Saturday, July 4, 2015

মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বিশ্বে স্থান পাবে বাংলাদেশ

বিশ্বের দরবারের স্থান পাবে। প্রধান মন্ত্রী
১৯৯৬ সাল থেকে এ ধারা অব্যাহত রেখেছেন,
বর্তমানেও এ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন, যা বিশ্বব্যাংক তথা সারা বিশ্বই এখন অকপটেই স্বীকার করছে।
এ দেশের জনগনের মধ্যে ব্যাপক কর্মস্পৃহা
আছে, যা আগামী দিনে আমাদের কাজে লাগাতে
হবে। বর্তমান সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রমে
দেশে এরই মধ্যে দ্রারিদ্রতা অনেকটাই হ্রাস
পেয়েছে। দেশব্যাপী এরই মধ্যেই আইন
শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট উন্নতী হয়েছে।
সরকারের পাশাপাশি এনজিও সংস্থাও দেশের দারিদ্র বিমোচনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে। এ ধারা আগামীতে অবস্যই অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসন
সম্মেলন কক্ষে আইন শৃঙ্খলা সভায় সরকারের
উন্নয়নের কর্মকান্ডের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে
এসব মন্তব্য করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ বিল্লাল
হোসেনের সভাপতিত্বে সাবেক মৎস্য মন্ত্রী
জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, সংরক্ষিত নারী সাংসদ সেলিনা বেগম স্বপ্না, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, পল্লী বিদ্যুত সমিতির সিনিয়র মহা- ব্যবস্থাপক তুষার ক্রান্তি দেবনাথ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ কামরুল হাসান, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান
বিএসসি, সাধারন সম্পাদক কে.এম.হোসেন আলী হাসান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, চেম্বার নেতা সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, সাংবাদিক বাবু ইসলাম, ফজল-এ-খোদা লিটন, আমিনুল ইসলাম খান রানা, ইসরাইল হোসেন বাবু প্রমুখ বক্তব্য
রাখেন। মন্ত্রী মাদক দ্রব্য প্রসঙ্গে বলেন, প্রধান
মন্ত্রী নিজেও মাদক দ্রব্যের বিষয়ে সব সময়ই
‘জিরো টলারেন্স’ নৈতিকতা প্রদর্শন করেন। তাই
আমাদেরও উচিত তার পথ অনুসরন করে জেলার
প্রতিটি ইউনিয়নেও নিয়মিত ঝটিকা অভিযান পরিচালনা ও গন-সচেতনতার মাধ্যমে যুব সমাজকে নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা। মানব পাচার রোধে
অনুরূপ গন-সচেতনতা সৃষ্টিতে জেলা প্রশাসন ও
পুলিশ বাহিনীকে তাগিদ দেন মন্ত্রী।
এদিকে, সভায় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের
রোগীদের সরবরাহকৃত খাদ্যের মান উন্নয়ন,
পাউবো দপ্তরে সমম্প্রতি ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী
কার্যক্রম, সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে
পল্লী বিদ্যুত ও পিডিবি’র বাঁশের খুটিতে
বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারন, প্রকৃত মানব
পাচারকারীদের না ধরে সন্দেহভাজনদের কাছে
চাঁদাবাজি, নৌ-ডাকাতি, ঈদের আগে নির্বিঘেœ
মহাসড়কের চলাচলে যাত্রীরা যাতে হয়রানী না হয়, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কের নলকা থেকে
সিরাজগঞ্জ জেলা শহর হয়ে সয়দাবাদ পর্যন্ত
ফোর-লেন আঞ্চলিক সড়ক নির্মান, শহর রক্ষা
বাঁধ হার্ড-পয়েন্ট এবং কাজিপুর, চৌহালী ও সদর
উপেজেলার নদী তীর রক্ষা বাঁধসমূহ,
জেলার বিভিন্ন কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম ও ভবনের সমস্যাসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়নের বিষয়েও বিশদ আলোচনা করা হয়।

0 comments:

Post a Comment