Tuesday, July 7, 2015

সিরাজগঞ্জে অধিকাংশ রাস্তা বেহাল

সিরাজগঞ্জ একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। তারপরও নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত রয়েছেন পৌরবাসী। তারা নানা কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ ও ভোগান্তির শিকার। এ পৌরসভায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের বাস। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে নেই বৈদ্যুতিক বাতি, নেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার। একই সঙ্গে পৌর এলাকার অধিকাংশ সড়কের কার্পেটিং ওঠে গেছে।
এতে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়ে ঘটছে
দুর্ঘটনা। শহরের একাধিক মোড়ে সিএনজি
অটোরিকশা, রিকশা ও টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন ইচ্ছামাফিক স্ট্যান্ড বসিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায়।
ফলে একাধিক স্থানে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া বাহির গোলা, কালীবাড়ি, বড়বাজার (মেছুয়াবাজার), বাজার স্টেশনসহ একাধিক জায়গায় পৌরসভা বাজার বসালেও তদারকির অভাবে ইচ্ছামাফিক টোল আদায় হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ শহরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত
কাটাখালীকে সংস্কার এবং চিত্তবিনোদনের স্থানে
পরিণত করার জন্য সরকারিভাবে প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
পৌর এলাকায় ১৩০ কিলোমিটার রাস্তা ও ৩৩টি
ছোট-বড় ব্রিজ-কালভার্ট রয়েছে। এর মধ্যে
১০৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকা ও ২৫ কিলোমিটার কাঁচা। কাটাখালি মুক্তিযোদ্ধা গলির একটি ব্রিজসহ অধিকাংশ রাস্তাঘাট বেহাল দশায় উপনীত হয়েছে।
পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোকাদ্দেস আলীর বিরুদ্ধে একাধিক রাজনৈতিক মামলা থাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন। এতে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সুবিধা। ১৫টি ওয়ার্ডে ১৫ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী কাউন্সিলর নিয়ে পৌর পরিষদ গঠিত। পরিষদটি বর্তমানে প্যানেল মেয়রদের দায়িত্বে চলছে। কাউন্সিলরদের কর্মহীনতার কারণে পৌর কার্যালয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পৌর প্রকৌশলী
বলেন, মেয়রের অনুপস্থিতিতে অর্থ বরাদ্দ না
থাকায় অনেক উন্নয়ন কাজ আটকে গেছে।

0 comments:

Post a Comment