Monday, July 13, 2015

কার সাধ্য চোখের পানি ধরে রাখার।

কার সাধ্য চোখের পানি ধরে রাখার।
কার সাহস আছে পুরো ১২ মিনিটের ভিডিও দেখার।
গত বুধবার সিলেট শহরতলীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড
এলাকায় নির্মম এ ঘটনা ঘটে। আর গতকাল শনিবার রাত
থেকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছড়িয়ে পড়লে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সিলেট
শহরতলীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিশু রাজনের
ওপর নির্যাতন চালান কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও
ময়না। তাঁদের নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করেন মুহিত।
তিনিই প্রথম ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছেড়ে দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিশুটিকে (১৩)
খুঁটির সাথে বেঁধে ক্রমাগত পেটান তিন যুবক। হাত-
পাসহ শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গে বারবার লাঠি
দিয়ে আঘাত করেন। আর এই দৃশ্য মুঠোফোনে
ভিডিও করেন তাঁদেরই একজন। শিশুটির শেষ আকুতি
ছিল, ‘আমারে পানি খাওয়াও!’। এই আর্তনাদেও মন
গলেনি। শিশুটিকে তাঁরা বলেন, ‘পানির বদলা ঘাম খা!’ |
নিহত শিশুর নাম শেখ সামিউল আলম রাজন। তার বাড়ি
সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের
বাদেআলী গ্রামে। রাজনের বাবা শেখ আজিজুর
রহমান পেশায় মাইক্রোবাসচালক। তাঁর দুই ছেলের
মধ্যে রাজন বড়। অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা
রাজন সবজি বিক্রি করত। সবজি বিক্রির টাকা দিয়েই
চলতো রাজনের পরিবারের খরচ। রাজনের লাশ
গুমের সময় হাতেনাতে মুহিত আলম (২২) নামের
একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন
স্থানীয় লোকজন। মুহিতসহ চারজনকে আসামি
করে জালালাবাদ থানায় হত্যা মামলা করেছেন রাজনের
বাবা। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মুহিতের বড় ভাই সৌদি
আরব প্রবাসী কামরুল ইসলাম (২৪), তাঁদের
সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও
চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না (৪৫)।
পরে রাজনের লাশ গুম করার চেষ্টাকালে মুহিতকে
আটক করেন স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে
পুলিশ এসে রাজনের লাশ উদ্ধার করে এবং মুহিতকে
আটক করে।রাজনের মা লুবনা আক্তার জানান, বুধবার
রাতে ছেলে বাড়ি না ফেরায় তাঁরা জালালাবাদ থানায় জিডি
করতে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন একটি
কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একপর্যায়ে
তাঁরা তাঁদের সন্তানের মৃতদেহ শনাক্ত করেন।
Stop Child Abuse.: http://youtu.be/HP1BjKwHhpc

0 comments:

Post a Comment