Sunday, November 6, 2016

সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন প্রথমবারের মতো টি২০ প্রিমিয়ার লীগ চালু করবে

॥ সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন ক্রীড়া রিপোর্ট ॥
ইতিহাস নতুন ভাষায় কথা বলে। পুরনো জীবনের পাতা কখনোই সঙ্গে নিয়ে থাকতে চায় না। আজকাল নতুন নতুন ভার্সনের জন্ম নিচ্ছে ক্রিকেটে। একটা ভিন্নমাত্রায় খেলা দেখার স্বাদই আলাদা। কেউ ভাবেনি যে, সিরাজগঞ্জ ক্রীড়াঙ্গনে ক্রিকেটের ঐ নতুন আমদানি ‘টি২০’ প্রতিযোগিতা হবে। যদিও ২০০৫ সালে কুড়ি ওভারের ক্রিকেট খেলার শর্ট ভার্সনে শুরু হয়। অনেক দেরিতে হলেও সিরাজগঞ্জ জেলা শহরে বা পিছিয়ে পড়া মফস্বল শহরে ক্রিকেট শর্ট ভার্সনের খেলা গড়াবেÑতা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই খেলাটি সিরাজগঞ্জের হাজারো তরুণ, কিশোর ক্রিকেটামোদীরা মুখিয়ে আছে। মার মার কাট কাট খেলার প্রতি ঝুঁকছে অনেক ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা।

হোক না শর্ট ভার্সনের ক্রিকেট..
শর্ট ভার্সনের খেলা মাঠে গড়ানো নিয়ে কিন্তু ব্যাপারটা আকস্মিকভাবে ঘটেনি। স্যাটেলাইট টিভিতে আইপিএল, আইসিএল, বিপিএল প্রভৃতি ক্রিকেট শর্ট ভার্সনের খেলা দেখে অনেকের মনে উদয় হয়। অনুভব হয়েছে। উপলব্ধি করতে পেরেছে। এ নিয়ে ভেবে চিন্তে ক্রিকেটপ্রেমীরা শুরু করে দেন এর ইঙ্গিত। এই যে শর্ট ভার্সনের ক্রিকেটে যে শক্তিশালী ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন, সেটা এখনো গড়ে উঠেনি। পেশাদার সৃষ্টি হয়নি। ভবিষ্যতে হয়তো হবে!জগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন নতুন প্রতিভাত বলেই হয়তো প্রথমবারের মতো সিরাজগঞ্জ শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে টি২০ ক্রিকেট লীগ প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। হোক না মন্দ কী! যদি হয়, সেটা হবে বিরল দৃষ্টান্ত! মনপ্রাণ ঠিক করে নিয়েছে যে, খেলার নাম সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ। যার সংক্ষিপ্ত কোড হচ্ছে এস.পি.এল.। জানি না, সিরাজগঞ্জের মানুষ কিভাবে একে গ্রহণ করবে?

নীরবে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন
গত শুক্রবার রাতে শহরের স্থানীয় আরমানী হোটেল এ্যান্ড রেস্তোরায় উৎসাহ উদ্দীপনায় একটা সংক্ষিপ্ত সম্মেলন হলো। যাকে বলে বৈঠকখানাও নয়, আবার মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানও নয়। একেবারে সাটামাটা পরিবেশে আয়োজক সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের তরুণ ক্রিকেট সংগঠকরা ডাকেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেট কর্মকর্তাদের। আর এতেই এক আহ্বানে আরমানী হোটেলে সবাই ছুটে আসেন। ক্রিকেটের টানেই উপস্থিতির বহর দেখে বোঝা যায় স্বপ্নে আগুন, প্রত্যাশায় বিভোর তারা। দীর্ঘদিনের আলাপ-আলোচনার মধ্যদিয়ে নীরবে তাদের পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আসছিল। বন্ধুদের মধ্যে নাকি আড্ডা মারতে মারতে কে যেনো বলছিল, এ্যাই..একটা শর্ট ভার্সনের খেলা চালু করা যায় না? ইয়ার্কিং পাইছিস নাকি? যত্তোসব ফাল্তু কথা! না..এটা বাস্তব। আড্ডার মধ্যেও ক্রিকেট আনা যায়। স্বপ্নেও কেনা নয়। সবই করতে হবে। করা উচিত। ফলে প্রয়োজন দেখা দেয় টি ২০ ক্রিকেটের মতো জনপ্রিয় খেলাকে সিরাজগঞ্জের মাটিতে আয়োজন করা।

খেলার নাম ‘সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ’ : সংক্ষেপে এসপিএল
৪ঠা নভেম্বরে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে স্থানীয় মফস্বর সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র আরমানী হোটেল এন্ড রেস্তোরায় উপস্থিত সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন তাদের পূর্বসিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘প্রিমিয়ার লীগের ৬ দলের লোগো উন্মোচিত করানো হয়। ক্রিকেটার্স এ্যাসেসিয়েশনের কর্মকর্তা মারুফ সিরাজীর সঞ্চালনায় লোগো উন্মোচন সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন লীগ কমিটির যুগ্মআহ্বায়ক সাবেক ক্রিকেট খেলোয়াড় জিয়াউর রহমান জিয়া। টি২০ ক্রিকেট খেলার বিভিন্ন আইন ও নিয়ম নিয়ে উপস্থাপন করেন এসপিএল’র আহ্বায়ক ক্রিকেটার শাকিল হায়দার।
এ সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলোর মধ্যে শর্ট ভার্সনের ক্রিকেট ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করেন এমদাদুল হক এমদাদ, কামরুল হাসান হিল্টন, সৈয়দ তানভীর সিরাজী, রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, জিহাদ আল ইসলাম, মাসুদ রানা, আমিনুল ইসলাম, মোঃ ওসি আহম্মেদ, সঞ্জয় সাহা।

সবাই ক্রিকেট খেলোয়াড়..ক্রিকেট সংগঠনে তারাও নতুন..
স্থানীয় ক্রিকেটামোদী অতিথি হিসেবে আলোচনায় দেন সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মির্জা মোস্তফা জামান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও ক্রিকেট খেলোয়াড় নাসিম রেজানুর দীপু, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও ক্রিকেট খেলোয়াড় দিলীপ গৌর, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ক্রিকেট খেলোয়াড় জাকিরুল ইসলাম লিমন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিককর্মী মামুনুর রশিদ মামুন।
লোগো উন্মোচন পর্বে আরো উপস্থিত ছিলেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ও ক্রিকেট খেলোয়াড় রিফাত রহমান, সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি ও ক্রিকেট খেলোয়াড় রিংকু কুন্ডু, চ্যানেল নাইনের সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, আয়োজক কমিটি’র মোমিন হাসান, রাজু আহম্মেদ, জুয়েল হোসেন, ক্রিকেট খেলোয়াড় মনিরুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা।

এসপিএলের ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইটি দল
সিরাজগঞ্জ জেলায় উপযোগী মানের নতুন ক্রিকেট খেলোয়াড় সৃষ্টি করাই এসপিএলের মুখ্য উদ্দেশ্য। এবং সিরাজগঞ্জের ক্রিকেটকে আবারো শক্তিশালী ও বেগবান করতে হলে বিপিএল এবং আইপিএলের ফর্মেটে ‘এসপিএল’ খেলা অনুষ্ঠানের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করাও জরুরী। প্রথমবারের মতো এসপিএলের প্রথম আসরে ৬ টি ফ্র্যাঞ্চাইটি দল এতে খেলবে। এবারের আসরে সাড়া জাগানো এই প্রথমবারের মতো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইটি দলের নাম দেয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জ নাইট রাইডার্স, সিরাজগঞ্জ লায়ন্স, সিরাজগঞ্জ গ্লাডিয়েটর্স, সিরাজগঞ্জ টাইগার্স, সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস্ এবং  সিরাজগঞ্জ স্টার্স।

ফ্র্যাঞ্চাইটি মালিকদের লটারির মাধ্যমে বন্টন করা হলো..
এক দলে বিবেচিত হবেন ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক হবেন ২ কর্মকর্তা। এই পর্যায়ে অনেক আলাপ আলোচনার পর একটা ঐক্যমত্যে পৌঁছান এবং ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক কে কে নির্বাচিত হবেন, এই নিয়ে চূড়ান্তভাবে লটারি করা হয়। লটারিতে দলের নাম উঠার পর ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক ২ জনকে দলের নাম বন্টন দেয়া হয়।
লটারি পর্বের অনুষ্ঠানে তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল মেসার্স আফরা সাদেকার প্রোপাইটর আমিনুল ইসলাম ও নাফি টেলিকমের প্রোপাইটর মোঃ ওসি আহমেদ ‘সিরাজগঞ্জ নাইট রাইডার্স’ ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ‘সিরাজগঞ্জ লায়ন্স’ ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক হয়েছেন ডক্টরস ক্লিনিকের পরিচারক সঞ্জয় সাহা ও এনামুল হক। ‘সিরাজগঞ্জ গ্লাডিয়েটর্স’ ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক হয়েছেন জেড এ্যান্ড গ্র“প অব কোম্পানিজের তারেক তালুকদার ও ফিরোজ ভুইয়া। ‘সিরাজগঞ্জ টাইগার্স ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক হয়েছেন মেসার্স জেড কন্সট্রাকশনের প্রোপাইটর জিহাদ আল ইসলাম ও মেসার্স জুয়েল কন্সট্রাকশনের প্রোপাইটর রাশেদ ইউসুফ জুয়েল। ‘সিরাজগঞ্জ সুপার কিংস্’ ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক হয়েছেন মুগ্ধ প্রেসের প্রোপাইটর এমদাদুল হক এমদাদ ও হিল্টন ট্রেস সিস্টেমের প্রোপাইটর কামরুল হাসান হিল্টন। এবং সবশেষে এবং ‘সিরাজগঞ্জ স্টার্স’ মুক্তা কন্সট্রাকশনের সৈয়দ তানভীর সিরাজী একাই একটি দলের ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিক হিসেবে লটারিতে নির্বাচিত হয়েছেন। 

স্থানীয় খেলোয়াড় সংগ্রহ ও বিদেশীরাও খেলবেন এসপিএলে..
আয়োজক সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ দৈনিক সিরাজগঞ্জ বার্তা’র প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, ‘বেশ কিছুদিনের মধ্যেই আমরা আবার স্থানীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়দের দলের নাম ও ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিকদের পছন্দের মাধ্যমে নিলামে দরপত্র কিংবা লটারির মাধ্যমে চূড়ান্ত নাম ঘোষণা দেয়া হবে। আবার আমরা প্রতিটি দলের দু’জন বিদেশী খেলোয়াড়দের রাখবো এবং সর্বোচ্চ ঐ দু’জন বিদেশী খেলতে পারবেন। এর বেশি নয়।’
সূত্র জানিয়েছে, সিরাজগঞ্জ প্রিমিয়ার লীগ ২০১৬ এর প্রথমদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেশ আকর্ষণীয় রূপ দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের তরফে পরিচালনা কমিটিরা। এতে উদ্বোধন করবেন সিরাজগঞ্জ ২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি। এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক শাকিল হায়দার বলেছেন, আমরা এই প্রথমবারের মতো এসপিএল খেলা মাঠে গড়াতে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করছি এবং খেলা যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে করতে পারি তার জন্য সকলের দোয়া চাই। 

ব্যাপক উৎসাহ সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনদের..
আরমানী হোটেলে যে যাবতীয় আলাপ আলোচনায় বসার পর যে টি২০ খেলাকে জনপ্রিয় গড়ে তুলতে এসপিএলের কোনো বিকল্প নেই। সিরাজগঞ্জের মাটিতে এই প্রথম হলেও এর আগে ব্যক্তি পর্যায়ে ২০০৯ সালে শহীদ শামসুদ্দিন স্টেডিয়ামে আইলা ক্রিকেট টি২০ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে খেলেন দিলীপ গৌর, রিংকু কুন্ডুসহ আরো অনেকে। এখন সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন এই টি২০ খেলাকে সরাসরি রূপ দেয়ার ক্ষেত্রে যে প্রচেষ্টা নিয়েছে তাতে করে ভুয়শী প্রশংসা না করেই কোনো উপায় নেই। এই খেলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে তুলে ধরতে সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশনরা এগিয়ে যাচ্ছে তা সত্যি মহৎ উদ্যোগ। এতে তরুণ ও কিশোর ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা আগ্রহ সহকারে খেলার মাঠে খেলতে যাবেন তাদের কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই। এবারে সাদা পোশাকে আর লাল বল খেলা হচ্ছে না..পুরোটাই রঙিন জামা ও সাদা বল নিয়ে একদম নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাওয়া যাবে...।

এসপিএল প্রিমিয়ার লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
এসপিএল প্রিমিয়ার লীগ পূর্ণাঙ্গ উপকমিটি গঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিচালনা কমিটি, টেকনিক্যাল কমিটি, অর্থ কমিটি এবং প্রচার ও প্রকাশনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কমিটিকে সম্পূর্ণ করার পর খেলোয়াড় লটারি নির্বাচনের জন্য দৌড় ঝাপ শুরু করে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিকরা। ৬টি ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিকরা যেকোনো মূল্যে সিরাজগঞ্জের ছোটÑবড় প্রতিভাবান বা চৌকস অলরাউন্ড ক্রিকেট খেলোয়াড়দের খোঁজাখুজি করতে কোমর বেঁধে আটঘাট নেমে পড়েছেন। তাদের একটাই উদ্দেশ্যদলকে কাক্সিক্ষত এসপিএলের শিরোপা ফাইট দেয়া। এই লক্ষ্যে ফ্র্যাঞ্চাইটির মালিকরা হন্য হয়ে স্থানীয় ও বিদেশী খেলোয়াড়ের সংগ্রহ করতে নানা জায়গায়ে ছুটাছুটি করছেন। এমনকি মোবাইল টু মোবাইল প্রক্রিয়াও নিয়ে কথাবার্তা বলছেন তারা।
এ খবরে সারা সিরাজগঞ্জ শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। গুঞ্জন গুজব চলছে। আরো দিন আসছে..ততোই যেনো উত্তেজনার উত্তাপ বাড়ছে। কারণ, ইতিপূর্বে সীমিত একদিনের খেলার অভিজ্ঞতা হলেও এবারের সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে শর্ট ভার্সনে খেলতে চাইবে অতীত ও বর্তমানের স্থানীয় ক্রিকেট তারকারা।

এসপিএল খেলার সুফল..
বাংলাদেশের বিপিএলের খেলার ন্যায় এই সিরাজগঞ্জের গায়ে এর ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সবাই চাচ্ছেন এসপিএল প্রতিযোগিতায় খেলে নিজেকে সৌভাগ্য মনে রাখতে চাইবেন যে কেউ। কারণ, একটাই সরকারি ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান জেলা ক্রীড়া সংস্থা সীমিত একদিনের ক্রিকেট লীগ দিয়ে তাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর বাইরে এই প্রতিষ্ঠানটির নেই। তবে বেসরকারিভাবে তাদের সব ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সাথে নিয়ে একটা ‘সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করেছে। এর প্রধান উদ্দেশ্য ও নীতি হলোÑসিরাজগঞ্জ জেলায় নতুন খেলোয়াড় তৈরি করা এবং এই এসপিএলকে জনপ্রিয় পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। এই পরিকল্পনা সফল হলে আগামীতে আরো বড় ধরনের ক্রিকেট অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে অনুমান করা হয়। কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই ক্রিকেট সংগঠন কাজে ‘সিরাজগঞ্জ ক্রিকেটার্স এ্যাসোসিয়েশন’ এখন তারা হাত দিচ্ছে তাদেরই আবিস্কৃত নতুন সংগঠন ‘এসপিএল প্রিমিয়ার লীগ’। তাদের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে যুগান্তরই বলতে হবে। এরাই ইতিহাস সৃষ্টি করছেন। আগামীতে তারা হয়ে যাবেÑইতিহাসের পাতায় অতীতের প্রথম ক্রিকেট সংগঠক এবং সিরাজগঞ্জ জেলার ক্রিকেটের রূপান্তর মানুষ। আজ ৩০ বছর পরে পরবর্তী প্রজন্মরা বলতে পারবে


কে প্রথম এসপিএল গঠন করেছিল? কবে হয়েছিল? কারা করেছিল? কে কে ছিল? দুই প্রজন্ম পরে এরাই বলতে পারবে..তবে এরা একদিন বৃদ্ধ হয়ে যাবেন। তার নাতিরা দাদুকে বলবে-‘ও দাদু তোমার কালে এসপিএল খেলা হয়েছিল নাকি হে?’ 

0 comments:

Post a Comment