সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Sunday, February 28, 2016

সিরাজগঞ্জে ফেন্সিডিল-ইয়াবাসহ আটক ৬

সিরাজগঞ্জে র্যাব-পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ফেন্সিডিল-ইয়াবাসহ ৬জনকে আটক করেছে। শনিবার বিকেলে ও শুক্রবার রাতে র্যাব-পুলিশ পৃথক এ অভিযান পরিচালনা করেন। আটককৃতরা হলো- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী মহল্লার ভুট্টোর স্ত্রী লিপি (৪৫), গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মুন্নি (৩৫), আবু তালেবের স্ত্রী রিতা (৪২), সুজনের স্ত্রী মলি (২৫), আব্দুল মোন্নাফের ছেলে হাসান (২০) ও টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার হাজিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত মুছা সেখের ছেলে ট্রাক চালক আলী আকবর (৪২) ।
র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের ডিএডি মোঃ আঃ ওয়ারেছ সরকার জানান, শনিবার বিকেলে শহরের ভাঙ্গাবাড়ী বৌ-বাজার মহল্লায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় আটক ৫জনের বাড়ীতে তল্লাশী চালিয়ে ৩৪ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ৯ পুড়িয়া হেরোইন, তিনটি মোবাইলসেট ও নগদ-২লাখ ৫৮ হাজার ৯৪৫ টাকাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে বলেও র্যাব জানিয়েছেন।
অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাক থামিয়ে তল্লাশী করা হয়। এসময় ট্রাক থেকে ৫শ ৯০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয় এবং চালক আলী আকবরকে আটক করা হয়। উভয় ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Thursday, February 25, 2016

সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের অভিনন্দন।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সিরাজগঞ্জের তিন কৃতি সন্তান ইমতিয়াজ বুলবুল বাপ্পী, কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি, হুমায়ন ইসলাম সুমন,স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, রেজাউল করিম সুমন, নাট্য ও বির্তক বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।
২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন স্বাক্ষরিত অভিনন্দন বার্তায় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতারা। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ কমিটির সকল নেতাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ নেতারা। বিবৃতিদাতারা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন সহ জেলা ছাত্রলীগ অন্যান্য নেতারা।

Wednesday, February 24, 2016

যমুনায় গরু বোঝাই নৌকা ডুবে ২১ গরু নিখোঁজ

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের যমুনা নদীতে ২৭ টি গরু নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৬টি গরু সাতরিয়ে তীরে উঠলেও বাকি ২১টি গরু ও নৌকা নিখোজ রয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় চলছে উদ্ধার অভিযান।
এনায়েতপুর নৌকা ঘাটের ইজারাদার মোক্তার হোসেন জানান, বুধবার সন্ধ্য ৬টার দিকে ২৭টি গরু বোঝাই একটি ইঞ্চিন চালিত নৌকা এনায়েতপুর ঘাট থেকে টাঙ্গাইলের চারাবাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা হয়। কিছু দুর যাবার পরই হাঠাৎ করে নৌকাটি যমুনা নদীতে তলিয়ে যায়। এসময় ৬টি গরু সাতরিয়ে তীরে উঠলেও বাকি ২১ টি গরু সহ নৌকাটি নিখোজ হয়। ২১ টি গরুর মুল্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। যমুনায় ¯স্রোত না থাকলেও অসাবধানতা বসত এ দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা প্রত্যক্ষদর্শীদের।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এনায়েতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকরাম হোসেন বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা ৬ টি নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।

তাড়াশে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার ৩

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার গুলটা এলাকা থেকে বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলো-গুলটা দোগারিয়া গ্রামের মৃত আলী হাসানের ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৬), একই গ্রামের আফছার আলীর ছেলে মাহমুদ আলী ওরফে মিঠু ও মৃত মেছের আলীর ছেলে গোলাম রব্বানী (৫৮)। মঙ্গলবার বিকেলে র্যাব-১২ সদস্যরা উপজেলার গুলটা দোগারিয়া পাড়ায় এ অভিযান পরিচালনা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোঃ নিয়াজ মোহাম্মদ ফয়সাল বুধবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, আটককৃতরা এলাকার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। দীর্ঘদিন ধরে সিরাজগঞ্জসহ পাশ্ববর্তী জেলায় অস্ত্র বিকিকিনি করে আসছিল। মঙ্গলবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গুলটা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি, দুটি মোবাইল সেট ও নগদ সাড়ে চার হাজার টাকাসহ এদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক আব্দুল মান্নানের ভাই মোস্তাক আহমেদ জানান, ভাই আব্দুল মান্নান ও ভগ্নিপতি মাহমুদ আলী পাঁচওয়াক্ত নামাজ পড়ে। এরা অস্ত্র ব্যবসার সাথে জড়িত নয়। বিকেলে র্যাব ভাত খাওয়া অবস্থায় ভাই মান্নানকে আটক করা হয়। পরে শুনেছি তার কাছে অস্ত্র পাওয়া গেছে। এর আগে অজ্ঞাত স্থান থেকে ভগ্নিপতি মাহমুদ আলীকে আটক করা হয়েছে।
মোস্তাক আরো জানান, আমার আরেক ভাই মোত্তালেব হোসেন আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যাপন প্রার্থী। এ কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন ষড়যন্ত্র করে তাদেরকে ফাঁসিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। এছাড়াও রাতে র্যাবের সদস্যরা বাড়ীঘর তল্লাশী চালিয়েছিল কিন্তু কিছুই পায়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Saturday, February 20, 2016

যমুনার চরে মহিষের সঙ্গে ঘর-সংসার

সিরাজগঞ্জ: যমুনার দুর্গম চরে আড়াই শতাধিক মহিষের একটি বাথান। আর পাশেই নদীঘেঁষা বালু চরে চাষি ও রাখালেরা কয়েকটি ঝুপড়ি ঘর তুলে পেতেছেন সংসার।
সংখ্যায় তারা প্রায় অর্ধশত। মহিষগুলো লালন-পালন করাই তাদের কাজ।  মহিষের সঙ্গেই যেন তাদের ঘর-সংসার। মহিষ পালনকে ঘিরেই চলছে তাদের জীবন-জীবিকা।
সম্প্রতি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গম শিমলা চরে গিয়ে দেখা যায় মহিষ ও রাখালদের মহাকর্মযজ্ঞ। যা শুরু হয় ভোর থেকে। মহিষের দুধ দোয়ানো, নৌকায় করে গ্রাহকদের কাছে দুধ পাঠানো, আর দুপুর পর্যন্ত মহিষগুলোকে মাঠে চড়ানো। এরপর মধ্যাহ্ন ভোজ। বিকেলে আবার মহিষ চড়ানো। রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে এসব। এ যেন প্রাকৃতিক শিল্প প্রতিষ্ঠান।
কারখানায় যেমন শ্রমিক-কর্মচারীর শ্রমের বিনিময়ে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, ঠিক তেমনই চাষি, রাখালের শ্রমে মহিষ থেকে উৎপাদিত হচ্ছে দুধ।
জীবন-জীবিকা, সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ও চরাঞ্চলে থাকার নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা হয় রাখাল ও মহিষের মালিকদের সঙ্গে।
মোষের পেট থ্যাইক্যা দুধ বাইর অয়, সেই দুধ বেচি হামাগো বউ-ছাওয়ালর রিজিক যোগান অয়, সেজন্যি ওগোরেও নিজের ছাওয়ালের মতোই হামরা লালন হরি।-একরাশ হাসি ছড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন, এ বাথানের ১৮টি মহিষের মালিক বগুড়া জেলার গাবতলী থানার দুর্গাহাটার গোবিন্দ ঘোষ।
একই জেলার ধুনট থানার হাসুখালির কানু ঘোষ ২২টি মহিষ ও পাঁচটি গরু চড়ান এ বাথানে। তার অধিনে দু’জন রাখালও রয়েছে।
তিনি বলেন, বছরের আট মাস ম্যোষের সাতে (সাথে) যমুনার চরে কাটাই। এ্যাটিই (এখানেই) খাই, এ্যাটিই ঘুমাই, হগ্গলের সাতে গল্পগুজব হরে আনন্দেই সময় কাটে।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার গটিয়ার চরের বাসিন্দা এ বাথানের প্রবীণ রাখাল আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাসে আট হাজার ট্যাহা বেতন পাই, খাওয়া-থাকার ব্যবস্থাও মোষের মহাজনরা দ্যায়। দুই/একমাস পর বাড়ি যাইয়া খরচ দিয়া আসি।
বাথানের অর্ধশত মহিষের মহাজন বিষু ঘোষ জানান, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও জামালপুরের ১০/১৫ জন চাষির মহিষ এক সঙ্গে করে এ বাথান করা হয়েছে। শুকনো মৌসুমের আট/নয় মাস যমুনার চরে মহিষ পালন করা হয়। বাকি তিন থেকে চার মাস চাষিদের বাড়িতেই মহিষ লালন-পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে গাইবান্ধা ফুলছড়ি ঘাট পর্যন্ত এ ধরনের ২০/২৫টি মহিষ কিংবা গরুর বাথান রয়েছে।
চর খারুয়ার বাবু প্রামাণিক বলেন, এ বাথানে আমার ১৮টি মহিষ রয়েছে। এছাড়া গরুও আছে পাঁচটি। আমরা মহিষ চাষিরা একত্রিত হয়ে চরাঞ্চলের জমির পরিত্যক্ত ফসল প্রতি বিঘা দুই থেকে তিন হাজার টাকায় কিনে গরু ও মহিষগুলোকে খেতে দেই।
আরো কথা হয়, বগুড়ার গাবতলী থানার দুর্গাহাটা গ্রামের সুধীর ঘোষ, অধির ঘোষ, গোবিন্দ ঘোষ, লিটন ঘোষ, শ্রীদাম ঘোষ, বিপ্লব ঘোষ, রাম ঘোষ, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিয়াঝারী গ্রামের তোষা ঘোষ, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার গটিয়ার চরের আব্দুর রাজ্জাক ও চর খারুয়ার বাবু প্রামাণিকের সঙ্গে।
তারা জানান, প্রতিটি মহিষ দুই বেলায় ছয় থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত দুধ দেয়। প্রতি কেজি দুধ ফ্যাট অনুযায়ী ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এখানে কর্মরত রাখালদের আট/১০ হাজার টাকা মাসিক বেতন দিতে হয়। এছাড়া গরু-মহিষের খাদ্যের জন্য পরিত্যক্ত ফসল কেনা ও রাখালদের খাবার বাবদ মাসে খরচ হয় আরো আট/১০ হাজার টাকা। প্রতিটি গরু/মহিষ থেকে মাসে দুইশ’ কেজি দুধ পাওয়া যায়। যার দাম প্রায় ১১ হাজার টাকা। সে হিসেবে আট/১০টি মহিষ থেকে খরচ বাদে মাসিক আয় থাকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। বছরে প্রতিটি মহিষ একটি করে বাচ্চা দেয়। যা বাড়তি আয় হিসেবে ধরা হয়। মহিষ পালন করেই আমরা স্বাবলম্বী হয়েছি। এ বিষয়ে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারবো।

Thursday, February 18, 2016

সিরাজগঞ্জে এসিড সহিংসতা প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ে গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কর্মশালা

সিরাজগঞ্জে জেলায় এসিড সহিংসতা হ্রাস করার লক্ষ্যে ১৮ ফেব্রয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে মুজিব সড়কস্থ নিমন্ত্রন রেস্তোরা কক্ষে  এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ), মনব মুক্তি সংস্থা (এমএমএস ) এর বাস্তবায়নে এবং ক্যানাডিয়ান হাই কমিশন বাংলাদেশ’র সহযোগিতায় এসিড সহিংসতা প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ে গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কর্ম শালার আয়োজন করা হয়।
সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে খোদা লিটন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত পৌর কাউন্সিলর, স্থানীয় দৈনিক যুগের কথা পত্রিকার সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি হেলাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ টেলিভিশন ফোরামের সভাপতি ফেরদৌস রবিন, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দল কুদ্দুস. হেলাল আহম্মেদ  প্রমুখ।
এছাড়াও এএসএফ’র কো-অর্ডিনেটর সিদ্দিকুর রুবেল, মিডিয়া, কমিনিউকেশন কো-অর্ডিনেটর একে আজাদ, এএসএসএফ এর ফাইনান্স ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম শোহেল সিরাজগঞ্জ টেলিভিশন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস হাসান, সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হারুনর রশিদ খান হাসান, স্থানীয় দৈনিক আজকের সিরাজগঞ্জ পত্রিকার সম্পাদক মোঃ জেহাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ নওশাদ, সিরাজগঞ্জ প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল হোসেন বাবু সাংগঠনিক সম্পাদক আমিুনুল ইসলামসহ জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রায় সকল সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রথমেই এসিড সহিংসতা প্রতিরোধে এসিডি সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ), মনব মুক্তি সংস্থা (এমএমএস ) এবং ক্যানাডিয়ান হাই কমিশন বাংলাদেশ’র কর্মকান্ড সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয়। পরে তারি আলোকে অংশগ্রহনকারী সাংবাদিকগন তাদের স্ব-স্ব অবস্থান থেকে মতামত প্রকাশ করেন।
শাহজাদপুর বড় দাশুরিয়া গ্রামের আয়েশা সিদ্দিকা নিলা (এসিড সহিংসতার শিকার) তার জীবনে ঘটে যাওয় ভয়াবহ সহিংসতা ঘটনার আংশিক বর্ন না করেন। তিনি তার সংক্ষিপ্ত বর্ননায় বলেন যে তার মামলাটি একবছরের মধ্যে নিশ্পত্তি হয় এবং বিজ্ঞ আদালত এসিড নিক্ষেপকারী নরপশু আকবর আলীকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করেন। তিনি এখন পড়াশোনার পাশাপশি এসিড সারভাইভারস ও বাল্লবিবাহ রোধে কাজ করছেন বলে জানান ।

Tuesday, February 16, 2016

সিরাজগঞ্জে ঘুষ না দেয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ।। সিরাজগঞ্জে ঘুষ না দেয়ায় সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে কর্মচারীবৃন্দ। এ বিষয়ে সুচিারের দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ সেলিম রেজা। অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারী জানুয়ারী ২০১৬ ইং মাসের বেতন প্রদান করা হয়নি। বেতন চাইলে প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবু সাইদ সিদ্দিক ও ক্যাশিয়ার সরকার আরিফুর রহমান ট্রেজারী টাকা দিতে হবে বলে প্রতি জনের নিটক ৫০০/ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। এ উৎকোচের টাকা না দেয়ায় অত্যাবধি পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়নি। অভিযোগে আরো জানা যায়- শুধু জানুয়ারী মাসের বেতন নয় ইতিপুর্বেও সঠিক সময়ে বেতন দেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত  বেতনের টাকা  প্রদানে ৫ শত টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে নইলে বেতন পেতে অনেক নাজেহাল হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির বিল থেকে ১২ শত থেকে ১৫ শত টাকা কেটে নেবার অভিযোগ রয়েছে। আবু সাইদ সিদ্দিক ও সরকার আরিফুর রহমানের দুর্নীতির কারনে সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ১৪০ জন  কর্মচারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এ ব্যপারে প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবু সাইদ সিদ্দিক এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অপারকতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সম্ভব হয়নি। আবু সাইদ সিদ্দিক ও সরকার আরিফুর রহমানের দুর্নীতির বিষয়টি সরজমিনে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি জানিয়েছেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীবৃন্দ।

সিরাজগঞ্জে ঘুষ না দেয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ।। সিরাজগঞ্জে ঘুষ না দেয়ায় সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে কর্মচারীবৃন্দ। এ বিষয়ে সুচিারের দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ সেলিম রেজা। অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারী জানুয়ারী ২০১৬ ইং মাসের বেতন প্রদান করা হয়নি। বেতন চাইলে প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবু সাইদ সিদ্দিক ও ক্যাশিয়ার সরকার আরিফুর রহমান ট্রেজারী টাকা দিতে হবে বলে প্রতি জনের নিটক ৫০০/ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। এ উৎকোচের টাকা না দেয়ায় অত্যাবধি পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়নি। অভিযোগে আরো জানা যায়- শুধু জানুয়ারী মাসের বেতন নয় ইতিপুর্বেও সঠিক সময়ে বেতন দেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত  বেতনের টাকা  প্রদানে ৫ শত টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে নইলে বেতন পেতে অনেক নাজেহাল হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির বিল থেকে ১২ শত থেকে ১৫ শত টাকা কেটে নেবার অভিযোগ রয়েছে। আবু সাইদ সিদ্দিক ও সরকার আরিফুর রহমানের দুর্নীতির কারনে সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ১৪০ জন  কর্মচারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এ ব্যপারে প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবু সাইদ সিদ্দিক এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অপারকতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সম্ভব হয়নি। আবু সাইদ সিদ্দিক ও সরকার আরিফুর রহমানের দুর্নীতির বিষয়টি সরজমিনে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি জানিয়েছেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীবৃন্দ।

সিরাজগঞ্জে ঘুষ না দেয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ।। সিরাজগঞ্জে ঘুষ না দেয়ায় সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীর বেতন বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে কর্মচারীবৃন্দ। এ বিষয়ে সুচিারের দাবী জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী মোঃ সেলিম রেজা। অভিযোগে জানা যায়, সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারী জানুয়ারী ২০১৬ ইং মাসের বেতন প্রদান করা হয়নি। বেতন চাইলে প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবু সাইদ সিদ্দিক ও ক্যাশিয়ার সরকার আরিফুর রহমান ট্রেজারী টাকা দিতে হবে বলে প্রতি জনের নিটক ৫০০/ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। এ উৎকোচের টাকা না দেয়ায় অত্যাবধি পর্যন্ত বেতন প্রদান করা হয়নি। অভিযোগে আরো জানা যায়- শুধু জানুয়ারী মাসের বেতন নয় ইতিপুর্বেও সঠিক সময়ে বেতন দেয়া হয়নি। প্রতিনিয়ত  বেতনের টাকা  প্রদানে ৫ শত টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে নইলে বেতন পেতে অনেক নাজেহাল হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। কর্মচারীদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটির বিল থেকে ১২ শত থেকে ১৫ শত টাকা কেটে নেবার অভিযোগ রয়েছে। আবু সাইদ সিদ্দিক ও সরকার আরিফুর রহমানের দুর্নীতির কারনে সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর ১৪০ জন  কর্মচারীরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এ ব্যপারে প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক আবু সাইদ সিদ্দিক এর সাথে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অপারকতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে সম্ভব হয়নি। আবু সাইদ সিদ্দিক ও সরকার আরিফুর রহমানের দুর্নীতির বিষয়টি সরজমিনে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি জানিয়েছেন সদর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৪০ জন কর্মচারীবৃন্দ।

Saturday, February 13, 2016

৩ বছরে দেড় হাজার কোটি টাকার ৮০ মণ স্বর্ণ আটক

গত ৩ বছরে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের নানা অভিযানে অবৈধ পথে চালানকৃত ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৮০ মণ স্বর্ণ আটক করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এ সময়ের মধ্যে আটক করা হয়েছে ১৩০ জনকে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে ‘চোরাচালন ও শুল্ক ফাঁকি রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে অধিদপ্তরটির মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানান। এসময় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মইনুল খান বলেন, এই সময়ে গোয়েন্দা তৎপরতায় আরও প্রায় ৫০০ মণ সোনা চোরাচালান প্রতিরোধ করা হয়েছে। আটককৃত সোনা আইনানুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে।
এসময় তিনি অবৈধ পথে আসা আটকৃত কোকেন, টাকা, ভূয়া কস্টমেটিকস পণ্য ও তার কনটেইনার, হিরোইন ও ইয়াবা পরিমান এবং এগুলো দ্বারা কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় হয়েছে তার পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
সেমিনারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ বলেন, বাংলাদেশ গোল্ডেন ক্রিসেন্ট ও গোল্ডেন ট্রাঙ্গগলের মধ্যবর্তী হওয়া বাংলাদেশ চোরাচালান রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। তাই ঝুকি অনেক আছে। আমাদের গোয়েন্দার যা আটক করছে তা মূল চোরাচালানের মাত্র ১৫-২০ শতাংশ। আর বাকি ৮০ শতাংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই চোরাচালান রোধে সকল কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা তাগিদ দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি এখনো চলমান রয়েছে। সেমিনারে আরো উপস্থিত আছেন ঢাবির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন এবং এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা প্রমুখ।

Thursday, February 11, 2016

ইউপি প্রার্থী মনোনয়নে তিন শর্ত প্রধানমন্ত্রীর

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তিন ধরনের ব্যক্তির মনোনয়ন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে দলের যেসব জেলা, উপজেলা ও থানা শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। একই সঙ্গে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায়ও তারা অংশ নিতে পারবেন না। কোনো রাজাকার ও তার সন্তান নৌকা প্রতীক পাবে না। আর পূর্বে দল থেকে বহিষ্কৃত কাউকে দলে এনে মনোনয়ন দেয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই তিন শর্ত মেনে ইউপি নির্বাচনে একক প্রার্থী বাছাই করার নির্দেশনা দিয়েছেন। হাইকমান্ডের এ নির্দেশনা ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা তৃণমূলে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে প্রার্থী বাছাইয়ে এমপিদের হস্তক্ষেপ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। তৃণমূলের অনেক নেতা অভিযোগ করেছেন, এমপিরা একক প্রার্থী হিসেবে কার নাম প্রস্তাব করতে হবে তা চাপিয়ে দিচ্ছেন। তাদের কথা না শুনলে পরবর্তীতে বিপদে পড়ার আশংকাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।
জানা গেছে, ইউপি প্রার্থী বাছাইয়ে যারা প্রভাব খাটানোর ন্যূনতম চেষ্টা করবেন তাদের পৌরসভা নির্বাচনের মতো কালোতালিকাভুক্ত করে সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পৌরসভা নির্বাচনে ২৫ এমপির বিরুদ্ধে প্রার্থী বাছাইয়ে যোগ্যদের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ওঠে। দলের সাত বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা গত দুই সপ্তাহ ধরে বিষয়টির তদন্ত করছেন। এমপিদের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে এবার তৃণমূলের বাছাই কমিটিতে তাদের রাখা হয়নি। দলের জেলা-উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা ইউপি নির্বাচনে একক প্রার্থী বাছাই করছেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যোগ্য একক প্রার্থীর তালিকা পাঠাতে তৃণমূলে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। চিঠিতে আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের একক প্রার্থীর তালিকা দ্রুত চূড়ান্ত করে দলীয় প্যাডে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
জানা গেছে, ইউপি এলাকায় একক প্রার্থী বাছাইয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে তৃণমূল আওয়ামী লীগকে। একদিকে একাধিক প্রার্থী অন্যদিকে এমপিদের সুপারিশ- এই দুই চাপের কারণে অধিকাংশ জেলায় একক প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে একাধিক প্রার্থীর নাম তারা প্রস্তাব করতে পারবেন। একক প্রার্থী ঘোষণা করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শতভাগ নিখুঁত প্রার্থী দিতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে যেসব জেলা, উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হবেন কিংবা দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড করবেন তাদের বিরুদ্ধে দলের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।