সিরাজগঞ্জ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা অনলাইন নিউজ সাইট

বঙ্গবন্ধু বহুমুখি সেতু

যমুনা সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। এর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার। এটি বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ এশিয়ার দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। ইহা যমুনা নাদীর পূর্ব তীরের ভূয়াপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এইটি বিশ্বে ১১তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।

ইলিয়ট ব্রিজ

ইলিয়ট ব্রিজ সিরাজগঞ্জ শহরের কাটা খালের উপরে লোহা ও সিমেন্টের সমন্বয়ে তৈরী। সিরাজগঞ্জ শহরকে দেখার জন্য কাঁটাখালের উপরে প্রায় ৩০ ফুট উঁচু করে ইংরেজ এসডিও মিঃ বিটসন বেল আই, সি, এস, সাহেব ১৮৯৫ সনে ৪৫,০০০ টাকা খরচ করে বাংলার তৎকালিন ছোট লাট স্যার আল ফ্রেড ইলিয়ট সাহেবের নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন। নামানুসারে এই ব্রিজ তৈরী করেছিলেন।

Monday, October 31, 2016

সিরাজগঞ্জ উল্লাপাড়ায় সিমেন্ট কারখানায় পাথর ভাঙ্গানোর সময় ১ শ্রমীক নিহত, আহত ২।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার আমান সিমেন্ট কারখানায় চুনা পাথর ভাঙ্গানোর সময় আন্ডার গ্রাউন্ড জিমে চাপা পড়ে হৃদয় (১৬) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শ্রমিক ফজর আলী (৪৫) সহ ২ জন আহত হয়েছেন।এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও কারখানায় ভাঙচুর চালিয়েছে।
উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ফিসের দীনার আহম্মেদ জানন সোমবার সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌচ্ছে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পেরন করি। পরে হাসপাতালে নেবার পথে হৃদয় মারা যায়। এ সমায় এলাকাবাসী ও শ্রমীকারা বিক্ষোপ মিছিল ও ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নিহত হৃদয় উল্লাপাড়া আর এস এলাকার গাড়লগাঁতী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। আহত ফজর আলী (৪৫) শাহজাদপুর উপজেলার তালগাছি গ্রামের মৃত সোহরাব আলীর ছেলে।
উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কওশিক আহমেদ জানান, চুনা পাথর ঢুকানোর সময় আন্ডার গ্রাউন্ড জিমের ভেতরে পা ফসকে পড়ে যায় হৃদয়। তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসে অপর শ্রমিক ফজর আলী। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হৃদয়। এ সময় অন্যান্য শ্রমিকরা ফজর আলীকে উদ্ধার করে উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ফজর আলীকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত হৃদয়কে উদ্ধার করে।
এদিকে শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা আমান সিমেন্ট কারখানায় ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ফের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

Sunday, October 30, 2016

দু’ম্যাচে ১৯ উইকেট, ১২৯ বছরের বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেন মিরাজ

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
ম্যাচের সেরা তো বটেই, সিরিজেরও সেরার শিরোপা উঠল মিরাজেরই মাথায়। অভিষেক সিরিজ জুড়েই শুধু থাকলেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
প্রথম টেস্টে অল্পের জন্য হারের পর থেকেই আফসোসটা ঘর করে বসেছিল মিরাজের মনে। ওটাই ছিল তাঁর প্রথম টেস্ট। অভিষেকেই প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন ১৮ বছরের এই বিস্ময় বালক। কিন্তু সেই খুশি হারিয়ে গিয়েছিল দলের হারের সঙ্গেই। কারণ ব্যাট হাতে যে কিছুই করতে পারেননি তিনি। সেই আফসোস মিটিয়ে নিলেন দ্বিতীয় টেস্টে। না ব্যাটে তাঁকে কিছু করতে হয়নি। বল হাতে বাজিমাত করে গেলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। নাম লিখিয়ে ফেললেন বিশ্ব ক্রিকেটে। টেস্ট কেরিয়ারের শুরুর দুই টেস্টে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট নিয়ে বাজিমাত খুলনার ছেলের।
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ছ’উইকেট। ৩৯.৫ ওভার বল করে সাতটি মেডেন ও ৮০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ছ’উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে এসেছিল এক উইকেট। কিন্তু হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। দ্বিতীয় টেস্টে বল হাতে একইভাবে শুরু করেছিলেন মিরাজ। এ বার যেন আত্মবিশ্বাসটা আরও বেড়ে গিয়েছিল। আবারও প্রথম ইনিংসে ছ’উইকেট। ২৮ ওভারে দুটো মেডেনসহ ৮২ রান। এ বার অবশ্য এখানেই শেষ নয়। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ছয়। তিন ইনিংসে বল হাতে ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ডেও নাম লিখিয়ে ফেললেন তিনি। অভিষেক দুই টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ড করে ফেললেন তিনি। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের উইকেটটিও এল তাঁরই বলে। ২১.৩ ওভারে দুটো মেডেন ও ৭৭ রান দিয়ে নিলেন ছ’উইকেট। মোট ১৯ উইকেট নিয়ে ছাপিয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, জিম্বাবোয়ের বোলারদের। ১২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের এই বিস্ময় বালক।

কামারখন্দে পিস্তল ও গুলিসহ হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে একটি বিদেশী পিস্তল ও গুলিসহ জেলাল হোসেন শেখ (২৮) নামে এক হত্যা মামলার আসামীকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‌্যাব-১২ সদস্যরা।শনিবার (২৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার আলোকদিয়ার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে  তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মোঃ জেলাল ওরফে জেলাল হোসেন শেখ বেলকুচি উপজেলার বয়রা গ্রামের আজিজুল শেখের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।
গতকাল রবিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলের দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ হাসিবুল আলম। তিনি জানান,  গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার আলোকদিয়ার মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশী পিস্তল, ১টি ম্যাগজিন ও ১ রাউন্ড গুলিসহ জেলাল হোসেনকে আটক করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত জেলাল শেখ দীর্ঘদিন যাবৎ সিরাজগঞ্জ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে অস্ত্র ক্রয়-বিক্রয় করছিল। এছাড়াও বেলকুচি থানার চর এলাকায় সে বিভিন্ন ধরণের সস্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতো। সে একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অপহরণ, ডাকাতি, হত্যাসহ অনেক মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।

সন্ত্রাসী হামলায় তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান আহত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক। এ ঘটনার পর আশংকাজনক অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল এবং বিকেলে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এরআগে সকালে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় স্থানীয় এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গ্র“পের মধ্যে বাক-বিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় তোপের মুখে এমপি আমজাদ হোসেন মিলন সমন্বয় সভা বর্জন করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।  এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ কার্যালয়ে গেলে ঘটে হামলা ঘটনা। 

তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, মাসিক সমন্বয় সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী ম,ম আমজাদ হোসেন মিলনের বিরুদ্ধে ২/১ ইউপি চেয়ারম্যান বক্তব্য প্রদান করেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সংসদ সদস্য সভা ত্যাগ করে চলে যান।

তিনি আরও বলেন, চলমান সভা শেষ হওয়ার পর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হক তার নিজ কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানগণকে সাথে নিয়ে বৈঠক করছিলেন। দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞাতনামা দূর্বত্তরা উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে তার মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। আহত উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হককে উদ্ধার করে প্রথমে তাড়াশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেন মিলন এমপির স্ত্রী ডেইজী মিলন জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল ও বারুহাস ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি হওয়ায় মাসিক সমন্বয় সভায় ওসিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তারা। এ সময় সংসদ সদস্য প্রতিবাদ করায় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের ইন্দনে ওই চেয়ারম্যানরা এমপির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে লাঞ্চিত করার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় এমপি সমন্বয় সভা ত্যাগ করেন। তারপর উপজেলা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে কি হয়েছে সে বিষয়ে আমরা কেউ অবগত নই। হামলার ঘটনায় এমপি দায়ী নয়। 

এ বিষয়ে তাড়াশ সদর ইউপি চেয়ারম্যান বাবুলের সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি।

সদর হাসপাতালে নেয়ার জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা তাকে হাসপাতালে দেখতে যান।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আকরামুজ্জামান জানান, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়েছে। তার অবস্থা শংকটাপন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।


Friday, October 28, 2016

প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে যমুনা নদীর পাড়ে মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জ:

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটি এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

নদী বন্দর, পর্যটন মোটেল ও ইকোনমিক জোন স্থাপনসহ সিরাজগঞ্জের সার্বিক ও সুষম উন্নয়নে নয়টি প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে যমুনা নদীর পাড়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।

এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, যমুনা নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কারণে শহরের ভাঙন রোধ হয়েছে। এ অবস্থায় সিরাজগঞ্জে সব উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা সম্ভব। এ জেলার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে নদী বন্দর স্থাপন, শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় পর্যটন মোটেল, সিরাজগঞ্জ শহর থেকে মনসুর আলী স্টেশন পর্যন্ত বাইপাস রেল সড়ক নির্মাণ, সিরাজগঞ্জ-বগুড়া রেলপথ স্থাপন, প্রস্তাবিত শিল্পপার্ক ও ইকোনমিক জোন স্থাপনের দাবি জানানো হয়।

এসব প্রকল্পের অধিকাংশই ছিলো প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প। এসব প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন এখন সিরাজগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবি।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- সিরাজগঞ্জ স্বার্থরক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ডা. জহুরুল হক রাজা, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম রতন, আবু বকর ভূঁইয়া, নব কুমার কর্মকার, আব্দুল হাই তালুকদার, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান দুলাল, জাসাস সভাপতি আসলাম পারভেজ, ইয়ং স্টার ক্লাবের সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, সাবেক সভাপতি আশরাফুল বারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আসাদ উদ্দিন পবলু, সাধারণ সম্পাদক ইমরান মুরাদ, কোষাধ্যক্ষ ফরিদুল ইসলাম সোহাগ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, সততা সঞ্চয় সমিতির সভাপতি জহুরুল হক মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম হাসেম, আওয়ামী লীগ নেতা পিয়ার চৌধুরী, জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু প্রমুখ।

আওয়ামীলীগের প্রতি দরিদ্র তাঁত কর্মীর অকৃত্তিম ভালবাশা শেখ হাসিনা-ওবায়দুলকে শাড়ি লুঙ্গী উপহার দিতে চান দিনমজুর রইজ পাগলা

সুজিত সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের প্রত্যন্ত এনায়েতপুর থানার দরিদ্র তাঁত শ্রমিক রইস উদ্দিন(রইস পাগলা) আবারও এলাকাবাসীর আলোচনার খোরাক হয়েছেন। এর আগে তিনি হালের গরু বিক্রি এবং বেসরকারী সংস্থা থেকে নিজ নামে ঋন নিয়ে জনস্বার্থে সাকো নির্মান করে এলাকাবাসীর সমলোচনায় এসেছিলেন। এবারে তিনি তার শ্রম বিক্রর টাকা জমিয়ে কিনেছেন আওয়ামীলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য একখানা তাঁতের শাড়ি আর সাধারন সম্পাদকের জন্য একখানা লুঙ্গী। স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রইস উদ্দিন জানালেন দাম যতই হোক না কেন ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার এই উপহার তিনি তার নিজ হাতে দলের এই শীর্ষ নেতৃত্বের হাতে তুলে দিতে চান।

এনায়েতপুর থানার গোফরেখী গ্রামের তাঁত শ্রমিক রইস উদ্দিনের ব্যতিক্রমী উদ্দোগ্যের মধ্যদিয়ে সামাজিক উন্নয়নে সম্পক্ত থাকায় এলাকাজুড়ে তার পরিচিতি রয়েছে বেশ। তিনি মাটি কাটা শ্রমিক ও বাবুর্চির কাজও করে থাকেন। তবে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রইজ উদ্দিন দলের যেকোন কাজের জন্যই নিবেদিত। এলাকার রাস্তা-ঘাটে সংস্কার কাজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে বিনে পয়সায় করে থাকেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এলাকার দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করতে নিজের চায়ের দোকান বিক্রি করে প্রচারনা চালিয়েছেন। গত বছরের নভেম্বর মাসে তার গ্রামের পাশে বয়ে চলা হুরাসাগর খালের উপর মানুষের যাতায়াতের জন্য নিজের হালের গরু আর স্থানীয় বেসরকারী সংস্থা থেকে ঋন নিয়ে ৯২ হাত বাঁশ কাঠের দৃষ্টিনন্দন সাঁকো করে দিয়ে জেলা সহ দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোচিত হন। তার এই উদ্দোগের প্রতি সন্মান জানিয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন সেখানে ৩২ লাখ টাকায় একটি সেতু তৈরীর কাজ শুরু করেছে। বর্তমানে রইজ উদ্দিন তার কাজের পাশাপাশি বিনে পয়সায়, কবর খোড়া, অসহায় মেয়ের বিয়েতে সহযোগীতা, দরিদ্রদের বাড়িতে আচার অনুষ্ঠানে রান্না সহ সামাজিক সকল কাজে সহায়তা করে থাকেন। এজন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে এলাকার সুধী সমাজ নানা অনুষ্ঠানে সম্মান জানিয়ে রইজ উদ্দিনকে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি করে থাকেন। গত মাস খানেক আগে তার রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের জাতীয় সম্মেলনের হবার কথা সুনে তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল বর্তমান সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই পুনরায় সভাপতি হচ্ছেন। আর সাধারন সম্পাদক যেই হোক না কেন তাদের দুজনকেই এলাকার তৈরি পছন্দের মুল্যবান শাড়ী-লুঙ্গী উপহার দেবেন। তখন থেকে কিছু কিছু টাকা জমাতে থাকেন। সম্মেলনের দিন পর্যন্ত তা হয়ে যায় ৪ হাজার টাকায়। কাউকে না জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে খামারগ্রামের আনোয়ার হোসেন খানের বাড়ি গিয়ে পাইকারী দরে ৮শ টাকায় কিনে আনেন লুঙ্গী। এরপর এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত শাড়ি প্রস্তুতকারী একই গ্রামের আফজাল হোসেন লাভলুর বাড়িতে যান শাড়ি কিনতে।  আধুনিক নকশার বুননে সবচেয়ে ভাল মানের একটি শাড়ী পছন্দ করে বসেন রইজ উদ্দিন। তাঁত মালিক আফজাল হোসেন লাভলু এতো দামের শাড়ি দিয়ে কি করবেন এমন প্রশ্ন করলে, প্রথমে জানাতে চাননি তিনি। পরে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারো দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে তাকে উপহার দেবার জন্য শাড়িটি কিনতে এসেছেন। নেত্রীর প্রতি তার ভালবাসা, সম্মান জানিয়ে  ২ হাজার টাকা না নিয়ে ৩ হাজার টাকায় শাড়িটি তুলে দেন কারখানার মালিক। এ ব্যাপারে জাতীয় কারুশিল্পী পুরস্কার প্রাপ্ত তাঁত মালিক আফজাল হোসেন লাভলু জানান, এমন বিরল ভালবাসার বিষয়টি রইজ উদ্দিনের কাছে শুনে আসলেই অবাক হয়েছি। আমি শাড়ির দাম নিতে চাইনি। বিনামুল্যে দিতে চেয়ে ছিলাম। কিন্তু তিনি নেননি। বরং বলেছেন, আমার কষ্টে জমানো টাকায় যদি শাড়িটি শেখ হাসিনাকে কিনে না দিতে পারি তাহলে আমি আত্মতৃপ্তি পাবনা।

রইজ উদ্দিনের ইচ্ছে ছিল জাতীয় সম্মেলনে গিয়ে সেখ হাসিনাকে কাছে থেকে দেখবার। কিন্তু সে সৌভাগ্য হয়নি। তিনি জানান অনেক কষ্টে শাড়ি ও লুঙ্গীটি কিনেছি শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরকে দেবার জন্য। আশা করি আমার হাত থেকে তারা ক্ষুদ্র এ শুভেচ্ছা উপহার গ্রহন করবেন।

Thursday, October 27, 2016

সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনায় ইলিশ ধরার অভিযোগে ৫ জেলেকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনায় ইলিশ ধরার অভিযোগে ৫ জেলেকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। এরা হলো মৌহালী গ্রামের সোবাহান সরকারের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), বশির উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৪০), রেহাই কাউলিয়ার আয়েন সরকারের ছেলে মোঃ আলম (৩০), চালুহারা গ্রামের পরশ আলীর ছেলে আব্দুস ছালাম (৩৫) এবং জহির উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ আলী (২৮)। বৃহস্পতিবার এসব জেলেদের ধরে দুপুরে এনায়েতপুর ঘাটে এনে সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এনডিসি পঙ্কজ চন্দ্র দেব নাথ এই রায় প্রদান করেন। এসময় সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম, র‌্যাব-১২ এর ডিএডি খতিবুর রহমান, চৌহালী মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারী সফিকুল ইসলাম সফি উপস্থিত ছিলেন।

আদালত জানায়, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অমান্য করে চৌহালী-এনায়েতপুর জুড়ে যমুনায় মাছ ধরা অব্যাহত রেখেছে অসাধু জেলেরা। কৌশল অবলম্বন করে উমরপুর, বাঘুটিয়া, ঘোরজান, খাসকাউলিয়া, স্থল ও সদিয়াচাঁদপুর ইউনিয়ন জুড়ে ডিম ওয়ালা ইলিশ মাছ ধরছে। একারনে ভোর থেকে জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এনডিসি পঙ্কজ চন্দ্র দেব নাথের নেতৃত্বে র‌্যাব নিয়ে নদী জুড়ে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালায়। দুপুর পর্যন্ত অভিযান চলাকালে অন্যান্য জেলেরা পালিয়ে গেলে ঐ ৫ জেলেকে মাছ ধরা অবস্থায় ৪০ কেজি ইলিশ ও ২৬ হাজার মিটার জাল সহ আটক করা হয়। পরে তাদের এনায়েতপুর ঘাটে এনে ১৫ দিন করে সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসময় আটক জাল আগুনে পুড়িয়ে ফেলার পাশাপাশি মাছ গুলো আড়কান্দি তালিমুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা এতিম খানায় সভাপতি শমষের আলী আকন্দ ও মাওঃ আব্দুল আলীমের হাতে তুলে দেয়া হয়।

Wednesday, October 26, 2016

সিরাজগঞ্জে জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের ৫ নারী সদস্য কারাগারে

আদালতে হাজিরা শেষে জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের ৫ নারী সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
গতকাল বুধবার সকালে জেলা কারাগার থেকে তাদের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করে পুলিশ। হাজিরা শেষে বিচারক শরিফুল ইসলাম তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করে। আগামী ২৪ নভেম্বর পরবর্তী হাজিরার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে। আতœঘাতি স্কোয়াডের ৫ নারী সদস্য হলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবির) আত্মঘাতী স্কোয়াডের নারী সদস্য জেলার কাজিপুর উপজেলার পশ্চিম বড়ইতলা গ্রামের আবু সাঈদের স্ত্রী ফুলেরা বেগম (৪৫), তার দুই মেয়ে শাকিলা খাতুন (১৮) ও সালমা খাতুন (১৬), একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (৩৫) ও  আব্দুল আজিজের মেয়ে আছিয়া খাতুন আকলিমা (২০)।
উল্লেখ্য গত ৫ সেপ্টেম্বর কাজিপুর উপজেলার বড়ইতলী গ্রামে জেএমবির ঢাকা অঞ্চলের সামরিক কমান্ডার ফরিদুল ইসলাম ওরফে আকাশের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার মা ও দুই বোন ও এক সহযোগিকে আটক করে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।
এসময় তাদের নিকট থেকে বোমা তৈরীর সরাঞ্জাম, জেহাদী বই, কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। এসব মামলায় আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়।অপর দিকে গত ১৭ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার কড্ডার মোড় থেকে জেএমবি’র আতœঘাতি স্কোয়াডের নারী সদস্য আছিয়া খাতুন আকলিমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের এই ৫ নারী সদস্য জেলার কাজিপুর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার (মামলা নং ৮৬/১৬) এজাহারভুক্ত আসামী। এই মামলায় আজ বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু

সুজিত সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় সেতু মনি(১০) নামে এক শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে  উপজেলার ঝাঐল ইউনিয়নের ময়নাকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে । শিশুটি গ্রামের জামতৈল বাজারের নাইটগার্ড  মোঃ হাকিমের মেয়ে ও শাহবাজপুর ময়নাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী।

মৃত্য শিশুটির বাবা মো. হাকিম জানান, রাতে নাইট ডিউটি শেষে ভোর রাত্রে বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পরি। সকাল ১১টার সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি ঘরের বাহির থেকে দড়জা লাগানো। আমি জানালা দিয়ে প্রতিবেশী সাবিনাকে  ডাক দিলে দড়জা খুলে দেয়। দড়জা খোলার পর দেখি ঘরের পাশে গাছের নিচে আমার মেয়ের গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় বসে আছে। আমি চিৎকার চেচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন স্থানীয়রা বিষয়টি দেখে ডাক্তার নিয়ে আসলে ডাক্তার  তাকে মৃত ঘোষনা করে। শিশুটির বাবা ধারনা করছেন মেয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আতœহত্যা করেছে।

শিশুটির মা জানান, আমি সকাল ১০টার পর আমার বড় মেয়ের বাড়ি জামতৈল যাবার আগে আমার মেয়েকে বলে যাই যে, তোমার বাবা ঘুম থেকে উঠলে খেতে দিও। এই বলে আমি চলে যাই। পরে আমি শুনতে পাই মেয়ে আমার আর নেই।

কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বাবুল উদ্দীন সরদার জানান, আমরা লাশটি শিশুটির বাড়ি থেকে উদ্ধার করে করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না এটা হত্যা না আত্মহত্যা।

আলহাজ্ব মোহাম্মাদ নাসিম পুনরায় প্রেসিডিয়াম সদস্য : উৎফুল্ল সাধারন নেতাকর্মীরা।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নাসিম পুনরায় প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং
জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যও নির্বাচিত করায় : উৎফুল্ল নেতাকর্মীরা।

বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে।

একই সঙ্গে দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমকে রাখায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন একাধিক নেতাকর্মী।

মোহাম্মদ নাসিম বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গন-মাঠ-ময়দানে বক্তৃতা ও বিবৃতি সমানতালে দিয়ে নিজের অবস্থান তিনি ধরে রেখেছেন। এছাড়াও ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে মিডিয়ার সামনে দলের নীতি ও আদর্শ তুলে ধরছেন। তার সেই মেধা ও পরিশ্রমের ফসল হিসেবে এবারো পুনরায় প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যমুনার পাড় ভাঙা জেলা সিরাজগঞ্জ। এ জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি মোহাম্মদ নাসিমের ওপর নির্ভর করে। যতো বাধা বিপত্তি আসুক না কেন তিনি নেতাকর্মীদের আগলে রাখবেন অভিভাবকের মতো। জেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত মোহাম্মদ নাসিম রয়েছেন নেতাকর্মীদের হৃদয়জুড়ে।

জানা যায়, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিম সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর) ও তার জন্মভূমি সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর) আসন থেকে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।

তিনি ’৯৬ সালের আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে স্বরাষ্ট্র, ডাক তার ও টেলিযোগাযোগ এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম গ্রেফতার হন। তার মুক্তির দাবিতে সিরাজগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যাপক আন্দোলন করেন। প্রায় ২ বছর কারাভোগ করে তিনি জামিনে মুক্তি পান। ১৯৯১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবারই তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তার দায়িত্ব পালনে সিরাজগঞ্জে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আধুনিক সিরাজগঞ্জ গঠনে মোহাম্মদ নাসিমের অবদান চোখে পড়ার মতো। দলমত নির্বিশেষ সকল মানুষের কাছে জনপ্রিয় মোহাম্মদ নাসিম। সদ্য নবগঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে মোহাম্মদ নাসিমকে পুনরায় নির্বাচিত করায় দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি জেলার সাধারণ মানুষও খুশি।

যুবলীগ নেতা রাশেদ ইউসুফ জুয়েল জানান, মোহাম্মদ নাসিমের বিকল্প নেই। তিনি এই অঞ্চলের অভিভাবক। রাজনীতিতে অভিভাবকের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আমাদের অভিভাবক। প্রেসিডিয়াম সদস্য ছাড়াও মোহাম্মদ নাসিমকে জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যও নির্বাচিত করা হয়েছে। এ জন্য সিরাজগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম জেহাদ জানান, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলীর সুযোগ্য ছেলে মোহাম্মদ নাসিমকে পুনরায় প্রেসিডিয়াম সদস্য করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।

কোন বয়সে কত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন?

কোন বয়সে কত ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন?
বয়স অনুযায়ী মানুষের ঘুমের প্রয়োজনও ভিন্ন হয়। সুস্থ থাকতে সকলের চাই যথেষ্ট ঘুম। কিন্তু সেই যথেষ্ট বলতে কতটুকু ঘুমকে বোঝানো হয়?
৩ মাস পর্যন্ত:- ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা। যদিও ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টাও যথেষ্ট হতে পারে। তবে কোনভাবেই ১৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।

৪ থেকে ১১ মাস:- কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আর সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা।

১/২ বছর বয়স:- ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।

৩-৫ বছর বয়স:- বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।

৬-১৩ বছর:- ৯-১০ ঘণ্টা।

১৪-১৭ বছর:- ৮-১০ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন।

১৮- ৬৪ বছর:- ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

৬৫ বা তার বেশি বছর:- ৭/৮ ঘণ্টার ঘুম আদর্শ। কিন্তু ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।

Tuesday, October 25, 2016

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ১০ টাকা দরের চাল বিক্রিতে নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ

সুজিত সরকারঃ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ১০ টাকা দরের চাল বিক্রিতে নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সব দূর্ণীতির মধ্যে রয়েছে, গরিবের চাল কালোবাজারে বিক্রি, ডিলার নিয়োগে অনিয়ম দূর্ণীতি, কার্ড বিতরণ না করা,তালিকা ভূক্তদের চাল না দেওয়া, অবস্থা সম্পন্ন বিত্তবানদের নাম তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা, হতদরিদ্রদের তালিকায় বাদপড়ার অভিযোগ রয়েছে। এ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নের ২৬ জন ডিলারের মধ্যে ২৩ জন ডিলারই আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মী। বাকি ২ জন বিএনপি নেতা। একজন সাবেক ছাত্রদল নেতা। ডিলারশীপ পেয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই, ভাইস চেয়ারম্যানের শ্যালোক, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, তাদের ভাই আত্বীয়-স্বজন ও চাকরি জীবি। এ সব ডিলারের মধ্যে আবার যারা সরাসরি মাঠের রাজনীতি করেন না তাদেরকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারিরা জানিয়েছেন। এ সব ডিলারের অধিকাংশরই নিজস্ব কোন দোকান ঘর নেই। চাল বিতরণকালে কাপড়ের ব্যানার টানিয়ে পরিচিত ব্যক্তির দোকানের সামনে ২/৩ ঘন্টায় চাল বিতরণ শেষ করে থাকেন। প্রায় সব ইউনিয়নেই সুবিধা ভোগীদের অর্ধেকের বেশি ব্যক্তিদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়নি। এ সব কার্ডের অধিকাংশই আবার সচ্ছল ওবিত্তবান ব্যক্তি হওয়ায় তারাও এর জন্য তেমন কোন উচ্চ বাচ্য করছেন না। এ সুযোগে এ সব কার্ডধারিদের বরাদ্দের চাল কালো বাজারে বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগকারিরা জানিয়েছেন। অভিযোগকারিদের মধ্যে বেলতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস হোসেন ফুল জানান, তার ইউনিয়নের এক ডিলার এখনও পর্যন্ত অধিকাংশ সুবিধাভোি দের মাঝে কার্ড বিতরণ করেননি। স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সোনাতুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ফজলু, তার ছেলে রুবেল রানা, ভাই সামছুল ইসলাম জানান, এ তালিকায় কাদের নাম অন্তভূক্ত করা হয়েছে, কবে কোথায় কি ভাবে, কাদেরকে চাল দেওয়া হচ্ছে দুই ডিলারের কেউই তাদের জানায়নি।সোনাতুনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতিও ছোট চানতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মর্তুজার ভাই ও সাধারণ সম্পাদক আয়েজ উদ্দিনের ভাইয়ের নামে ডিলারশিপ নিয়ে মূলত তারাই এর সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে এ ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। অনিয়ম-দূর্ণীতির কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতি ডিলারের ৫‘শ জন করে মোট ১ হাজার জনকে এই চাল দেয়ার কথা তাকলেও অর্ধেকও দেয়া হচ্ছেনা বলে তারা অভিযোগ পেয়েছেন। কিন্তু তারা বিএনপি করেন বলে এর প্রতিবাদ করতে সাহস পাননা। সোনাতুনি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার সামছুল ইসলাম ও কুরসিগ্রামের নূরুল ইসলাম,ইয়াসিন মোল্লা, খালেক মোল্লা শান্তাই খাঁ জানান,  তাদের পাড়ার কাউকেই এই চালের কার্ড দেয়া হয়নি। ছোটচানতারা গ্রামের সানোয়ার হোসেন ও ডাঃ আবু দাউদ জানান, তাদের গ্রামের স্বচ্ছল সাত্তার আলী ও আজিজুল হক ১০ টাকার চালের কার্ড পেয়েছেন। কিন্তুঅধিকাংশ হতদরিদ্ররা এ কার্ড পাননি।পোরজনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মজিবর রহমান ও ১নং মহিলা ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার আছমিনা খাতুন জানান,৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যে শুধু বাচড়া গ্রামের ১৮ জনকে এ কার্ড দিয়েছেন। বাকি গ্রাম গুলোতে এ কার্ড দেয়া হয়নি। বেলতৈল ইউনিয়নের চরকাদই গ্রামের হতদরিদ্র তাঁত শ্রমিক সেলিম হোসেন জানান, তার নামে কার্ড হয়েছে, সে প্রথম দফায় একবার চালও পেয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় চাল তুলতে গেলে তাকে চাল না দিয়ে ফেরত দেয়া হয়। বলা হয় তার নাকি কার্ড বাতিল হয়ে গেছে। তাই আর তোমাকে চাল দেয়া যাবেনা। ফলে সে শুন্য হাতে ফিরে এসেছে। এ গ্রামের  শুকুর মাহমুদ, সুলতান, রিপন বলেন, আমরা খুব অভাবি মানুষ। হাতে কাম কাজ করতে নাই। আমরাএকটাও কার্ড পাইনি। অথচ এ গ্রামের সচ্ছল ও বিত্তবান আব্দুল মান্নান সরকার পেয়েছেন কার্ড। তার ৩ ছেলের এক জন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার,একজন পুলিশ বিভাগে ও আরেক জন  গার্মেন্টেসে ১৪ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে। ৪/৫ বিঘা জমি, বাড়ির বিশাল আঙ্গীনায় ৩টিচকচকে বড় বড় টিনের ঘর রয়েছে তার। তার পরেও তিনি এ কার্ড পেয়েছেন। আব্দুল মান্নানের স্ত্রী আছিয়া খাতুন ও পুলিশ বিভাগে চাকরিরত ছেলে আফসার এর সত্যতাও স্বীকার করেছেন। বেলতৈল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সরোয়ার হোসেন বলেন, তার ইউনিয়নে কমপক্ষে দেড়‘শ বিত্তবান লোকের নাম তালিকায় আছে। আমি এ তালিকা দেখতে চাওয়ায় ডিলার ও তার লোকজন তালিকা দেখতে না দিয়ে আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছে। আমি শাহজাদপুর উপজেলা ফুড অফিসারের কাছে গেলে তিনিও এ তালিকা দেখাননি। বলেছেন আমি বলে দিচ্ছি ডিলারই আপনাকে দেখাবে। আমি আবারও ডিলারের কাছে গেলে সে আমার সাথে চরম খারাপ ব্যবহার করে। এ ব্যাপারে ডিলার মামুনুর রশিদ হিলটন বলেন, ভুল বসত ২/১ জনের নাম থাকতে পারে যাচাই বাছাই করে এ ধরণের নাম বাদ দেয়া হবে। সভাপতি সরোয়ারের সাথে খারাপ আচরণের ব্যাপারে বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। পরে তা ঠিক হয়ে গেছে। গালা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাতেন জানিয়েছেন, তার ইউনিয়নে ১০ টাকা দরের চাল বিতরণ ও তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগ তিনি পেয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো এর কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তিনি আরো বলেন, এ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা ও তার মনোনিত ব্যক্তি ডিলারি পেয়ে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ইচ্ছা মত কাজ করছেন। এ ব্যাপারে আব্দুল খালেক বলেন, তিনি নিয়ম মেনেই কাজ করছেন। এ ছাড়া গাড়াদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন নয়ন, এ ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ সভাপতি সেলিম আক্তারের ভাই আওরঙ্গজেব, হাবিবুল্লাহনগর ইউনিয়নে উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ রহমানের ভাই গোলাম সরোয়ার, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন,জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ক্রিড়া সম্পাদক ঠান্ডু, ছাত্রলীগ নেতা ইকবাল হোসেন,খুকনি ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা এনামূল হক রওশন,বেলতৈল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফেরদৌস হেসেন ফুলের ভাই কামাল হোসেন, কায়েমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসানের চাচাতো ভাই আল আমিন হোসেন, তার অনুগত আবু সাঈদ,পোতাজিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলীর ভাতিজা আব্দুল আলীম, চেয়ারম্যানের বিস্বস্ত কোরবান আলী,রূপবাটি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর বারী সরকার, বিএনপি নেতা আলম মোল্লা, পোরজনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্যআমজাদ হোসেন,আমিনুল ইসলাম,সোনাতুনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম মর্তুজার ভাই আব্দুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক আয়েজ উদ্দিনের ভাই মজিবর রহমান, কৈজুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের এসিস্ট্যান্ড আবুলকালাম, বিস্বস্ত আওয়ামীলীগ নেতা পেশকার আলী ১০ টাকার চালের ডিলারি পেয়েছেন। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা নজমূল করিম বলেন, সিরাজগঞ্জ-৬(শাহজাদপুর) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপনের সুপারিশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ যে তালিকা প্রস্তুত করে তাকে দিয়েছেন, তিনি সেটাই অনুমোদন করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম আহমেদ বলেন, তালিকা প্রস্তুত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ট্যাগ অফিসারগণ। তিনি আরো বলেন, ১০ টাকার চালের ডিলারা কোন অনিয়ম দূর্ণীতি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে এমপি হাসিবুর রহমান স্বপনের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।