী প্রার্থী নাসির উদ্দিন নাজির জানান, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হওয়ায় স্কুল বন্ধ রেখে মিটিং করতে নিষেধ করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম সরোয়ার লিটনের ছোট ভাই টিটো ও ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারন সম্পাদক ছানোয়ার হোসেন বাবু নেতৃত্বে ৪/৫’শ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসেও তাদের দিকে রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। হামলা ও পুলিশের গুলিতে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি গোলাম হোসেন, ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সৈকত হাসান ফাত্তা, আমার স্ত্রী রীনা খাতুন, ভাবী লতিফ বেগম, সাইদ, আব্দুল গাফ্ফার, হেলাল উদ্দিন, বেলাল হোসেন, মজিদ ও আয়নাল উদ্দিনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রদের মারপিট করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়ে গোলাম ও হেলাল গুরত্বর আহত হয়েছে। তাদেরকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম সরোয়ার জানান, ইউনিয়ন যুবলীগ স্কুলে সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এ সময় নাজিরের উদ্দিনের লোকজন তার সমাবেশ পন্ড করতে হামলা চালিয়ে তার সমর্থিতদের মারপিট করেছে। তবে ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এজন্য বিস্তারিত বলতে পারছি না।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আকমুজ্জামান জানান, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মাথায় গুলিবিদ্ধ হেলালের অবস্থায় আশঙ্কাজনক।

©সিরাজগঞ্জ 

Saturday, March 12, 2016

রায়গঞ্জে মূল ফ্যাক্টর বিদ্রোহীরা

সিরাজগঞ্জ: জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে প্রচার প্রচারণা জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাই মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছেন বলে স্থানীয় ভোটাররা মনে করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় নৌকা ও ধানের শীষের তুলনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই প্রচারণায় এগিয়ে। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা নিজেদের বিজয় অনেকটা নিশ্চিত মনে করে ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। অপরদিকে, বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার আশঙ্কায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয় নিয়ে ঢিমেতালে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আগামী ২২ মার্চ ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে রায়গঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে মোট ১১৭টি পদের বিপরীতে ৫০৯ জন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪০, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০৪ ও ৩৬৫ জন সাধারণ সদস্য প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে প্রধান দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের তালিকা নিম্নরূপ-
ধামাইনগর ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাইসুল হাসান সুমন (আওয়ামী লীগের প্রার্থী), গোলাম রব্বানী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী), ইমতিয়াজ মাহমুদ খোকন (বিএনপি প্রার্থী) ও মোখলেছার রহমান (ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী)।
সোনাখাড়া ইউপিতে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন আবু হেনা মোহাম্মাদ মোস্তফা কামাল (আওয়ামী লীগ প্রার্থী), শহিদুল ইসলাম সরকার (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), রণজিত কুমার মাহাতো (আওয়ামী লীগে বিদ্রোহী), টি এম আব্দুল মজিদ (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল (বিএনপি প্রার্থী) ও আব্দুল কুদ্দুস শেখ (স্বতন্ত্র)।
ধুবিল ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন আব্দুল করিম সরকার ভোলা (আওয়ামী লীগ প্রার্থী), আব্দুল করিম রেজা (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), হাসান ইমাম তালুকদার (বিএনপির প্রার্থী) ও আবুল হাশেম (বিএনপির বিদ্রোহী)।
ঘুড়কা ইউনিয়নে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন জিল্লুর রহমান সরকার (আওয়ামী লীগের প্রার্থী), সিরাজুল ইসলাম তালুকদার (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), আবু সাইদ ভুঁইয়া (বিএনপির প্রার্থী), শহীদ হাসান ভুঁইয়া (বিএনপির বিদ্রোহী) ও মো. ওসমান গণি (স্বতন্ত্র প্রার্থী)।
চান্দাইকোনা ইউনিয়নে রয়েছেন আলহাজ আব্দুল হান্নান খান (আওয়ামী লীগ প্রার্থী), আবু হানিফ খান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও খন্দকার শামিমুল হাসান (বিএনপির প্রার্থী)।
ধানগড়া ইউনিয়নে প্রার্থী হয়েছেন মীর ওবায়দুল ইসলাম মাসুম (আওয়ামী লীগ মনোনীত), মো. শামছুল ইসলাম (বিএনপি মনোনীত), এস এম সরওয়ার্দী (জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী), রুহুল আমিন জিহাদী (জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী)।
নলকা ই্উনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক (আওয়ামী লীগের প্রার্থী), আব্দুল গফুর (বিএনপির প্রার্থী), আজাদুর রহমান তালুকদার (বিএনপির বিদ্রোহী), মোহাম্মাদ আব্দুল জাব্বার (স্বতন্ত্র), তারিকুল ইসলাম (জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র)।
পাঙ্গাসী ইউনিয়নের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম (আওয়ামী লীগের প্রার্থী), মজিবর রহমান মল্লিক, আলমগীর কবির খান (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ও সালাউদ্দিন সেখ (জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী)।
ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের প্রার্থী গোলাম ছরওয়ার লিটন (আওয়ামী লীগ প্রার্থী), বর্তমান চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মাহমুদ নাজির (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী), আবুল কালাম (বিএনপির প্রার্থী), আনিছুর রহমান (বিএনপির বিদ্রোহী) ও মফিজুর রহমান শামিম (জামায়াত সমর্থিত স্বতন্ত্র)।

Friday, March 11, 2016

২০২৪ সালেও জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেনঃ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

সিরাজগঞ্জ: শুধু ২০১৯ সাল নয়, ২০২৪ সালেও জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

শুক্রবার সিরাজগঞ্জের কাজিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে দুই দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও ছানি অপারেশন কর্মসূচীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষ অন্ধকার থেকে আলোর দিকে যাচ্ছে। দেশ ও সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আর ভাল কাজের ফল স্বরূপ সাধারণ মানুষ বিপুল ভোটে ২০১৯ সালের পরে ২০২৪ সালেও আবারও আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করবে। আর মানুষ পুড়িয়ে হত্যার ফলস্বরূপ মানুষ বিএনপি-জামায়াতকে বয়কট করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।

মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। তৃণমূলর মানুষের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করার লক্ষে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় তৃণমূল মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর।

ন্যাশনাল আই কেয়ার ও স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত চক্ষু শিবির ক্যাম্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাসুদেব গাঙ্গুলী, স্বাস্থ্য বিভাগের মহা-পরিচালক অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক, চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. এনায়েত হোসেন, জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. শহীদ মো. সাদিকুল, উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল, সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, কাজিপুর পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিল সিরাজী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

এ চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার রোগীকে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা, ওষুধ বিতরণ ও চোখের ছানি অপারেশন করা হয়।

Wednesday, March 2, 2016

সরকার প্রতিটি এলাকায় সুষম উন্নয়ন করছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিরাজগঞ্জ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের প্রতিটি এলাকায় সুষম উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে চাইলে আগে তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন করতে হবে। বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের কারণে দেশ এখন বিদ্যুৎ সমস্যা থেকে মুক্ত হয়েছে। সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন বাংলাদেশ বিদেশে বিদ্যুৎ রফতানি করবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য, আইন শৃ্ঙ্খলা, রাস্তা-ঘাটসহ এই সরকারের আমলে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে দেশের দক্ষিণবঙ্গের মানুষেরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবানসহ দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষদেরও ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।

তিনি বলেন, দেশকে আরো সামনের দিকে নিতে হলে উন্নয়ন কাজ ত্বরান্বিত করতে হলে দল মতের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করতে হবে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কোনো রাজনীতি মেনে নেয়া হবে না। একই সঙ্গে কেউ দেশ উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করলে সে যে দলেরই হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি সকলকে একযোগে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানান।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শহীদ শামসুদ্দীন সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক বিল­াল হোসেনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা পুলিশ মিরাজ উদ্দিন আহমদ, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু ইউসুফ সুর্য্য, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তা, বেলকুচি পৌর মেয়র আশানুর বিশ্বাস, বেলকুচি উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, উল­াপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মারুফ বিন হাবিব, শাহাজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুর রহমান আজাদ, কাজীপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বকুল সরকার, কামারখন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তারা।