Saturday, August 15, 2015

শোকে স্মরণ স্বাধীনতার স্থপতিকে

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ দিন সমগ্র জাতি স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ককে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।
১৯৭৫ সালের শোকাবহ এই কালো দিবসে সূর্য ওঠার আগে খুব ভোরে ধানমণ্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে স্বাধীনতাবিরোধী
চক্র নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু
বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। তাদের হাতে
একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর
সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা
মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ
জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ
সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে
বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের,
ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তাঁর
ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্ত,
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের
সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তাঁর
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি এবং আবদুল
নাঈম খান রিন্টু, কর্নেল জামিলসহ
পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময়
বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ
রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ২৬
সেপ্টেম্বর স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট খন্দকার
মোশতাক আহমেদ বিচারের হাত থেকে
খুনিদের রক্ষা করতে ইনডেমনিটি
অর্ডিন্যান্স জারি করেন। পরবর্তী সময়ে
জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে ইনডেমনিটিকে
আইন হিসেবে অনুমোদন করেন।
১৫ আগস্টকে সামনে রেখে এ মাসের প্রথম
দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী
সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক,
রাজনৈতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন
করছে। এবারও সরকারিভাবে পালিত হচ্ছে
দিবসটির বিভিন্ন কর্মসূচি। দিবসটিতে এরই
মধ্যে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা
হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল
হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও
বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ পৃথক
বাণী দিয়েছেন।
সরকারি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সূর্যোদয়ের
সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধা সরকারি,
স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ও বেসরকারি ভবনগুলোতে অর্ধনমিত জাতীয়
পতাকা উত্তোলন। এ ছাড়া বিদেশে
বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা
অর্ধনমিত এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা
হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার ও
বাংলাদেশ টেলিভিশন বিশেষ
অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো
বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
বঙ্গবন্ধু অমলিন, অক্ষয় : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন,
যতদিন এ দেশ ও জনগণ থাকবে ততদিন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নাম এ দেশের
লাখো-কোটি বাঙালির অন্তরে চির অমলিন
ও অক্ষয় হয়ে থাকবে। রাষ্ট্রপতি আজ
শুক্রবার জাতীয় শোক দিবস এবং বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী
উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন। তিনি
বলেন, গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও বাঙালি
জাতির ইতিহাসে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ এক
বেদনাবিধুর ও কলঙ্কজনক অধ্যায়। এদিন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দেশের
স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের
প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ঘাতকচক্রের হাতে
স্ত্রী, ছেলে, ছেলেবউ এবং কাছের
আত্মীয়সহ শাহাদাতবরণ করেন।
ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও
তাঁর আদর্শ ও নীতিকে নিঃশেষ করতে
পারেনি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন,
‘আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং
স্বাধীনতা অর্জনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ
বাঙালি বঙ্গবন্ধুর অবদান অপরিসীম। তাঁরই
নেতৃত্বে বাঙালি জাতি অর্জন করে বহু
কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর
চিন্তাচেতনায় সব সময় কাজ করত বাংলা,
বাঙালি ও বাংলাদেশ। তিনি ছিলেন
বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি
জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “জাতির পিতার সারা
জীবনের স্বপ্ন ছিল দেশকে ‘সোনার
বাংলা’য় পরিণত করা। আমাদের দায়িত্ব
হবে, বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ কাজকে সম্পূর্ণ করে
দেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত
করে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই
আমরা চিরঞ্জীবী এই মহান নেতার প্রতি
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে পারব।”
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মরেনি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে
হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে
তাঁর স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায়
আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে
বলেছেন, ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ,
সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার
এ সংগ্রামে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে।’
আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাণীতে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী এবং
ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি
পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল
স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাঙালি পেয়েছে
স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয়
সংগীত।
‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র
জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা
গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই
স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির
পিতাকে হত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে তারা
বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও
অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়।
অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের
রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে ফেলাই ছিল
তাদের মূল লক্ষ্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে
হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু
ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও
তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ
বাঙালি জাতির অন্তরে প্রোথিত হয়ে
আছে। জাতির পিতাকে হারানোর শোককে
শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্ন সোনার
বাংলা প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করার
আহ্বান জানান তিনি।
কালিমালিপ্ত অধ্যায়ের সূচনা : রওশন
এরশাদ
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন
এরশাদ বলেছেন, ১৫ আগস্ট কেবল একজন
রাষ্ট্রনায়ককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়নি
বরং ধূলিসাৎ করার চেষ্টা হয়েছে
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসম্প্রদায়িক
বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকেও।
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এই
দিনে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক
কালিমালিপ্ত অধ্যায় রচিত করা হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪০তম
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ
কথা বলেন বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি
বলেন, জাতীয় ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর অবদান
অপরিসীম। তাঁরই নেতৃত্বে বাঙালি জাতি
অর্জন করে বহুকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু
যে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে
নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তা এগিয়ে নিতে হলে
দরকার আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির
পরিবর্তন। অর্থনৈতিকভাবে জাতিকে
আত্মনির্ভরশীল ও সমৃদ্ধ করে তোলার
ক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে সবাই একযোগে
কাজ করলে তবেই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ
হবে।
বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ
দেশবাসীকে সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে উঠে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগ ও
অবদান উপলব্ধি করার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি
শনিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে ধানমণ্ডির ৩২
নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ
করবেন। সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার
প্রদান শেষে অনুষ্ঠিত হবে মোনাজাত ও
কোরআন তিলাওয়াত।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য ও
অন্যান্য শহীদের বনানী কবরস্থানে সকাল
৭টা ৩০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ
শেষে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত
হবে।
এদিন সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জের
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফাতেহা পাঠ,
প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সশস্ত্র
বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদানসহ
মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং
কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সংগঠনের সকল স্তরের
কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা
অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনে শেখ মুজিবুর
রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে
সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে বনানী কবরস্থানে ১৫
আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন,
মাজার জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও
মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
একই দিনে টুঙ্গিপাড়ায় সকাল ১০টায় জাতির
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে
শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ,
মোনাজাত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল
অনুষ্ঠিত হবে। এ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ
কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি
প্রতিনিধিদল উপস্থিত থাকবে।
এদিন বাদ জোহর দেশের সকল মসজিদে
মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় শোক
দিবস উপলক্ষে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে
সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে জাতীয়
প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে সর্বধর্ম
প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। বাদ
আসর বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের
উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে মিলাদ ও
দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে
রয়েছে ১৬ আগস্ট বিকেল ৪টায় বঙ্গবন্ধু
আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা
সভা। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত
থেকে ভাষণ দিবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী
লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ
উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগ, আওয়ামী যুবলীগ,
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক
লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা
যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের
সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন শোক দিবস
উপলক্ষে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এ ছাড়া ১৫ আগস্ট বাদ আসর দেশের সকল
ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলায় মিলাদ
মাহফিল এবং মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায়
বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, বঙ্গবন্ধুর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল
৮টায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর
পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্যদের
রুহের মাগফিরাত কামনায় পবিত্র
কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী
উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও
রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

0 comments:

Post a Comment