সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Tuesday, November 7, 2017

অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন, নজরদারী নেই সিরাজগঞ্জ পৌরসভার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জর পৌর এলাকায় ৩-৪ তলা বাড়ির নকশার অনুমোদন নিয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠছে ৬-৭ তলা ভবন। অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব ভবনের পাশের বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা এসব ভবনের কারণে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

আর এতে কোনো নজরদারী নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। তারা বলছেন, পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে সঠিক তদারকি করা যাচ্ছে না। আর এমন ভবনের সংখ্যা পৌর সভায় অসংখ্য। 
অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি শহরের গোশালা এলাকায় জনৈক একাব্বর আলী সিরাজগঞ্জ পৌরসভা থেকে চারতলা বাড়ির নকশার অনুমোদন নেন। পরবর্তীতে তিনি এটি সম্প্রসারিত করে ৬তলা ভবন করছেন। বিষয়টি পাশের ভবনের মালিকদের নজরে এলে বিষয়টি পৌরসভার মেয়র ও নগর পরিকল্পনাবিদের কাছে অভিযোগ দেন। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার পর দীর্ঘ সময় পার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। 

পাশের ভবনের মালিক আব্দুস সালাম অভিযোগ করে জানান, ভবনটির কাজের শুরুতেই মিথ্যা তথ্য এবং পৌরসভার অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে তার চারতলা বাড়ির অনুমোদন নেন। পরবির্তিতে বাড়ির কাজ শুরু করে ছয়তলা বাড়ি নির্মাণ করেন।

আমরা পৌরসভায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি চারতলা বাড়ির অনুমোদন নিয়েছেন। কিন্তু ছয়তলা বাড়ি করার সময় উপরের অংশে চারপাশে বেশী জায়গা নিয়ে অন্যদের অসুবিধার সৃষ্টি করেন। এ বিষয়টি অভিযোগ আকারে পৌরসভায় জানালেও এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। 
একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ খান ও আব্দুস সালাম জানান, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই এই এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। কিন্তু একাব্বর আলী বাড়ির কাজ শুরু থেকেই সকলের সঙ্গে নানা কারণে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি বিল্ডিং নির্মাণের কোন নিয়মই না মেনে বাড়ির কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি অনুমোদনহীনভাবে ছয়তলা ভবন করায় আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি। বড় কোন প্রাকৃতিক দর্যোগ হলে আমরা দুর্ঘটনায় পড়ার আশঙ্কা করছি। 

তবে ছয়তলা ভবন নির্মাণের কথা অস্বীকার করে নতুন ভবনের মালিক একাব্বর আলী জানান, নকশা অনুমোদন নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। আর চারতলার উপরে শুধু একটি চিলেকোঠা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কারো সমস্যা হবার কথা নয়। আর অনুমোদন না থাকলে সেটি দেখার দায়িত্ব পৌরসভার। অন্য কারো নয়। 

এ বিষয়ে নিয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার শহর পরিকলপনাবিদ মুশফিক আহমেদ জানান, যে বাড়িটি নিয়ে আলোচনা উঠে এসেছে এটি ছাড়াও শহরে আরো অনেক এমন অবৈধ ভবন রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল না থাকা আর জনপ্রতিনিধিদের অসহযোগিতার কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। 

তিনি আরো জানান, যে বাড়িটি নিয়ে বর্তমানে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে সেটি আমি সরজমিনে পরিদর্শন করিনি। তবে আমার সার্ভেয়ার সেটি দেখে আমাকে নোট দিয়েছে আমি অনুমোদনের জন্য সাবমিট করেছি। তবে ভবনের মালিক যদি অবৈধভাবে ৪ তলার জায়গায় ৬ তলা নির্মাণ করে থাকেন তার বিরুদ্ধে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। 

Friday, November 3, 2017

নতুন প্রজন্মকে মনসুর আলীর ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত করতে হবে

সিরাজগঞ্জঃ
মন্ত্রীত্বের লোভকে দূরে ঠেলে দিয়ে নির্মম মৃত্যুকে বরণ করে নিয়ে মহান আত্মত্যাগের বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন শহীদ এম মনসুর আলী। তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানী করেন নি। তাঁর এই ত্যাগের আদর্শে নতুন প্রজন্মকে উজ্জীবিত করে দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বাজার স্টেশন মুক্তির সোপান চত্বরে জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর স্মরণে আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদেরকে শহীদ এম মনসুর আলীর জীবন-আদর্শ জানাতে হবে। তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত করে শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রথমবারের মত শহীদ এম মনসুর আলীর শাহাদত বার্ষিকী পালন উপলক্ষে রেলী, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দিকার সভাপতিত্বে স্মরন সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. মনজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবু নূর মো: শামছুজ্জামান,  জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী আবু জাফর, স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, পৌর মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এড. কে এম হোসেন আলী হাসান, এড. বিমল কুমার দাস, হাজী ইসহাক আলী প্রমুখ।